| ভোর ৫:৫৫ - শনিবার - ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ২০শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

১৩ ঘণ্টায় ৩৭ হাজার বজ্রপাত

লোক লোকান্তরঃ  কালবৈশাখী মৌসুমে ঝড়ের সঙ্গে বজ্রপাতের ঘটনা স্বাভাবিক। ঘনকালো মেঘে চারপাশ চেপে, ধরায় নামা বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত জনমনে উদ্রেকও তৈরি করে। তবে বিশাল পরিমান বজ্রপাত প্রকৃতির ‘বিরূপ প্রতিক্রিয়া’ হিসেবেই দেখছেন বিজ্ঞানীরা।

 

ভারতে দক্ষিণাঞ্চলীয় অন্ধ্র প্রদেশে মঙ্গলবার মাত্র ১৩ ঘণ্টায় ৩৬ হাজার ৭৪৯টি বজ্রপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার থেকে রাজ্যটিতে এ সব বজ পাতে ৯ বছরের এক বালিকাসহ ৯ জন মারা গেছে।

 

রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বলেছে, এত বেশি সংখ্যক বজ পাত সচরাচর দেখা যায় না। চরম দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণেই এমনটি হয়েছে। ভারি বর্ষা মৌসুমে ভারতে প্রায়ই বজ্রপাত হয়। সাধারণত জুন থেকে বর্ষাকাল শুরু হয়ে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত থাকে। খবর বিবিসির।

 

ভারতের বিশেষ করে অন্ধ্র প্রদেশে বর্ষা শুরুর আগে থেকেই সাধারণত মুহুর্মুহ বিদ্যুৎ চমকায় বলে জানিয়েছেন রাজ্যের জরুরি সেবা কেন্দ্র পরিচালনাকারী কর্মকর্তা কিষাণ শঙ্কু। এ রাজ্যে মঙ্গলবার বজ্রপাতের যে রেকর্ড করা হয়েছে তা একেবারেই ব্যতিক্রমী। কারণ, রাজ্যটিতে গত বছরের বজ্রপাতের রেকর্ডে দেখা গেছে, পুরো মে মাসজুড়ে সেখানে ৩০ হাজারটি বজ পাত ঘটেছে।

 

বিজ্ঞানীরা অনেকেই মনে করেন, বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে সামনের দিনগুলোতে বজ পাত আরও বেশি বাড়বে। অন্ধ্র প্রদেশের উত্তরাঞ্চলীয় উপকূলেই বজ পাত হয় বেশি। ওই এলাকায় প্রায়ই ভারি বৃষ্টিপাত হয়। এ বছর আরব সাগরের ঠাণ্ডা বাতাস আর উত্তর ভারতের উষ্ণ বাতাসের সংমিশ্রণে মেঘের ঘনঘটা বেড়ে যাওয়ায় রাজ্যে বজ পাতের সম্ভাবনাও বেড়েছে।

 

ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর হিসাব মতে, ভারতে ২০০৫ সাল থেকে প্রতি বছর বজ পাতে অন্তত ২ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ২০১৬ সালের জুনে বিহার, ঝাড়খন্ড, উত্তরপ্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশে বজ পাতে ৯৩ জন নিহত এবং ২০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত দেশগুলোর তুলনায় ভারতে বজ পাতে মানুষের প্রাণহানির সংখ্যা অনেক বেশি। উন্নত দেশগুলোতে প্রতি বছর বজ্রপাতে গড়ে মারা যায় মাত্র ২৭ জন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৪:০৩ অপরাহ্ণ | এপ্রিল ২৭, ২০১৮