| সকাল ১০:০৯ - শনিবার - ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের জীবনরহস্য উন্মোচন

লোক লোকান্তরঃ  বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসের জিনম সিকোয়েন্স (জীবনরহস্য) উন্মোচন করেছে শিশু স্বাস্থ্য গবেষণা ফাউন্ডেশন (সিএইচআরএফ)। এর ফলে ভাইরাসটির জীবনকাল, গতি-বিধি, আক্রমণের ধরন ইত্যাদি জানা সহজ হবে।

 

মঙ্গলবার (১২ মে) জিনোম সিকোয়েন্স তথ্যটি স্বীকৃতির জন্য জার্মানির সংস্থা গ্লোবাল ইনিসিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডাটায় (জিআইএসএইড) জমা দেওয়া হয়েছে। সিএইচআরএফের নির্বাহী পরিচালক ড. সমীর কুমার সাহার পক্ষে তার মেয়ে প্রতিষ্ঠানের অণুজীববিজ্ঞানী সেঁজুতি সাহা সিকোয়েন্সটি জমা দেন ।

 

এই গবেষণায় তার সঙ্গী ছিলেন রলি মালাকার, সাইফুল ইসলাম সজীব, হাসানুজ্জামান, হাফিজুর রহমান, শাহিদুল ইসলাম, জাবেদ বি আহমেদ ও মাকসুদ ইসলাম। গত ১৮ এপ্রিল এই গবেষণা দলটি ২২ বছর বয়সী এক নারীর কাছ থেকে করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ করে।

 

সিএইচআরএফের নির্বাহী পরিচালক ড. সমীর কুমার সাহা এই গবেষণাকাজে সহায়তা করার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, গেটস ফাউন্ডেশন, চ্যান-জাকারবার্গ বায়ো-হাবকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, করোনাভাইরাসের জিনম সিকোয়েন্স বাংলাদেশেও উন্মোচনের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হলো এ ধরনের গবেষণার সক্ষমতা বাংলাদেশের আছে। কারণ এ ধরনের ভাইরাসের জিনম সিকোয়েন্সিং বেশ জটিল। কিন্তু তাদের গবেষক দল এটি খুব সহজভাবেই করেছে।

 

ড. সমীর কুমার সাহা বলেন, করোনাভাইরাসের এই ধরন রাশিয়া ও সৌদি আরবেও দেখা গেছে। আরও ৫০ থেকে ১০০টি সিকোয়েন্স করলে বোঝা যাবে আমাদের দেশে কোন স্ট্রেইন (ধরন) সংক্রমণ ছড়াচ্ছে এবং সেটা কতটা মারাত্মক।

 

এর ফলে বাংলাদেশে ভাইরাসটির সংক্রমণ, বিস্তার, আচরণ এবং এর অভিযোজনের ধরনগুলোও জানা যাবে। একই সঙ্গে জিনম সিকোয়েন্সিংয়ের ফলে ভবিষ্যতে এই ভাইরাস প্রতিরোধে যে ধরনের ভ্যাকসিন আসবে সেগুলো বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কতটা কার্যকর এবং সেগুলো কোনো ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে কিনা তাও সহজে নির্ধারণ করা সম্ভব হবে।

 

উল্লেখ্য, এর আগে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপের কয়েকটি দেশ, চীন এবং ভারতের গবেষকরাও নিজ নিজ দেশে ছাড়ানো করোনাভাইরাসের জীবনরহস্য উন্মোচন করেছেন।

 

এর আগে বাংলাদেশি গবেষকরা পাট, ছাগল ও মাছের জীবনরহস্য উন্মোচন করে সফলতার স্বীকৃতি পেয়েছেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৯:০১ পূর্বাহ্ণ | মে ১৩, ২০২০