| সকাল ৮:৫০ - শনিবার - ১১ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ২৮শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ২রা জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

ময়মনসিংহে সপ্তম শ্রেণি’র স্কুলছাত্রী ও গৃহবধূকে ধর্ষণ

লোক লোকান্তরঃ  ময়মনসিংহে সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রী ও এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় মঙ্গলবার রাতে ও বুধবার সকালে পৃথক দুটি ধর্ষণের মামলা নথিভুক্ত হয়। তবে ধর্ষণের দু’টি ঘটনায় অভিযুক্তরা কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।

 

জানা গেছে, জেলার ঈশ্বরগঞ্জ পৌরসভার দত্তপাড়া গ্রামের এক কিশোরী স্থানীয় একটি বালিকা বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ালেখা করে। ছাত্রীটিকে প্রতিবেশী আবদুল গণির ছেলে স্নাতক অধ্যায়নরত মো. রবিন মিয়া প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের আশ্বাসে ধর্ষণ করে।

 

পরে জোর করে একটি ট্যাবলেট খাইয়ে দেয় কিশোরীটিকে। এতে টানা কয়েকদিন রক্তপাত হলে পরিবারকে বিষয়টি জানায় মেয়েটি।

 

এই পরিস্থিতে মঙ্গলবার এলাকায় সালিশ বসে। কিন্তু মীমাংসায় ব্যর্থ হলে রাতে থানায় অভিযোগ করেন ছাত্রীটির মা। পুলিশ রাতেই রবিন ও তার ভাবি রোনা আক্তারকে আসামি করে মামলাটি নথিভুক্ত করে।

 

অপরদিকে ঈশ্বরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সৈয়দভাকুরি গ্রামের মাহেন্দ্র চালক চাকা চুরি করেছে এমন অভিযোগ তুলে তার স্ত্রীকে (১৯) পুলিশের ভয় দেখিয়ে ২০ জুন তুলে নিয়ে যায় একই গ্রামের মতি মিয়া (৪৫)।

 

পরে নানা ভয় দেখিয়ে গৃহবধূকে বিভিন্ন স্থানে দুই দফা ধর্ষণ করে। পরে বিষয়টি কাউকে না জানাতে নানা ভয়ভীতি দেখায়। ১০ হাজার টাকা দিয়ে রফা করার চেষ্টাও করা হয়।

 

কিন্তু গৃহবধূর স্বামী কৌশলে নির্তাতিতা স্ত্রীকে নিয়ে থানায় এসে হাজির হয়। মতিসহ দুইজনকে অভিযুক্ত করে লিখিত অভিযোগ করেন নির্যাতিতা গৃহবধূ। পরে বুধবার মামলাটি থানায় নথিভুক্ত হয়।

 

পৃথক দু’টি ধর্ষণ মামলায় বুধবার নির্যাতিতাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়।

 

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মো. মোখলেসুর রহমান আকন্দ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, স্কুলছাত্রী ও গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশের চেষ্টা চলছে।

 

সুত্রঃ সমকাল

সর্বশেষ আপডেটঃ ৪:০২ অপরাহ্ণ | জুন ২৪, ২০২০