| সকাল ৯:১৫ - শনিবার - ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ময়মনসিংহ সীমান্তে নিহত বাংলাদেশি’র লাশ ফেরত দেয়নি বিএসএফ

লোক লোকান্তরঃ  ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট সীমান্তে পতাকা বৈঠকের পরও বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশির লাশ ফেরত দেয়নি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।

 

এ খবর নিশ্চিত করেছেন বিজিবি ময়মনসিংহ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তৌহিদুল ইসলাম।

 

মঙ্গলবার বিকেল ৫টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত বাংলাদেশের গোবড়াকুড়া সীমান্তে দুই দেশের সীমান্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে পতাকা বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

 

বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজিবির গোবড়াকুড়া বিওপির কমান্ডার নায়েক সুবেদার হারুনুর রশিদ, হালুয়াঘাট থানার ওসি মোহাম্মদ আলী মামুদ ও ওসি তদন্ত আবু বক্কর ছিদ্দিক। তবে ভারতীয় বাহিনীর কারা উপস্থিত ছিলেন, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

 

আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর এক কর্মকর্তা বলেছেন, বিএসএফ নিহত ব্যক্তির ছবি পাঠিয়েছে। ছবি দেখে স্বজনরা তাকে জলিল বলে শনাক্ত করেছেন।

 

বৈঠক শেষে স্থানীয় সাংবাদিকদের বিজিবির ময়মনসিংহ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বিএসএফের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা যেটা বলেছে, গত রাতে কিছু বাংলাদেশি সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করতে চেয়েছিল। বিএসএফ চ্যালেঞ্জ করলে, তারা বিএসএফের ওপর চড়াও হয়। একপর্যায়ে বিএসএফ গুলি করে।’

 

লাশ শনাক্তের বিষয়ে জানতে চাইলে লেফটেন্যান্ট কর্নেল তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এখনো লাশ দেখতে পারিনি। লাশ হস্তান্তর করলেই পরিচয় জানতে পারব।’ তবে নিহত যুবক বাংলাদেশের নাগরিক, অন্তত এটুকু নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে তিনি জানান।

 

লেফটেন্যান্ট কর্নেল তৌহিদুল ইসলাম আরো বলেন, ময়নাতদন্ত সম্পন্নের পর আজ কোনো এক সময় বাংলাদেশি নাগরিকের লাশ হস্তান্তর করা হবে বলে বিএসএফ তাঁকে জানিয়েছে।

 

জলিলের ভাই খলিল বলেন, গত সোমবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন তাঁর ভাই জলিল। তাঁর ভাই মানসিক ভারসাম্যহীন বলেও জানান খলিল। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে ভারতীয় সীমানায় নদীর ঢালে জলিলকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। খবর পেয়ে লাশ ফেরত পেতে সক্রিয় হয়ে ওঠে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১২:৪৮ অপরাহ্ণ | জুন ২৪, ২০২০