মদপানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬, হোমিও হল থেকে আটক ৪
বগুড়ায় বিষাক্ত মদপানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬ জনে দাঁড়িয়েছে। আর এ ঘটনায় করা মামলায় এখন পর্যন্ত চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার পর থেকে রাত ১১টার মধ্যে তাদের আটক করা হয়।
বগুড়ার সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদ বলেন, মুন হোমিও, পারুল হোমিও, করতোয়া হোমিও এবং করমোটেরি হাসান হোমিও হল থেকে তাদের আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের আটক করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম আপাতত প্রকাশ করা হচ্ছে না।
বগুড়ায় বিষাক্ত মদপানে এখন পর্যন্ত আব্দুর রহিম (৪২) নামের নতুন একজনসহ ১৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গত রোববার থেকে বুধবার সকালে মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়।
মারা যাওয়া বাকিরা হলেন- শহরের তিনমাথা পুরান বগুড়া দক্ষিণপাড়া এলাকার রামনাথ রবিদাস (৬০) ও পুরান বগুড়া জিলাদারপাড়ার শ্রমিক রমজান আলী (৬৫), শহরের ফুলবাড়ি এলাকার কারখানা শ্রমিক পলাশ হোসেন (৩৪), শহরের কাটনারপাড়া এলাকার হোটেল শ্রমিক সাজু মিয়া (৫৫), পুরান বগুড়া দক্ষিণপাড়া এলাকার সুমন রবিদাস (৩৮), বগুড়া শহরের চারমাথা ভবেরবাজার এলাকার হোটেল ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন (৫৫)।
এছাড়া শহরের তিনমাথা পুরান বগুড়া এলাকার রাজমিস্ত্রি রমজান আলী (৬০), কাটনারপাড়া হটুমিয়া লেনের বাবুর্চি মোজাহার আলী (৭৫) ও কাহালু পৌর এলাকার অটোরিকশার চালক কালাম মিয়া (৫০), পুরান বগুড়া এলাকার প্রেমনাথ রবিদাস (৭০), ফাঁপোড় এলাকার রিকশাচালক জুলফিকার রহমান (৫৬) ও ফুলবাড়ি মধ্যপাড়ার রিকশাচালক আবদুল জলিল (৬৫)।
শাজাহানপুরের অটোটেম্পু মেকার মেহেদী হাসান (২৮) ও জমির সার্ভেয়ার দক্ষিণ কাটাবাড়ি গ্রামের আহাদ আলী (৩৮), রহিমাবাদ উত্তরপাড়ার ইলেকট্রিক মিস্ত্রি আব্দুর রাজ্জাকের (৪৮) মৃত্যু হয়।
নিহতদের পরিবারের সদস্যদের দাবি, শহরের ফুলবাড়ি এলাকায় পারুল হোমিও হল এবং তিনমাথা রেলগেট এলাকার খান হোমিও হল থেকে বিক্রি করা স্পিরিট পান করার পর তারা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।
এ ঘটনায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রঞ্জু মিয়ার (৩৩) ভাই মনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে সোমবার রাতে থানায় মামলা করেছেন।
মামলায় তিনজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আসামিরা হলেন- খান হোমিও হলের মালিক শাহিনুর রহমান শাহীন এবং পারুল হোমিও হলের মালিক নুর আলম ও নুর নবী। এই দুইজন আপন ভাই।