| সকাল ৮:২৭ - বুধবার - ৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ২৫শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ২৮শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

যুবককে অপহরণ করে নগ্ন ভিডিও ধারণ ও রাতভর নির্যাতন, গ্রেফতার ২

লোক লোকান্তরঃ  এক যুবককে অপহরণের পর শরীর থেকে সব কাপড় খোলে আট বোতল ফেন্সিডিল দিয়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে রাতভর নির্যাতন করে টাকা ও স্বর্ণ ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে ঘটেছে।

 

শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের প্রতাপগঞ্জ বাজার এলাকা থেকে হৃদয় সরকার (২৪) সোহেল (২৮) নামের দুইজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি উপজেলা সদরে এ অপহরণের ঘটনা ঘটে।

 

গ্রেফতারকৃতরা বাঞ্ছারামপুর গ্রামের নিতাই সরকার ও আবুল হাসেমের ছেলে। শনিবার রাতে এ ঘটনায় ওই যুবক বাদী হয়ে হৃদয়, সোহেলসহ সাতজনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।

 

থানা পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক বছর আগে বাহরাইনে চাকরি করার সময় মাহবুব, বিল্লাল ও হৃদয় সরকারের সঙ্গে উপজেলার চরশিবপুর গ্রামের ছগির মিয়ার সঙ্গে পরিচয় হয়। গত বছরের ২৭ নভেম্বর ছুটিতে বাড়িতে আসেন ছগির মিয়া।

 

২৬ ফেব্রুয়ারি দুপুরের দিকে ওই যুবক ব্যক্তিগত কাজে উপজেলা সদরে ইসলামী ব্যাংক থেকে এক লাখ ১০ হাজার টাকা ওঠান। পরে ইসলামী ব্যাংকের কাছেই লালমোহন মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের সামনে মাহবুবের সঙ্গে দেখা হয়। এ সময় ব্যাংক থেকে টাকা তোলার কথা মাহবুবকে বলেন তিনি।

 

এ সময় তাকে জোরপূর্বক একটি অটোরিকশায় উঠিয়ে মাহবুব, বিল্লাল, হৃদয়, অলি বাঞ্ছারামপুর গ্রামের বাগেরহাটি কাছে শিমুলের পুকুর এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে একটি ঘরে আটকে তাকে তারা নির্যাতন করে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা এক লাখ ১০ হাজার টাকা ও হাতের একটি স্বর্ণের আংটি ছিনিয়ে নেয়। নির্যাতনের এক পর্যায়ে ওই যুবকের শরীর থেকে জামা-কাপড় খুলে আটটি ফেন্সিডিলের বোতল সামনে দিয়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে।

 

মো. ছগির মিয়া বলেন, মাহবুবের নেতৃত্বে বিল্লাল, অলি ও হৃদয় কৌশলে আমাকে অপহরণ করে। পরে একটি পুকুর পাড়ের নির্জন ঘরে আটকে রেখে নির্যাতন করে এবং একপর্যায়ে শরীর থেকে সব কাপড় খোলে আট বোতল ফেন্সিডিল দিয়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে তারা।

 

এইসব কথা কাউকে জানালে কিংবা থানায় মামলা করলে হত্যার হুমকিও দেয় আমাকে। সেই দিনের পরে আমার কাছে আরও টাকা দাবি করে। টাকা না পেয়ে ভিডিওচিত্রটি ফেসবুকে ছেড়ে দেয়।

 

বাঞ্ছারামপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাব্বির রহমান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হৃদয় অপহরণ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। অন্য আসামিরা পলাতক রয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সবাই বাঞ্ছারামপুর গ্রামের বাসিন্দা। তাদেরকে গ্রেফতার করতে অভিযান চালানো হচ্ছে। হৃদয়কে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৮:৫২ অপরাহ্ণ | মার্চ ০৪, ২০১৮