| রাত ১:৩৬ - সোমবার - ২১শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ৫ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১৭ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

ফুলবাড়ীয়া কলেজ শিক্ষকের লাশ কড়া নিরাপত্তায় নান্দাইলে দাফন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ    ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া কলেজ সরকারী করনের দাবীতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে রোববার পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত সহযোগী অধ্যাপক মো. আবুল কালামের লাশ কড়া পুলিশি প্রহরায় নান্দাইল উপজেলায় দাফন করা হয়েছে।

 

সোমবার নান্দাইল উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের কাদিরপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

 

জানাজাতে পুলিশের এএসপি মো. আকতারুজ্জামান, নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ(তদন্ত) মো. খলিলুর রহমান সহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিলেন। এসময় মরহুমের বড় ভাই আব্দুস সালাম হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ঘটনার সাথে জড়িতদের শাস্তি দাবী করেন।

 

জানাযা’য় উপস্থিত ছিলেন, নান্দাইল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মালেক চৌধুরী স্বপন, পৌর মেয়র মো. রফিক উদ্দিন ভূইঁয়া, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ড. শাহনুর আলম, মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আবু বক্কর সিদ্দিক, ফুলবাড়ীয়া ডিগ্রী কলেজের অধ্যাপক এস এম আবুল হাসেম এবং মরহুমের বড় ভাই ব্যাংক কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম প্রমুখ।

 

ফুলবাড়ীয়া ডিগ্রী কলেজের অধ্যাপক এসএম আবুল হাসেম বলেন, কলেজ সরকারী করনের একটি যৌতিক দাবী আদায় করতে গিয়ে আমাদের সহযোগী নিহত হয়েছেন। এই কলেজ সরকারী করন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। তিনি নিহত পরিবারের জন্য সরকারের নিকট উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দাবী করেন এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন।

 

নান্দাইলের উপজেলা চেয়ারম্যান, মেয়র ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান এবং নিহতের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। জানাজা’র পর কাদিরপুর পশ্চিম পাড়া মরহুমের পারিবারিক কবরস্থানে পিতা মরহুম আহম্মদ আলী মুন্সীর কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।

 

এইদিকে আজ সোমবার ফুলবাড়িয়ায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন। সোমবার সকাল ৯টা থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফুলবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লীরা তরফদার।

তিনি জানান, জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।

 

আবার, সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে ৩ সদস্য ও পুলিশের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে প্রধান করে ৩ সদস্য করে আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। উভয় কমিটিকে তিন কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

 

উল্লেখ্য, ফুলবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজকে বাদ দিয়ে একই উপজেলার শেখ ফজিলাতুননেছা নন এমপিওভুক্ত কলেজকে সরকারিকরণ করায় প্রায় দেড় মাস ধরে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে আসছে। রবিবার আন্দোলনকারীরা মিছিল করলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এতে কলেজ শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ ও ভ্যানচালক সফর আলী নিহত হন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৭:২০ অপরাহ্ণ | নভেম্বর ২৮, ২০১৬