| রাত ৮:১২ - সোমবার - ৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ২৬শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

বিদেশি ফলের চাহিদা বেড়েছে

লোক লোকান্তরঃ  বায়তুল মোকাররমের সামনে ফুটওভার ব্রিজ সংলগ্ন গলিতে প্রায় ৮-১০টি দোকানে বিক্রি হচ্ছে হরেক রকমের বিদেশি ফল। ভিন্নধর্মী দেখতে চমৎকার রঙ বেরঙের এসব ফলের প্রতি মানুষের রয়েছে আলাদা আগ্রহ। সাজিয়ে রাখা এসব ফলে ক্রেতাসাধারণের নজর কাড়ছে।

 

দেশের বাজারে বিদেশি ফলের চাহিদা গত কয়েক বছর অনেকটা বেড়েছে। আপেল আমদানিতে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম এবং মাল্টা আমদানিতে অষ্টম। প্রতিদিন ১৫ লাখ ৭৭ হাজার কেজি বিদেশি ফল দেশে ঢুকছে। বছরে বিদেশি ফলের বাজার প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার।

 

প্রতিবছর বাড়ছে দেশি ফলের উৎপাদন। একই সঙ্গে চাহিদাও বাড়ছে । বাজারে চাহিদার তুলনায় দেশি ফলের উৎপাদন কম।

 

দেশীয় বাজারে পাওয়া যাচ্ছে থাইল্যান্ড, ভারত, চীন, জর্দান, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ আফ্রিকাসহ বিভিন্ন দেশের ফলফলাদি। পাওয়া যাচ্ছে লাল ড্রাগন, সাদা ডাগন, হলুদ তরমুজ, জর্দানি খেজুর, থাই লিচু, সাম্মাম, থাই কাঁঠাল, ভারতীয় আম, নাসপাতি, দক্ষিণ আফ্রিকার লাল আপেল, দুরিয়ামসহ নানা ফল।

 

বিক্রেতা জানান, বিদেশি এসব ফল আমরা পুরান ঢাকার বাদামতলী, ওয়াইজঘাট ও সদরঘাট আড়ৎ থেকে পাইকারি কিনে এখানে বিক্রি করি। বছরের সব সময়ই এসব বিদেশি ফল বিক্রি করি, বিদেশি ফল ক্রেতারা পছন্দ করে।

 

লাল ড্রাগন বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকা কেজি, সাদা ড্রাগন ৪০০-৫০০, হলুদ তরমুজ কেজি প্রতি ১৫০-১৮০, থাই লিচু ১৬০০-২০০০ টাকা কেজি, ফিলিস্তিনি খেজুর ১২০০-১৪০০ ও হলুদ সাম্মাম ৩০০-৪০০ টাকা। দুরিয়াম বা থাই কাঁঠাল বিক্রি করা হয় ৬৫০-৭০০ টাকায়। নাশপাতি প্রতি কেজি ১৬০-১৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তবে সিজিনভেদে দরদাম ওঠানামা করে বলে জানান বিক্রিতারা।

 

২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রতিদিন বিদেশি ফল আমদানি হয় ১৫ লাখ ৭৭ হাজার কেজি, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ২৪ শতাংশ বেশি। বিদেশি ফলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আমদানি হয় আপেল, আঙুর, কমলা, মাল্টা, ডালিম ও নাশপাতি। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের ৪৬টি দেশ থেকে এই ফল গুলো আমদানি হয়।

 

পণ্যের তথ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক পোর্টাল ইনডেক্স মুন্ডির তথ্য অনুযায়ী, আপেল আমদানিতে সপ্তম হলেও এই ফল খাওয়ার দিক থেকে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ১৮তম। আপেল খাওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্বে এক নম্বর চীন। এই তালিকায় ভারতের অবস্থান পাঁচ নম্বরে।

আপেলের পরই বিদেশি ফলের বড় বাজার মাল্টার। গত অর্থবছর সমুদ্রবন্দর ও স্থলবন্দরগুলো দিয়ে খালাস হয়েছে ১৯ কোটি ৯১ লাখ কেজি মাল্টা।

 

অবশ্য বিদেশি ফলের বাজার বাড়লেও দেশি ফলের প্রতিই মানুষের ঝোঁক বেশি বলে জানান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। বাংলাদেশে ফলের উৎপাদন বাড়ছে। মানুষ দেশি ফল বেশি না খেলে উৎপাদন বাড়ত না।

 

আম উৎপাদনে বিশ্বে সপ্তম স্থান বাংলাদেশের। সঠিক হিসাব ধরা হলে বিশ্বে কাঁঠাল উৎপাদনেও এক নম্বরে উঠে আসবে বাংলাদেশের নাম। গত বছর ১৬ লাখ টন কাঁঠাল উৎপাদিত হয়েছে। বর্তমানে শীর্ষ স্থানে থাকা ভারতের উৎপাদন এর চেয়ে কম।

 

সর্বশেষ আপডেটঃ ৪:৪২ পূর্বাহ্ণ | এপ্রিল ২১, ২০১৮