ময়মনসিংহে ধানের কমমূল্যে কৃষকের মুখ মলিন
আনছারুল হক রাসেল, হালুয়াঘাট থেকে : ধানের মূল্য কমথাকায় বোরো আবাদের খরচ উঠছে না ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের অনেক কৃষকের। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের মূল্য কম। বর্তমান বাজারে প্রতিমন ধানের মূল্য ৫০০-৬০০ টাকা। প্রায় দুইমন ধানের দামে একদিনের শ্রম কিনতে হচ্ছে কৃষকের।
গত ৩০ মার্চ উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের ১৫-২০ টি গ্রামে ব্যাপক শিলাবৃষ্টিতে ঘর বাড়ি সহ বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ধানের শীষ মরা রোগে আক্রান্ত হয়ে হালুয়াঘাট উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামের কৃষকেরই কমবেশী ক্ষতি হয়।
ধানক্ষেতে রক্তচোষা জোক ও পানি থাকায় শ্রমিকের শ্রমের মূল্য দিতে হচ্ছে দ্বিগুন। বর্তমান বাজারে একজন শ্রমিককের একদিনের শ্রমের মূল্য ৭৫০-৮০০ টাকা।
পশ্চিম গোবরাকুড়া গ্রামের ফরহাদ রেজা জানায় ৯ কাঠা জমিতে ২৮ জাতের ধানের আবাদ করে ১৪ মন ধান পেয়েছে যার প্রতি কাঠা জমিতে খরচ হয়েছে ১ হাজার টাকা। কালিয়ানীকান্দা গ্রামের আফাজ উদ্দিন জানায়, তার ১৪ একর জমির ধান রোগে আক্রান্ত হয়ে নষ্ট হয়ে গেছে।
খন্দকপাড়া গ্রামের কাসুম আলী জানায় যে সকল কৃষক হাইব্রীড ধানের আবাদ করেছে তারা লাভবান হয়েছে। যে সকল কৃষক ২৮ ধানের আবাদ করেছে তারা খরচ উঠাতে পারেনি।
ধান কাটার সময় অধিক বৃষ্টি থাকায় কৃষকরা ধান নিয়ে পড়েছে বিপাকে। বৃষ্টির কারনে কৃষকরা ধান শুকাতে পারছেনা। কৃষকরা শীলাবৃষ্টি, ঝড় বৃষ্টি ও শীষ মরা রোগে ধানের ফলন বেশী না পাওয়ার পর ধানের মূল্য কম পাওয়া এ যেন ‘মরার উপর খারার ঘা’।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় এ বছর হালুয়াঘাটে প্রায় ২০ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে উফসী জাতের ধান ১৫ হাজার ১৬৫ হেক্টর এবং হাইব্রিড জাতের ধান ৫ হাজার ২০০ হেক্টরে চাষ করা হয়। বোরে আবাদে প্রায় ৪০ শতাংশ ব্রি-২৮ জাতের ধান রোপন করা হয়েছিল।