| সকাল ১১:৫০ - মঙ্গলবার - ১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ - ৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

আশা করি দেয়াল মুক্ত এবং সৌন্দর্যকে অক্ষুন্ন রেখেই প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন হবে- মেয়র টিটু

লোক লোকান্তরঃ  ময়মনসিংহ শহরের প্রাণকেন্দ্রে ঐতিহাসিক ময়মনসিংহ সার্কিট হাউজ মাঠের অবস্থান। এই মাঠ যেমন রাজনীতির ইতিহাস তেমনি ক্রীড়া সংস্কৃতির জন্যও ঐতিহাসিক।

 

বর্তমানে ঐতিহাসিক সার্কিট হাউজ মাঠকে নান্দনিকতা বৃদ্ধি করতে এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের সাথে হওয়া মর্মান্তিক ঘটনার ম্যুরাল স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে।

 

এছাড়া সার্কিট হাউজ মাঠের চারদিকে তিনফুট উঁচু দেয়াল ও তার উপর গ্রিল বসানো হবে। এতে আলোকসজ্জাসহ সাধারণ মানুষের হাঁটাচলার ব্যবস্থা থাকবে। ম্যুরাল স্থাপনের ব্যয় ধরা হয়েছে ২ কোটি টাকা এবং  দেয়াল ও তার উপর গ্রিলসহ আলোকসজ্জা কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে সাড়ে ৪ কোটি টাকা।

 

গত সোমবার (জুন-১) বিকালে ময়মনসিংহের বিদায়ী বিভাগীয় কমিশনার খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান এই কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

 

গত মঙ্গলবার (২ জুন) ‘লোক লোকান্তর’ নিউজ পোর্টালে ‘ময়মনসিংহ সার্কিট হাউজ মাঠের চারদিকে হচ্ছে দেয়াল, স্থাপন হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল‘ শিরোনামে নিউজ প্রকাশের পর সার্কিট হাউজ মাঠের চারদিকে দেয়াল ও তার উপর গ্রিল না বসানোর দাবী তুলতে থাকে ময়মনসিংহের মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিবিদ, ক্রীড়া সংগঠক, কবি- সাহিত্যিকসহ জনসাধারন।

 

এ নিয়ে গত বুধবার (৩ জুন) দুপুরে সার্কিট হাউজ মাঠে ‘বিক্ষুদ্ধ ময়মনসিংহবাসী’র ব্যানারে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।

 

এতে মাঠের উন্নয়ন, মাটির উন্নয়ন, সৌন্দর্যবর্ধন এবং বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের ম্যুরাল স্থাপনের পক্ষে সহমত জানানোসহ  মাঠের চারপাশে সীমানা প্রাচীরের বিরোধীতা করা হয়।

 

আজ শুক্রবার (৫ জুন) ময়মনসিংহের ঐতিহ্যবাহী সার্কিট হাউজ মাঠ নিয়ে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু নিজ ফেসবুক একাউন্টে স্ট্যাটাস দেন যা পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল –

 

‘ময়মনসিংহের ঐতিহ্য সার্কিট হাউজ মাঠ, সবুজ-শ্যামলে ঘেরা বৃহৎ এই মাঠটি ময়মনসিংহের হৃদয় স্পন্দন, সেটি অনুধাবন করেই হয়তোবা সদ্যবিদায়ী বিভাগীয় কমিশনার খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান সাহেব মাঠটিকে উন্নয়নের মাধ্যমে ময়মনসিংহ বাসীকে সুন্দর একটি পরিবেশ উপহার দিতে চেয়েছিলেন, ধন্যবাদ জানাই তার এই উদ্যোগকে।

 

কিন্তু যারা কর্মপরিকল্পনায় সরাসরি দায়িত্ব পালন করেছেন, তারা হয়তো নির্মল প্রকৃতির যে আবেদন ,সেটিকে সঠিকভাবে সদ্যবিদায়ী বিভাগীয় কমিশনার সাহেবের কাছে সে ভাবে তুলে ধরতে পারেননি, একজন পরিকল্পনাবিদ কে হতে হয় সর্বমুখী কিন্তু এক্ষেত্রে বলা যায়, যারা ছিলেন এর দায়িত্বে তাদের হয়ত হৃদয় অনুভূতি না থাকার কারণেই উন্নয়ন প্রকল্পটিকে প্রশ্নবৃদ্ধ করেছে, এই উন্নয়ন প্রকল্পে বেশ কিছু অসংগতি থাকার কারণে প্রায় সর্ব শ্রেণি-পেশার মানুষ প্রতিবাদমুখর।

 

কিন্তু উন্নয়ন মানেই জনকল্যাণ, যে বিষয়টিকে বর্তমান সরকারের সফল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা মহোদয় সকল সময়ই গুরুত্বসহকারে উল্লেখ করে থাকেন ,প্রত্যেকটি উন্নয়নকে হতে হবে টেকসই এবং জনকল্যাণমুখী। প্রকল্প গ্রহণের প্রাক্কালে বিভিন্ন স্তরের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ,রাজনীতিবিদ, ক্রীড়া সংগঠক, পরিবেশবিদ, নাগরিক সংগঠন ,সাংবাদিকদের সংগঠন সহ সংশ্লিষ্ট সংগঠন বা ব্যক্তি বর্গের পরামর্শ গ্রহণ করে প্রকল্পটি গ্রহণ করলে হয়তোবা আজকে প্রশ্নবিদ্ধ হতে হতো না আমাদেরকে।

 

বর্তমান এই প্রেক্ষাপটে সকলের একটি দাবি প্রাকৃতিক পরিবেশকে অক্ষুন্ন রেখে দেয়াল মুক্ত উন্নয়ন চাই। সকলের এই প্রত্যাশা কে পূরণে সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গেই আলোচনা হয়েছে, আশা করি দেয়াল মুক্ত এবং পরিবেশের সৌন্দর্যকে অক্ষুন্ন রেখেই সকলের সহযোগিতায় প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন হবে ইনশাল্লাহ, মহান আল্লাহ পাক আমাদের হেফাজত করুন।’

সর্বশেষ আপডেটঃ ১:৪৮ অপরাহ্ণ | জুন ০৫, ২০২০