ঢাকা থেকে ময়মনসিংহে বাড়িতে এসে করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু
লোক লোকান্তরঃ ময়মনসিংহের ভালুকায় করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মাহবুবুল আলম নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ জুন) সকালে উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের বড়চালা গ্রামে নিজ বাড়িতে তার মৃত্যু হয়। তিনি বড়চালা গ্রামের মৃত ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে।
ময়মনসিংহের সিভিল সার্জন ডা. এবিএম মসিউল আলম তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, মাহবুবুল আলম সম্প্রতি ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে আসেন। বাড়িতে আসার পর থেকেই তিনি জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। মঙ্গলবার সকালে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে বাড়িতেই তার মৃত্যু হয়।
অপরদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে উপজেলার জামিরদিয়া মাস্টারবাড়ী এলাকায় অবস্থিত স্কয়ার ফ্যাশন কারখানার ইয়ং ডায়িং সেকশনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ শচীন্দ্র নাথের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার বিকেলে ময়মনসিংহের এস.কে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
সিভিল সার্জন ডা. এবিএম মসিউল আলম জানান, ভালুকার স্কয়ার ফ্যাশন কারখানার কর্মকর্তা শচীন্দ্র নাথ গত রোববার সকালে করোনার উপসর্গ নিয়ে এস. কে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হন। সোমবার বিকেলে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
পরে সোমবার রাতে নমুনা পরীক্ষায় তার করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। নিহত শচীন্দ্র নাথ বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার নামউট গ্রামের কৃষ্ট ঠাকুরের ছেলে। নিহতের লাশ তার গ্রামের বাড়িতে সৎকার করা হয়েছে।
এদিকে ময়মনসিংহে একদিনে র্যাবের ১০ সদস্যসহ ১১৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১০৫৯ জন।
সিভিল সার্জন ডা. এবিএম মসিউল আলম বলেন, সোমবার (১৫ জুন) ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে ৭৫২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৬২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ময়মনসিংহ জেলায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১১৮ জন।
এছাড়াও জেলার ১০ জন পুরাতন করোনা আক্রান্ত রোগীর পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। বাকি ৩৪ জন নেত্রকোনা, শেরপুর ও জামালপুর জেলার বাসিন্দা।
ফাইল ছবি