প্রধান শিক্ষককে পেটালো দফতরি
লোক লোকান্তরঃ প্রধান শিক্ষক ও এক সহকারী শিক্ষককে পিটিয়ে আহত করেছে ওই বিদ্যালয়ের দফতরি এবং তার স্বজনরা। গুরুতর আহত ওই দুই শিক্ষক এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
রোববার কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার সন্তোষপুর আদর্শ দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, দফতরি আবদুল লতিফের বাড়ি প্রতিষ্ঠানের পার্শ্ববর্তী হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ে এসে স্বাক্ষর করে চলে যান। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক তাকে অনেকবার মৌখিকভাবে সতর্ক করলেও তা কর্ণপাত না করে পাল্টা তার সম্পর্কে অশ্লীল মন্তব্য করে আসছিলেন।
কতৃর্পক্ষকে না জানিয়ে দফতরি আবদুল লতিফ গত ২৭ ও ২৮ মার্চ বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলেন। প্রধান শিক্ষক তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করে না পেয়ে ২৯ মার্চ বিষয়টি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পৌর মেয়র আব্দুর রহমান মিয়াসহ অন্যান্য সদস্যদের অবহিত করেন।
এর প্রেক্ষিতে ৩১ মার্চ ম্যানেজিং কমিটির বৈঠক বসে। এতে সর্ব সম্মতিক্রমে দফতরি লতিফের ওই দুই দিনের বেতন কর্তন ও এক মাসের জন্য (১ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল) তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
এরই জের ধরে রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান শিক্ষক আব্বাস আলী বিদ্যালয়ে আসামাত্র আগে থেকে সেখানে থাকা দফতরি লতিফ, তার ছোট ভাই লুৎফর রহমান, বাবা আব্দুল খালেকসহ ১৫-১৬ জন তাকে বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পেটান। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। এর কিছুক্ষণ পরে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবদুল হাই সেখানে আসামাত্রই তাকেও তারা ব্যাপক মারধর করে।
পরে গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
প্রধান শিক্ষক আব্বাস আলী বলেন, আমি প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে দফতরি লতিফ বিদ্যালয়ে এসেই স্বাক্ষর করে বেরিয়ে যেত। মাঝে মাঝেই ছুটি না নিয়েই বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকত। কিছু বললেই সে ও তার স্বজনরা বিভিন্ন সময় আমার সঙ্গে অশোভন আচরণ করত।
মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম বলেন, সকাল ১১টার দিকে শুনি প্রধান শিক্ষকসহ এক সহকারী শিক্ষককে মারধর করা হয়েছে। বিষয়টি ন্যাক্কারজনক। আমি তাদের মামলা করতে বলেছি।