| দুপুর ২:৪৪ - বৃহস্পতিবার - ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১৮ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

কে এন-৯৫ মাস্ক তৈরি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশেই

লোক লোকান্তরঃ    এখন থেকে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধে কার্যকরি স্ট্যান্ডার্ড ‘কে এন-৯৫’ মাস্ক তৈরি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশেই। অনুমোদন পেলে সুলভ মূল্যে ১৫০-১৬০ টাকায় এই মাস্ক বিক্রি করবে জেএমআই হসপিটাল রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেড।

 

এরইমধ্যে নিজেদের তৈরি করা কে এন-৯৫ মাস্কের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ সফলভাবে শেষ করেছে জেএমআই গ্রুপের মেডিকেল সামগ্রী প্রস্তুতকারক এই প্রতিষ্ঠান।

 

চূড়ান্ত অনুমোদন ও পরীক্ষার জন্য নিজেদের তৈরি করা মাস্ক স্বাস্থ্য অধিদফতরে (ডিজিডিএ) পাঠিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

 

প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মো. আব্দুর রাজ্জাক গণমাধ্যমকে বলেন, করোনাভাইরাসের প্রকোপ দেখা দেয়ার পর চলতি বছরের শুরুর দিকে চীনা কোম্পানি লিজ ফ্যাশন-এর সহযোগিতায় মাস্ক ম্যানুফ্যাকচারিং লাইন স্থাপনের কাজ শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি।

 

জেএমআই হসপিটাল রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডের কারখানায় প্রতিদিন ৪০ হাজার এন-৯৫ মাস্ক তৈরি করা সম্ভব বলেও জানান তিনি।

 

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, অনুমোদন পেলে এন-৯৫ স্ট্যান্ডার্ড মাস্কের উৎপাদন শুরু করা হবে। উৎপাদিত মাস্কের মান নিশ্চিতে চীনের পণ্যমান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা অনুসরণ করা হবে। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সার্জিকাল মাস্ক ও গ্লাভস উৎপাদন করার অভিজ্ঞতা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।

 

চীনা কোম্পানি লিজ-এর প্রতিনিধি ও কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্স ম্যানেজার চার্লি উনান বলেন, যৌথভাবে উৎপাদিত এই কেএন-৯৫ মাস্কগুলোতে প্রয়োজনীয় ৪টি স্তর ছাড়াও একটি বিশেষ স্তর থাকবে। এর ফলে এটি যে কোনো বাজারের মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হতে পারে।

 

এ প্রসঙ্গে ডিজিডিএ’র পরিচালক মো. রুহুল আমিন বলেন, অনুমোদিত পরীক্ষাগারে মাস্কগুলো পরীক্ষার পর প্রতিষ্ঠানটির কারখানা পরিদর্শন করবে কর্তৃপক্ষ। সব কিছু সন্তোষজনক হলে প্রতিষ্ঠানটিকে পণ্য বাজারজাত করার অনুমতি দেয়া হবে।

 

বর্তমানে বাংলাদেশে আমদানিকৃত কে এন-৯৫ মাস্কগুলোর দাম ৩০০ টাকার কাছাকাছি। তবে, অনুমোদন পেলে ১৫০-১৬০ টাকায় কে এন-৯৫ মাস্ক বিক্রি করবে বলে জানিয়েছে জেএমআই গ্রুপ।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৪:৪০ পূর্বাহ্ণ | মে ১০, ২০২০