গভীর অরণ্যে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে পাঁচ যুবক
লোক লোকান্তরঃ মোবাইলফোনে বন্ধুত্বের ফাঁদে ফেলে শালবনের গভীর অরণ্যে নিয়ে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণ করেছে পাঁচ যুবক। ঘটনার পর রাতেই অভিযান চালিয়ে ওই পাঁচ যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার বিকালে দিনাজপুরের বীরগঞ্জে গণধর্ষণ এর ঘটনাটি ঘটে। রোববার ঐ ছাত্রীর বাবা এ ব্যাপারে বাদী হয়ে বীরগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার সোনাহার ডাঙ্গীপাড়া (বগুড়াপাড়া) গ্রামের মৃত শফিকুল ইসলামের ছেলে রশিদুল ইসলাম (৩৫), দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার মাকড়াই গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে আব্দুল মজিদ (৩৫), বীরগঞ্জ হাটখোলা (হঠাৎপাড়া) গ্রামের দুলাল হোসেনের ছেলে মো. সুমন (২২), জগদল হাটপুকুর গ্রামের আবদুস সালামের ছেলে মো. সুলতান ওরফে সাদ্দাম (২৩) এবং মাকড়াই দক্ষিণ পাড়া গ্রামের জগদীশ হেম্ব্রমের ছেলে রুবেল হেম্ব্রম (২২)।
ওই ছাত্রীর বাবার দায়েরকৃত এজাহারের উদ্ধৃতি দিয়ে বীরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মহসেউল গণি জানান, গত একমাস আগে মোবাইলফোনের মাধ্যমে ওই ছাত্রীর সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তোলে রশিদুল ইসলাম। শনিবার বিকাল ৩টার দিকে ফোনে মেয়েটিকে ডেকে মোটরসাইকেলে তুলে বীরগঞ্জ শালবনের গভীর অরন্যে নিয়ে যায় রশিদুল ইসলাম।
শালবনের ভেতর প্রথমে রশিদুল তাকে জোরপুর্বক ধর্ষণ করে। এরপর আবদুল মজিদ, সুমন, সুলতান ওরফে সাদ্দাম এবং রুবেল হেম্ব্রম ওই ছাত্রীকে ভয় দেখিয়ে গণধর্ষণ করে।
এসময় ওই ছাত্রীর চিৎকারে বনবিভাগের লোকজন এবং স্থানীয় লোকজন এসে ছাত্রীকে উদ্ধার করে। লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়।
বীরগঞ্জ থানার ওসি আবু আককাছ আহমদ জানান, রোববার ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।