| রাত ১২:২১ - বুধবার - ২৪শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ৯ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১৭ই মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

ময়মনসিংহে যে সকল স্থাপনার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন বা উদ্বোধন করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ  ময়মনসিংহ বিভাগের কার্যক্রম সুন্দর ও সুষ্ঠভাবে বাস্তবায়ন ও কাজে গতিশীলতা আনতে আগামী ৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ময়মনসিংহ আসছেন। এসময় বিভাগীয় হেড কোয়ার্টার, সকল জেলার উন্নয়ন ভাবনাসহ বেশ কয়েকটি  স্থাপনার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন বা উদ্বোধন করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।

 

১৩ মার্চ, মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের হল রুমে আগামী ৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ময়মনসিংহ বিভাগীয় শহরে আগমন উপলক্ষে এক প্রস্তুতিমূলক সভার আয়োজন করা হয়।

 

ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার জিএম সালেহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, এছাড়া সভায় ধর্মমন্ত্রী আলহাজ্ব অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, ডা.আমানউল্লাহ এমপি, শরিফ আহমেদ এমপি, আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিন,ফাতেমা জোহরা রানী এমপি রেঞ্জ ডিআইজি নিবাস চন্দ্র মাঝিসহ ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলা নেত্রকোনা, শেরপুর, জামালপুর ও ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম, মেয়র ইকরামুল হক টিটু, জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এবং সরকারি উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

 

এসময় কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ যে উচ্চতায় এগিয়েছেন এটা আজ থেকে দশ বছর আগে কেউ ভাবেনি। দেশকে এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি গেছেন সম্মিলিত দাবি ও প্রচেষ্টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের দাবি পূরুন করে ময়মনসিংহকে দেশের অষ্টম বিভাগ উপহার দিয়েছেন।

 

আগামী ৫ এপ্রিল উন্নয়ন ভাবনা নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরের উদ্বোধনযোগ্য ও ভিত্তিপ্রস্তরযোগ্য বিভিন্ন স্থাপনা, নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ছবিঃ মঙ্গলবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ময়মনসিংহ আগমন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভার আয়োজন করা হয়।

মতিয়া চৌধুরী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ময়মনসিংহ সফরকে উৎসব মুখর পরিবেশে সাফল্য মন্ডিত করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানিয়ে আরো বলেন, ময়মনসিংহকে আধুনিক বিভাগ হিসাবে গড়ে তোলাসহ বিভাগের কার্যক্রম দ্রুততার সাথে সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে সম্মিলিত প্রচেস্টা প্রয়োজন।

 

তিনি আরো বলেন, ‘বিভাগীয় হেড কোয়ার্টার, সকল জেলার উন্নয়ন ভাবনা নিয়ে সকলের মতামতের প্রয়োজন রয়েছে। আমি সকলের মতামত শুনতে এবং প্রয়োজনীয়তা জানতে এসেছি। যা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে।’

 

সভায় ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার জিএম সালেহ উদ্দিন বলেন, রাস্তা, ব্রীজ, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন, ভুমিহীন ও অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের বাসস্থান নির্মাণ, শহর ও ইউনিয়ন ভুমি অফিস, ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ, শহরের আলমগীন মুনসুর (মিন্টু )মেমোরিয়াল কলেজ, নাসিরাবাদ কলেজ, অম্বিকাগঞ্জ কলেজ, শাহগঞ্জ কলেজ, খুররম খান চৌধুরী কলেজ, আনোয়ারুল হক খান চৌধুরী কলেজ, সমুর্তজান কলেজ, ঈশ্বগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ, আঠারবাড়ী ডিগ্রি কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নবনির্মিত বহুতল ভবন উদ্বোধন করবেন।

 

এছাড়া প্রধানমন্ত্রী বিভাগীয় কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়, বিভাগীয় সার্কিট হাউস, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ময়মনসিংহ, আন্তর্জাতিকমানের বঙ্গবন্ধু নভো থিয়েটার, ব্রহ্মপুত্র নদের ওপারে নতুন শহর রক্ষাবাঁধ, বিভাগীয় স্টেডিয়াম, ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর তিনটি সেতু নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।

 

পাশাপাশি জেলা সমাজসেবা কমপ্লেক্স (৫ম) তলা ভবন নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তরসহ ধোবাউড়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আওতায় জয়িতা ফাউন্ডেসনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।

ছবিঃ মঙ্গলবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ময়মনসিংহ আগমন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভার আয়োজন করা হয়।

এছাড়া ময়মনসিংহ সড়ক বিভাগের আওতায় গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রসস্থতা বৃদ্ধিসহ উন্নয়নের আওতায় ময়মনসিংহ-নেত্রকোণা সড়কের ৩৬ কিঃমিঃ, গফরগাও-বরমী- মাওনা সড়কের ২৫ কিঃ মিঃ, ত্রিশাল-বালিপাড়া-নান্দাইল (কানুরামপুর) সড়কের মজবুত ও প্রসস্থিকরণ, জামালপুর-চেচুয়া-মুক্তাগাছা আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রসস্থিকরণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর করা হবে।

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৫ এপ্রিল ঐতিহাসিক সার্কিট হাউজ মাঠ থেকে ব্রহ্মপুত্র নদের বিপরীতে নতুন আধুনিক বিভাগীয় শহরের বিভিন্ন দপ্তরের ভবন নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপনসহ বিভাগের ১ শ ২০টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন ও নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করবেন বলে জানা গেছে।

 

এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষ্যে পৌরসভার আওতায় বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর আগমন পথ সড়ক মেরামত, সংস্কার, স্পিড বেকার অপসারণ, বেআইনী স্থাপিত বিল বোর্ড অপসারণ, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, শহর পরিচ্ছন্নতাসহ বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী ভবন রং করতে স্ব-স্ব মালিকগণকে তাগিদ দেওয়া হয়। একই সাথে হোটেল, রেস্তোরায় অগ্নিনির্বাপন যন্ত্র যাচাইও পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষকে জোর তাগিদ দেন বিভাগীয় কমিশনার।

 

এছাড়াও সভায় ময়মনসিংহে অর্থনৈতিক জোন গড়ে তোলাসহ, শহরের চারটি খাল ও ব্র‏পুত্র নদ খনন, ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথকে ডাবল লাইনে উন্নতকরণ, নতুন করে আরো একটি কলেজ সরকারী করণ, একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনসহ অল্পতম সময়ে ময়মনসিংহকে সিটি কর্পোশেন হিসাবে ঘোষণা করতে বক্তারা কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর সহযোগীতা কামনা করা হয়।

 

ছবিঃ লোক লোকান্তর

 

সর্বশেষ আপডেটঃ ১১:৪৪ পূর্বাহ্ণ | মার্চ ১৪, ২০১৮