ময়মনসিংহে আগুনে পুড়লো ৬ ঘর, অক্ষত কোরআন
দুই পরিবারের ছয়টি ঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে, পুড়েছে আসবাবপত্র, দৈনন্দিনের খাবার, ঘরের টিনও। তবে পুড়েনি শুধু ঘরে থাকা ২টি পবিত্র আল কোরআন।
শনিবার সন্ধ্যায় ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার বোকাইনগর ইউনিয়নের এ ঘটনা ঘটে ।
পরিবার সূত্র জানায়, শনিবার সন্ধ্যার পর গোয়ালঘরে মশা তাড়ানোর ধোয়ার কুণ্ডলী থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুনে পুড়ে গেছে মৃত রইছ উদ্দিন আকন্দের পুত্র মো. এনায়েত হোসেন আকন্দ ও মৃত আব্দুল বারীর পুত্র মজিবুর রহমানের দুটি বসতঘর, দুটি গোয়ালঘর ও দুটি রান্নাঘর।
মো, এনায়েত হোসেন আকন্দ জানান, পানি খাওয়ার মতো গ্লাসও নেই। তার সন্তানদের সার্টিফিকেট, জমির দলিল, জাতীয় পরিচয়পত্র, কাপড় চোপড়, ধান-চাল, আসবাবপত্রসহ ট্রাংকে গচ্ছিত টাকাও পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
এদিকে পুড়ে যাওয়া ধ্বংসস্তূপ থেকে অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গেছে দুটি পবিত্র আল কোরআন। সব পুড়ে গেলেও পবিত্র ধর্মীয়গ্রন্থ না পোড়ায় এ ঘটনাটি অলৌকিক হিসেবে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। পবিত্র কোরআন শরীফ দেখতে উৎসুক জনতার ভিড় জমে।
মজিবুর রহমানের কন্যা মোছা. হাসি আক্তার জানান, আমাদের ঘরের সমস্ত বইপত্র পুড়ে গেছে তার ভিতরে গিয়ে দেখি পবিত্র কোরআন শরীফটিও রয়েছে। কোরআন শরীফের চারপাশের কিছু অংশ পুড়ে গেলেও পুড়েনি শুধু আরবি হরফ গুলো।
অপরদিকে এনায়েত হোসেন আকন্দের ঘরের ভিতর থেকে বের করে আনেন অক্ষত অবস্থায় আরেকটি পবিত্র কোরআন শরীফ। এ প্রসঙ্গে আব্দুল সালামের পুত্র আল মামুন ফকির জানান, এ কোরআন শরীফের একটি হরফও পুড়েনি। শুধু উপরের অংশের কাভারের প্লাস্টিক পাতাটা পুড়ে গেছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ইউপি মেম্বার আব্দুর রহমান জানান, সুবাহানআল্লাহ। আল্লাহ নিজে তার পবিত্র গ্রন্থ রক্ষা করেছেন।
অগ্নিকাণ্ডের খরব পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোফাজ্জল হোসেন খান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান মারুফ, বোকাইনগর ইউপি চেয়ারম্যান মো. হাবিব উল্লাহসহ অনেকেই।
চেয়ারম্যান মো. হাবিব উল্লাহ বলেন, ঘর নির্মাণের জন্য কিছু টিনের ব্যবস্থা করেছি এবং তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী-নিত্যপণ্য দেয়া হয়েছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মোফাজ্জল হোসেন খান বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহযোগিতা দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।