| সকাল ১০:৪১ - বুধবার - ২৪শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ৯ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১৭ই মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

ত্রিশালে ইউপি চেয়ারম্যান মুকুলের রোষানল প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সরকারী জমি দখলের চেষ্টা, থানায় মামলা

স্টাফ রির্পোটার:প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করে ময়মনসিংহের ত্রিশালে দলীয় প্রভাবশালী নেতাদের ছত্রছায়ায় এক ইউপি চেয়ারম্যান সরকারী জমি দখল করে স্থাপনা নির্মান করছে। স্থানীয় প্রশাসন বাধা দিতে গেলে উল্টো তাদের হুমকি-ধমকি প্রদান করেন ওই ইউপি চেয়ারম্যান।

 

জানাযায়, ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিস নির্মানের জন্য ১৯৯০ সালে রামপুর মৌজায় ৩০ শতাংশ জমি অধিগ্রহন করে একটি বিল্ডিং নির্মান করে। অফিসের খালি জায়গার সীমানা ঘেষে স্থানীয় আওয়ামীলীগনেতা পরিচয় দানকারী বইলর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল দখল শুরু করে।

 

২০০২ সালে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তর থেকে তাকে এ ব্যপারে প্রথম চিঠি প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে দীর্ঘদিনে এই চেয়ারম্যান জনস্বাস্থ্যের ১০ শতাংশ জমি দখল করে। এ ব্যপারে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল তাকে ১৫টি চিঠি প্রদান করলেও বারবারই প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করে জমি দখল করে।

 

সর্বশেষ গত ১০ই নভেম্বর নতুন করে বিল্ডিং নির্মান করতে চাইলে প্রকৌশল অধিদপ্তর ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক বরাবর চিঠি প্রেরন করে। এরই প্রেক্ষিতে গত শনিবার উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে জনস্বাস্থ্যের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্মানাধীন কাজ বন্ধের কথা বললে মুকুল চেয়ারম্যান তাদের বিভিন্ন ধরনের অশ্লীল গালিগালাজ ও অসাদাচরণ করে।

 

ঘটনাটি জানার পর পরই ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুজাফর ও অফিসার ইনচার্য ঘটনাস্থলে নির্মানাধীন বিল্ডিংয়ের কাজ বন্ধ করে দেন। এরই প্রেক্ষিতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী কর্মকর্তা মুনসুর আহমেদ খান বাদী হয়ে মুকুল চেয়ারম্যান সহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে রবিবার রাতে ত্রিশাল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

 

এলাকায় সরজমিনে জানাযায়, মুকূল চেয়ারম্যান একজন দুর্নীতিবাজ, অশ্লীল বাক্যব্যবহারকারী মামলাবাজ চেয়ারম্যান। তিনি বিভিন্ন ভাবে মানুষকে মামলা দিয়ে হয়রানি করে জমি দখল করে। মামলাবাজ মুকুল চেয়ারম্যান নিজে বাদী ও বিবাদী মিলিয়ে প্রায় অর্ধশতাধিক মামলা রয়েছে। স্থানীয় এক শ্রেনীর আওয়ামীলীগ নেতাদের ছত্রছায়ায় তিনি এসব অপকর্ম করে থাকেন।

 

বইলর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম সর্দার বলেন, মুকুল চেয়ারম্যান একজন দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী ও মামলাবাজ। সে এলাকার নিরীহ মানুষকে মামলা দিয়ে হয়রানি জমি দখল করে। এলাকায় সে ভূমিদস্যু হিসেবে পরিচতি।

 

বইলর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আলতাব হোসেন জানান, মুকুল চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগের প্রাথমিক সদস্যও নেই। বরং সে আওয়ামীলীগ নিয়ে নানা বাজে মন্তব্য করে। সে আওয়ামীলীগকে আওজালীগ বলে গালি দেয়।

 

ত্রিশাল থানা অফিসার ইনচার্য জাকিউর রহমান জানান, সরকারী জমি দখলের চেষ্টায় ত্রিশাল থানায় একটি মামলা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুজাফর রিপন বলেন, আমরা এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করব।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৭:৪০ অপরাহ্ণ | নভেম্বর ২০, ২০১৭