| সকাল ৭:৩১ - শনিবার - ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ৯ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

আরামবাগ থেকে আটক ২ নারী জঙ্গির বাড়ি ময়মনসিংহে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ   একজনের নাম ‘হুরের রানী’, অপরজনের নাম ‘হিমালয়ের কন্যা’। ফেসবুক আইডিতে এমন নাম দেখে আকৃষ্ট হতো অনেকেই। ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট গ্রহণ করার পর থেকে চলতো কথোপকথন। তরুণ কিংবা তরুণী, সবার সাথেই কৌশলে স্থাপন করা হতো ভালো বন্ধুত্ব। এরপর সুযোগ বুঝে জিহাদের নামে করা হতো মগজ ধোলাই।

 

কিন্তু উগ্র মৌলবাদের ফাঁদে পা দেয়ার আগে কেউ বোঝে উঠতে পারতো না এ ‘হুরের রানী’ আর ‘হিমালয়ের কন্যা’র রহস্যময় নামের নেপথ্যে ছিল জেএমবি’র নারী শাখার ভয়ঙ্কর ২ নারী জঙ্গী। তথাকথিত জিহাদের নামে শুধু এদেশেই নয়, সুদূর সিরিয়া ও আফগানিস্তানে যাওয়ার প্রস্তুতিও নিচ্ছিল তারা। এর আগে তাদের বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু শেষ অবধি র‌্যাবের জালে ধরা পরে তারা।

 

বৃহস্পতিবার র‌্যাব-১১ এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, বুধবার ভোর রাতে রাজধানীর আরামবাগ থেকে বিপুল পরিমান জঙ্গিবাদি বই ও লিফলেটসহ জেএমবির দুই নারী সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হল রুবাইয়া বিনতে নূর উদ্দিন ওরফে হুরের রানী ওরফে লাবিবা (২০) এবং নাঈমা আক্তার ওরফে হিমালয়ের কণ্যা (২৫)।

 

এই নাঈমা আক্তার ওরফে হিমালয়ের কণ্যার বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার বাক্তা ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামে। লোক লোকান্তররের প্রতিবেদক শুক্রবার জুমার নামাজের পর সরজমিনে নাঈমার গ্রামের বাড়ী শ্রীপুরে গেলে প্রাথমিকভাবে কাউকে পাওয়া যায়নি।

 

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব জানায়, হিমালয়ের কন্যা নামের আইডিধারী নাইমা আক্তার ময়মনসিংহের একটি নারী হোস্টেলে থেকে জেএমবির গোপন বৈঠক পরিচালনা করতো। তিনি ময়মনসিংহের একটি কলেজে পদার্থ বিজ্ঞানে মাস্টার্সে অধ্যায়নরত ছিলেন।

 

র‌্যাবের একটি সূত্র জানায়, সম্প্রতি তারা আইনশৃংখলা বাহিনীর উপর বড় ধরণের একটি হামলার পরিকল্পনা করে। পাশাপাশি হামলা সফল করে বিদেশ পাড়ি দেয়ার জন্য ভুয়া নামে পাসপোর্টও তৈরি করা হয়েছিল।

 

র‌্যাব আরও জানায়, রুবাইয়া বিনতে নূর উদ্দিন ওরফে হুরের রাণীর মা ফিরোজা বেগম নিজেও একজন জঙ্গী। মূলত তার অনুপ্রেরণাতেই সে জঙ্গিবাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ময়মনসিংহের একটি স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়ন ছেড়ে মাদ্রাসায় লেখাপড়া শুরু করে।

 

সর্বশেষ আপডেটঃ ৭:১৬ অপরাহ্ণ | মে ১৮, ২০১৮