যে রেকর্ড করে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কাকে পেছনে ফেলল বাংলাদেশ
লোক লোকান্তরঃ শনিবার নিদাহাস ট্রফিতে শ্রীলঙ্কার দেয়া ২১৫ রানের জয়ের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১৯.৪ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। এক কথায় ইতিহাস! প্রেমাদাসা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ইতিহাসের সাক্ষী হলো বাংলাদেশের ক্রিকেট।
কারনটা হল, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বেশি রান তাড়া করে জয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের এই জয় চতুর্থ। আর এশিয়া মহাদেশের মধ্যে সবার উপরে। অর্থাৎ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা রয়েছে বাংলাদেশের পেছনে।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি নিউজিল্যান্ডের দেয়া ২৪৪ রানের লক্ষ্যমাত্রা সামনে রেখে ব্যাট করতে নেমে পাঁচ উইকেটে জয় পেয়েছিল অজিরা।
অস্ট্রেলিয়ার পরই রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকার দেয়া ২৩২ রানের জয়ের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে তারা চার উইকেটে জয় পেয়েছিল।
তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ইংল্যান্ড। ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার দেয়া ২৩০ রানের জয়ের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে তারা দুই উইকেটে জয় পেয়েছিল।
চতুর্থ অবস্থানটি শনিবার নিদাহাস ট্রফিতে শ্রীলঙ্কার দেয়া ২১৫ রানের জয়ের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১৯.৪ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।
যখন চারপাশে শুধুই সমালোচনা। দলটিকে কষ্ট আর হতাশা যখন পোড়াচ্ছিল খুব। তখনই জ্বলে উঠল বাংলাদেশ দল। নতুন গল্প লেখার ‘ঝুঁকি’ নিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা। ভয়কে জয় করে সফল হলো লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। নিদাহাস ট্রফিতে ৫ উইকেটে হারাল সেই শ্রীলঙ্কাকে, যাদের বিপক্ষে ঘরের মাঠে দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছিল এই বাংলাদেশ। সৃষ্টি হলো নতুন ইতিহাস।
পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে ভারত। ২০০৯ সালে তারা শ্রীলঙ্কার দেয়া ২০৭ রানের জয়ের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ছয় উইকেটে জয় পেয়েছিল।
নিদাহাস ট্রফিতে বাংলাদেশ আজ নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমেছিল। সিরিজে গত ৮ মার্চ ভারতের বিপক্ষে ছয় উইকেটে হেরেছিল বাংলাদেশ। আর গত ৬ মার্চ ভারতকে পাঁচ উইকেটে হারিয়েছিল শ্রীলঙ্কা।