| দুপুর ১:৫১ - শুক্রবার - ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

৪৭৮টি ক্যামেরার মাধ্যমে সুন্দরবনে বাঘ গণনা শুরু

লোক লোকান্তরঃ   বাংলাদেশ, ভারত ও নেপাল এই তিন দেশে একযোগে বাঘ গণনার কাজ শুরু হয়েছে। সুন্দরবনের খুলনা ও শরণখোলা রেঞ্জের ৪৭৮ বর্গকিলোমিটার এলাকায় গণনার কাজ চলবে। ক্যামেরায় ছবি তোলা ও বাঘের পায়ের ছাপ গুনে এই গণনা করা হবে। এ কাজে তাদের সহায়তা করবে বেসরকারি সংস্থা ওয়াইল্ড টিম। ২০১৯ সালের জুন মাসে জরিপের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

 

বন বিভাগের প্রকৃতি ও সংরক্ষক ও বন্য প্রাণী বিভাগের প্রধান জাহিদুল কবির জানান, বিশ্বখ্যাত ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনে বাঘের প্রকৃত সংখ্যা কত তা নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন। তাই ফের বাঘ গণনার কাজ শুরু হল। এবারই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশসহ ভারত, নেপাল ও ভুটানে একই সঙ্গে শুরু হচ্ছে বাঘ শুমারি।

 

তিনি বলেন, ১৪ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকেই এ গণনা শুরু হয়েছে। ৪৭৮টি ক্যামেরা গুনবে সুন্দরবনের বাঘ। সুন্দরবনের খুলনা ও শরণখোলা রেঞ্জের ৪৭৮ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ক্যামেরায় ছবি তুলে, খালে বাঘের পায়ের ছাপ গুনে এবং তার গতিবিধির অন্য তথ্য-প্রমাণ ব্যাখ্যা করা হবে। ২০১৯ সালের জুন মাসের দিকে জরিপের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

 

খুলনা বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. মদিনুল আহসান জানান, এবার বাঘের সংখ্যা গণনার পাশাপাশি বাঘ যেসব প্রাণী খায়, সেগুলোর অবস্থাও পর্যবেক্ষণ করা হবে। ২০১৫ সালে সরকারের বন বিভাগ প্রকাশিত জরিপে দেখা গেছে, বাঘের সংখ্যা ১০৬। একই সংস্থা ২০০৪ সালে বলেছিল, বাঘের সংখ্যা ৪৪০। এবারের গণনায় বন বিভাগ ও ওয়াইল্ড টিমের মোট ৫৬ কর্মী কাজ করবেন।

 

ক্যামেরায় ছবি তোলা ও খালে বাঘের পায়ের ছাপ গুনে এ গণনার কাজ চলবে ৭৫ দিন। সুন্দরবনের মধ্যে ২৩৯টি গ্রিড পয়েন্টে এসব ক্যামেরা স্থাপন করা হবে।

 

বাঘ হেঁটে গেলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ক্যামেরায় ছবি উঠবে। ক্যামেরা ট্রাপিং বা ‘ক্যামেরাফাঁদ’ নামের এ পদ্ধতি ছাড়াও যেসব খালে বাঘ পানি খেতে আসে, সেখানে বাঘের পায়ের ছাপ গুনেও সংখ্যা গণনা হবে।

 

জানা যায়, ক্যামেরায় একেকটি বাঘের হয়তো শতাধিক ছবি উঠতে পারে। সব মিলিয়ে হয়তো কয়েক হাজার ছবি উঠবে। এসব ছবি বিচার বিশ্লেষণ করে বাঘের সংখ্যা বের করা হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২:০৪ অপরাহ্ণ | ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৮