| সকাল ৬:০১ - রবিবার - ১৪ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ১লা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ৪ঠা শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ময়মনসিংহে আসার কারন ও বাগদত্তা’র কথা জানালেন নুসরাত ফারিয়া

লোক লোকান্তরঃ  ২০১৪ সালের ২১ মার্চ একটি অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়া ফেরত এক যুবকের সঙ্গে দেখা নুসরাত ফারিয়া’র। ফর্মাল কথাবার্তা দিয়ে শুরু। তারপর সে কথার জল গড়ালো প্রেম অবধি। ওই যুবকের নাম রনি রিয়াদ রশীদ।

 

এখন ফারিয়া রনি রিয়াদ রশীদের বাগদত্তা। তাই ছয় বছর আগে দুজনার দেখা হওয়া দিনটিকে স্মরণে রেখে লকডাউনের ঠিক আগের সপ্তাহে (২১ মার্চ) হাতে হাত রেখে আংটিবদল করে নিলেন তারা।

 

চুপিসারেই বাগদান করে ময়মনসিংহে থাকাকালে বিয়ের প্রস্তুতও নিয়েছেন, ঢাকায় ফিরে গিয়ে ইন্সটাগ্রামে ছবি আপলোডও করেছেন।

 

ময়মনসিংহ অঞ্চলে রনি রিয়াদ রশীদের বাবার একটি স্কুল আছে। ফারিয়া’র গাওয়া প্রথম গান ‘পটাকা’-এর প্রাপ্ত অর্থ সে স্কুলের মেয়েদের দিয়েছিলেন।

 

 

ফারিয়া ও রনি আর্মি পরিবারের সন্তান। তার বাবা সাবেক সেনাপ্রধান বীরপ্রতীক এম হারুন-অর-রশীদ।
তাদের দুজনের বেড়ে ওঠা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায়। এছাড়াও ময়মনসিংহে তাদের একটি ফার্ম হাউস আছে। এ জন্যই হয়তো এই জেলার নামটি এসেছে নানাভাবে।

 

নুসরাত ফারিয়া জানান, ‘তাদের প্রথম পরিচয়টা হয়েছিল ২০১৪ সালের ২১ মার্চ। তখন তিনি অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে এসেছেন। তাদের দু’জনের কমন এক বন্ধুর মাধ্যমে তার সঙ্গে পরিচয়। প্রথম দেখায় পড়াশোনা, কাজ, লাইফস্টাইল- এগুলো নিয়েই কথা বলেছি। উনি হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি থেকে পড়াশোনা শেষ করেছেন তখন।

 

তার সঙ্গে যখন আমার পরিচয় তখন আমি উপস্থাপনা করি। আমার নায়িকা হয়ে ওঠার পেছনে তার অনেক ভূমিকা ও অনুপ্রেরণা আছে। হয়তো তার কারণেই আমি নায়িকা হতে পেরেছি। সবসময় ইতিবাচক কথা বলে আমাকে সহযোগিতা করতেন এসব বিষয়ে।

 

যখন জাজ মাল্টিমিডিয়ার সঙ্গে যুক্ত হলাম, খুব ভয়ে ছিলাম। অনেকেই অনেক কথা বলেন। তিনি শুধু বলেছেন, অন্যের কথা শোনার দরকার নাই। নিজের কথাটা শোনা জরুরি।

 

 

এভাবেই তার প্রতি আমার ভালোলাগা বাড়তে থাকে। তবে পরিচয়ের এক বছর পর ভালোবাসার প্রস্তাবটা তার পক্ষ থেকেই আসে। কথা বলার সুবাদে আমরা ভালো বন্ধু বনে যাই, এরপর ভালোবাসা।

 

আমার হাতে একটা ডায়মন্ডের আংটি আছে, যা আমি অনেক আগে থেকেই পরি। উনি ডায়মন্ডের আংটি দিয়ে আমাকে প্রপোজ করেন। উনার প্রপোজের ভাষাগুলো আমার মনে ধরেছিল। সেটা আজ আর না বলি।’

 

ফারিয়া আরও জানান, রনির সঙ্গে আমার যখন পরিচয় হয়, তখন তিনি একটি মুঠোফোন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ছিলেন। এখন একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের পরামর্শক। পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়াতে সরকারি চাকরি করছেন। এছাড়া পারিবারিক ব্যবসা আছে।

 

বাগদানের ঘোষণায় কোন জীবন পরিবর্তন এসেছে কি না জানতে চাইলে তিনি জানান, হুম। বিয়ের খবর পেয়ে আমার ফলোয়ার এক ধাক্কায় ১০ হাজার কমেছে (হাসি)! এছাড়া বাকি সব স্বাভাবিকই ছিল। অনেকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এখনও জানাচ্ছেন। খুব ভালো লাগছে।

 

বিয়েটা লুকাবো না। বিয়ের আগে স্ট্যাটাস দেব। সম্ভবত ডিসেম্বরের দিকে আয়োজন হবে। এটা নির্ভর করছে পরিস্থিতির ওপর। করোনার প্রভাব কমে গেলেই ধুমধাম করে আয়োজন করতে চাই। সুত্র- বাংলা ট্রিবিউনের সাক্ষাৎকার থেকে নেয়া।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১২:০৩ অপরাহ্ণ | জুন ১১, ২০২০