| সকাল ১০:০৭ - শনিবার - ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ফাইনালে লড়াকু বাংলাদেশের বন্দনায় বিশ্ব

লোক লোকান্তরঃ  এইটাতো ভাগ্যের নির্মম পরিহাসই, শিরোপা জয়ের একেবারে কাছাকাছি পৌঁছেও স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় পুড়তে হয়েছে টিম বাংলাদেশকে। এশিয়া কাপের ১৪তম আসরের ফাইনালে অল্পের জন্য ছোঁয়া হয়নি বহুকাঙ্ক্ষিত সোনালি সেই ট্রফিটি।

 

নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে ফাইনালে ওঠা বাংলাদেশ লিটন কুমার দাসের প্রথম সেঞ্চুরিতে ভর করে বড় সংগ্রহের স্বপ্নই দেখছিল। কিন্তু মিডল অর্ডারের হঠাৎ ধসে সেই স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে যায়।

 

শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২২৩ রান। জবাবে ভারতকেও খেলতে হয় শেষ ওভারের শেষ বল পর্যন্ত।

 

রোমাঞ্চ ছড়ানো ফাইনালে শেষ বলে ৩ উইকেটের জয় তুলে নেয় ভারত। সেই সঙ্গে নির্ধারিত হয়ে যায় এশিয়ান ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠ দল।

 

সোনালি ট্রফিটা ভারত জিতলেও এদিন বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স মন জিতে নিয়েছে সবারই। তাই তো ফাইনাল শেষে লড়াকু তামিম-সাকিববিহীন বাংলাদেশের প্রশংসায় মাতে ক্রিকেট-বিশ্ব।

এই যেমন বাংলাদেশ দলের সাবেক বোলিং কোচ ও বিপিএলে ঢাকা গ্লাডিয়েটরসের প্রধান কোচ ইয়ান পন্ট লিখেছেন, ‘ভারত দুর্দান্তভাবেই রান চেজ করতে সক্ষম হয়েছে। এত প্রেসারের মাঝেও হিসাবি ব্যাটিং নিঃসন্দেহেই প্রশংসার দাবিদার। দুর্ভাগ্য বাংলাদেশের। কিন্তু তারা অসাধারণ লড়াই করেছে। গর্ববোধ করছি রুবেলের জন্য। দুর্দান্ত ফাইনাল।’

সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার ও বর্তমানে ধারাভাষ্যকার ভিভিএস লক্ষ্মণ লিখেছেন, ‘এশিয়া কাপ জেতায় ভারতকে অভিনন্দন। তামিম-সাকিবকে ছাড়াই এমন লড়াই, হাল ছেড়ে না দেওয়ার মন-মানসিকতা ও নিজেদের সর্বোচ্চটুকু উজাড় করে দিয়ে খেলার জন্য বাংলাদেশ দলকে টুপি-খোলা সম্মান। কেদার যাদভকেও সম্মান করতে হয় তার কীর্তির জন্য।’

 

আরেক সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার মোহাম্মদ কাইফ লিখেছেন, ‘ভারতকে অভিনন্দন এশিয়া কাপ জেতায়। বোলাররা পুরো টুর্নামেন্টেই ভালো করেছে। আর তার কারণেই আমরা এশিয়া কাপ জিততে পেরেছি। তবে সত্যি দুর্দান্ত প্রচেষ্টা উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ এবং ম্যাচটিকে এত গভীরে নিয়ে গেছে। শাবাস বাংলাদেশ।’

পাকিস্তান সুপার লিগের দল পেশোয়ার জালমির অফিশিয়াল পেজ থেকে ম্যাচ শেষে লেখা হয়েছে, ‘কী প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচই না ছিল এটা! যে কেউই জিততে পারত। তবে ভারতই জিতে নিয়েছে, তাদের অভিনন্দন। একেবারে শেষ বল পর্যন্ত দুই দলই অসাধারণ লড়াই উপহার দিয়েছে।’

 

এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) অফিশিয়াল পেজেও ফাইনাল শেষে লেখা হয়েছে, ‘র‌্যাঙ্কিংয়ের দুই নম্বর দলকে জয়ের জন্য এতটা কষ্ট করানো ও এতটা লড়াইয়ের জন্য বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলকে কৃতিত্ব দিতেই হয়।’

সর্বশেষ আপডেটঃ ২:৩৫ অপরাহ্ণ | সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৮