| সকাল ৯:২৫ - শনিবার - ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ময়মনসিংহের সীমান্তে নিহত হওয়ার ৩ দিন লাশ ফেরত দিল ভারতীয় বাহিনী

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ  ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট সীমান্তে নিহত বাংলাদেশি আবদুল জলিলের লাশ তিনদিন পর ফেরত দেওয়া হয়েছে।

 

বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে গোবড়াকুড়া বন্দর সংলগ্ন নো ম্যানস ল্যান্ডে দুই দেশের সীমান্ত কর্মকর্তাদের পতাকা বৈঠকের পর লাশ ফেরত দেয় বিএসএফ। নিহত আবদুল জলিল হালুয়াঘাট উপজেলার পশ্চিম গোবরাকুড়া গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে।

 

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) গোবড়াকুড়া বিওপির কমান্ডার নায়েক সুবেদার হারুনুর রশিদ লাশ গ্রহণ করে পরিবারের কাছ হস্তান্তর করেন।

 

আরও পড়ুন – ভারতের বিহারে বজ্রপাতে প্রাণ গেল ৮৩ জনের

 

এর আগে গত মঙ্গলবার বিকেল ৫টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত গোবড়াকুড়া সীমান্তে দুই দেশের সীমান্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তবে ওই সময়ের পর লাশ ফেরত দেওয়া না হলেও আজ লাশটি ফেরত দিয়েছে বিএসএফ।

 

ছবি- মঙ্গলবার সীমান্তে দুই দেশের কর্মকর্তাদের মধ্যে পতাকা বৈঠক।

 

ওই বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজিবির গোবড়াকুড়া বিওপির কমান্ডার নায়েক সুবেদার হারুনুর রশিদ, হালুয়াঘাট থানার ওসি মোহাম্মদ আলী মামুদ ও ওসি তদন্ত আবু বক্কর ছিদ্দিক। তবে ভারতীয় বাহিনীর কারা উপস্থিত ছিলেন, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

 

মঙ্গলবারের বৈঠকের পর বিজিবির ময়মনসিংহ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তৌহিদুল ইসলাম স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা বিএসএফের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা যেটা বলেছে, কিছু বাংলাদেশি সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করতে চেয়েছিল। বিএসএফ চ্যালেঞ্জ করলে, তারা বিএসএফের ওপর চড়াও হয়। একপর্যায়ে বিএসএফ গুলি করে।’

 

ছবি – সীমান্তে নিহত বাংলাদেশি আবদুল জলিলের লাশ তিনদিন পর ফেরত দেওয়া হয়েছে।

 

এর আগে জলিলের ভাই খলিল জানিয়েছিলেন, গত সোমবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন তাঁর ভাই জলিল। পরে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ভারতীয় সীমানায় নদীর ঢালে জলিলকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। জলিল মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন বলেও জানান তিনি।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২:৩৫ পূর্বাহ্ণ | জুন ২৬, ২০২০