চিকিৎসক-নার্সের দিক দিয়ে সবচেয়ে কম ময়মনসিংহ বিভাগে
লোক লোকান্তরঃ করোনা মহামারীতে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে গোটা বিশ্ব, বাংলাদেশও তার থেকে বিরত নয়। মহামারীর আগে থেকেই বাংলাদেশে চিকিৎসক-নার্সের সংকট রয়েছে। আর মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে ফ্রন্ট লাইনে যুদ্ধ করে যাওয়া এই চিকিৎসক-নার্সদের মাঝে আকান্ত হয়েছেন অনেকে। এ ধরনের ঘটনায় ময়মনসিংহ তার ব্যাতিক্রম নয়।
আইইডিসিআরের তথ্যমতে, ময়মনসিংহ বিভাগে শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) পর্যন্ত বিভাগগুলোর মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ করোনা রোগী রয়েছে ময়মনসিংহে । এখন শুক্রবার পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৪২ জন, যা রাজশাহী, বরিশাল, খুলনা, রংপুর, সিলেটের চেয়ে বেশি।
অথচ করোনা রোগীদের চিকিৎসায় দেশের অন্য বিভাগগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম চিকিৎসক, সাপোর্ট স্টাফ, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, নার্স রয়েছে ময়মনসিংহে।
বাংলাদেশ সরকারের করোনা ইনফোর তথ্য বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্যমতে, ঢাকা ও চট্টগ্রামের পরই ময়মনসিংহ বিভাগে বেশি করোনা রোগী থাকলেও এ বিভাগে সাপোর্ট স্টাফ ১৪, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ১৩, নার্স ১৫ ও ২৩ জন চিকিৎসক রয়েছেন।
অন্যদিকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত সাতজন করোনা রোগী থাকা সিলেটে সাপোর্ট স্টাফ ২৩, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ৮, নার্স ৮২, চিকিৎসক ৭৮ ও অন্যান্য পাঁচজন রয়েছেন।
আটজন করোনা রোগী থাকা রাজশাহীতে সাপোর্ট স্টাফ ৯৫, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ১৭, নার্স ১২৯, চিকিৎসক ৯১ ও অন্যান্য ১০ জন।
৩৭ করোনা রোগী থাকা রংপুরে সাপোর্ট স্টাফ ৩৩, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ১৬, নার্স ৪৮, চিকিৎসক ৬১ ও অন্যান্য চারজন।
৩১ করোনা রোগী থাকা বরিশালে সাপোর্ট স্টাফ ১৮, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট সাত, নার্স ২৪ জন, চিকিৎসক ৩৯ এবং অন্যান্য ছয়জন।
ছয়জন করোনা রোগী থাকা খুলনায় সাপোর্ট স্টাফ ৩৯, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ২৩, নার্স ৬৭, চিকিৎসক ৬৬ ও অন্যান্য ১০ জন।
সর্বোচ্চ আক্রান্ত ঢাকায় সাপোর্ট স্টাফ ২৮, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ১৬, নার্স ৮৩, চিকিৎসক ১০৭ ও অন্যান্য আটজন।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ (৯২ জন) করোনা সংক্রমিত চট্টগ্রামে সাপোর্ট স্টাফ ৫৪, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ৩০, মাঠকর্মী একজন, নার্স ৯৮, চিকিৎসক ১৩০ এবং অন্যান্য পাঁচজন।
এদিকে ১৬ এপ্রিল ময়মনসিংহে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শ্রমিক আব্দুল কাদির চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।