| সকাল ৬:৫৮ - রবিবার - ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ২৫শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ময়মনসিংহে যুবলীগের দু’টি গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ৮টি ককটেল বিস্ফোরণ

মুক্তাগাছা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ  ময়মনসিংহে মুক্তাগাছা উপজেলা যুবলীগের দু’টি গ্রুপের দ্বন্ধে শহরের নাপিতখোলা মোড় এলাকায় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

 

শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় এ ঘটনাটি ঘটে। এ সময় শহরে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে যুবলীগের একটি অংশ।

 

দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা যুবলীগের দু’টি গ্রুপের মাঝে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায়ও দু’টি গ্রুপের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। গতকাল রাত সোয়া ৯টার দিকে আবারো নাপিতখোলা মোড় এলাকায় পর পর ৮টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এসময় ৬টি ককটেল বিষ্ফোরিত হয়। দুটি তাজা ককটেল উদ্ধার পুলিশ উদ্ধার করে। এ সময় শহরে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।

 

পুলিশ নাপিতখোলা মোড় ও থানার সামনে থেকে কয়েকটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলমের সমর্থকরা রাত সাড়ে ৯টা থেকে ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এ সময় সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। রাত সাড়ে  ১১ টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ চলছিল।

 

উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, শহরের নাপিতখোলা মোড় এলাকায় তাকে লক্ষ্যকরে কয়েকটি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। এ সময় হামলাকারীরা মুখ বাঁধা অবস্থায় ছিল। তিনি আরো বলেন, তার প্রতিপক্ষ উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম মাহবুবুল আলম মনির লোকজনই তাকে লক্ষ্যকরে ককটেল নিক্ষেপ করে।

 

এ বিষয়ে উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম মাহবুবুল আলম মনির সাথে যোগাযোগ করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

 

মুক্তাগাছা থানার ওসি আলী আহমেদ মোল্লা বলেন, তারাবি নামাজ পড়ার সময় হঠাৎ শহরের নাপিতখোলা মোড়ে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এছাড়া তিনটি তাজা ককটেল উদ্ধার করা হয় ঘটনাস্থল থেকে।

 

ছবিঃ প্রতীকী

সর্বশেষ আপডেটঃ ৮:১৮ পূর্বাহ্ণ | জুন ০২, ২০১৮