ময়মনসিংহে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে ধরা খেলেন তিন সন্তানের বাবা
লোক লোকান্তরঃ এক কিশোরীকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন তিন সন্তানের জনক। কিশোরীর বুদ্ধিমত্তায় পুলিশ ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে এ ঘটনা ঘটেছে। – খবর প্রথম আলো।
খবরে বলা হয়, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির নাম আবদুস ছালাম (৪৫)। তাঁর স্ত্রী ও তিন সন্তান রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে প্রতারণার মাধ্যমে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। তাঁর বাড়ি হালুয়াঘাট উপজেলার আতুয়া জঙ্গল গ্রামে। পেশায় তিনি মুদি দোকানি।
বুধবার পুলিশ আবদুস ছালামকে আদালতে তুললে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর নানা বাড়ি ছালামের পার্শ্ববর্তী এলাকায়। মা-বাবা দুজনই পেশাগত কারণে ঢাকায় থাকায় কিশোরী নানাবাড়িতে বসবাস করছে।
ভুক্তভোগী কিশোরী ও পুলিশ জানায়, আবদুস ছালাম ছয় মাস ধরে তাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। গত সোমবার দুপুরে ছালাম তাকে ৩০০ টাকার একটি স্ট্যাম্পে সই করতে বলেন। কিশোরী বিষয়টি প্রতারণা বুঝতে পেরে ছালামকে বলে, কাগজটি বাড়ি নিয়ে গিয়ে সই করে পরদিন (গতকাল) ফেরত দেবে। পরে সে স্ট্যাম্পটি পুলিশকে দেখায়।
পুলিশ কৌশলে আবদুস ছালামকে কিশোরীর বাড়িতে ডেকে নিয়ে গ্রেপ্তার করে।
কিশোরীর ভাষ্য, ‘আমার বাবা-মা গরিব বলে তিনি আমাকে অনেক লোভ দেখান। বিয়ের পর অনেক সোনার অলংকার ও জমি লিখে দেওয়ার কথা বলেন। আমি পুলিশের কাছে সব খুলে বলি।’
হালুয়াঘাট সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. আলমগীর বলেন, নারী নির্যাতন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আবদুস ছালামকে আজ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ফাইল ছবি