ফুলবাড়ীয়া-ময়মনসিংহ সড়ক খানাখন্দকে ভরা , ভোগান্তির শেষ নেই
![](https://old.loklokantor.com/wp-content/uploads/2017/11/Fulbaria-Mymensingh-Road-.jpg)
মো: আব্দুস ছাত্তার, ফুলবাড়ীয়া : ফুলবাড়ীয়া-ময়মনসিংহ প্রায় ২০কিলোমিটার সড়ক ও জনপথ বিভাগের সড়ক এখন বেহাল। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় খানাখন্দকে ভরে গেছে।
উপজেলা পর্যায়ের অনেক জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা সড়কটি সংস্কারে অভিযোগ করলেও স্থায়ী কোন সমাধান আসছে না। বর্তমানে ২০কিলোমিটার সড়কের ৭/৮কিলোমিটার রাস্তা স্থায়ী মেরামত না করলে যে কোন সময় মারাত্মক দূর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিভাগীয় ও জেলা শহর ময়মনসিংহে যাতায়াতের জন্য একমাত্র সড়ক এটি। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন ও লাখ লাখ মানুষ বিভিন্ন প্রয়োজনে চলাচল করে। এ রাস্তাটি ময়মনসিংহে যেতে সোজা ও সহজ হওয়ায় পাশ্ববর্তী ঘাটাইল, মধুপুর, সাগরদীগি, সখিপুরসহ বিভিন্ন স্থানের মানুষ সড়কটি ব্যবহার করে।
ময়মনসিংহ জেলা শহরে কোর্ট-কাচারী, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ দাপ্তরিক বিভিন্ন প্রয়োজনেই তাদের যেতে হয়। গত ৩ বছর যাবত রাস্তাটির অবস্থা নাজুক থাকলেও প্রতি বছর নামমাত্র সংস্কার করা হয়।
৩ কিলোমিটার রাস্তা খারাপ থাকলে টেন্ডার হয় আড়াই কিলোমিটার, এভাবেই চলছে জোড়াতালি দিয়ে। ফলে এ অঞ্চলের মানুষের ভোগান্তি পিছু ছাড়ছে না। কসাইবাড়ী, দাপুনিয়া বাজার, কাতলাসেন বাজার, দেওখোলা বাজার, লক্ষীপুর বাজার, দশমাইল বাজার, ১১ মাইল বাজার, ফুলবাড়ীয়া বাজার ও ফুলবাড়ীয়া ফায়ার সার্ভিস এ ম্পটগুলো এত খারাপ মানুষ ও যানচলাচলে কষ্টের সীমা নেই।
অনেক গর্ভবর্তী মায়ের সন্তান প্রসব হওয়ার খবরও পাওয়া যায়, বহু রোগির অবস্থা শংকাজনক হয়ে যায়। বিকল হয় যানবাহন। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে গাড়ির মালিক ও চালকরা, কষ্টপায় যাত্রীরা।
৩/৪মাস আগে যে রাস্তাটুকু সংস্কার হয়েছিল তার ভিটুমিন উঠে যাচ্ছে। এসব অংশে ঢালাই রাস্তা না হয়ে জোড়াতালি হলে আবারও শংকা থাকবে। ফুলবাড়ীয়া উপজেলার গুরুত্বপূণ্য রাস্তা পাকা থাকলেও উপজেলা সদরের রাস্তার করুনদশা। গ্রাম থেকে উপজেলা সদরে সেবা নিতে এসে ভোক্তভোগিরা হতাশা ব্যক্ত করেন। তবে কিভাবে হবে সমাধান তাও জানা নেই স্থানীয়দের।
গত প্রায় ১মাস যাবত ভালুকজান এলাকায় খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে খোয়া ভাঙ্গা হচ্ছে কিন্তু এখনো বুঝা যাচ্ছে না রাস্তায় কি ধরনের কাজ হবে। ফায়ার সার্ভিস থেকে সড়ক সংস্কারের কাজ ইদানীং শুরু হলেও তা হচ্ছে লোকদেখানোর মত। সড়কের দুই পাশ ভাঙ্গা থাকলেও কোন রকম ভরাট করেই পিচ করা হচ্ছে। গাড়ীর চাপে এখনই সড়ক চেপ্টা হয়ে দুই পাশে দেয়া ইট হেলে পড়ছে।
পথচারী আব্দুল কাদের, মুন্নাফ হোসাইন ও নাজরুল ইসলাম বলেন, এনায়েতপুর গ্রাম থেকে ৩০কিলোমিটার ভালুকজান পর্যন্ত এসেছি ৩০মিনিটে আর তা থেকে ফুলবাড়ীয়া উপজেলা পরিষদ ১কিলোমিটার ২০মিনিটে এসেছি, সমস্ত শরীর জেনে গেছে, ব্যথার বড়ি খেতে হবে।
গাড়ী চালক মোশারফ হোসেন বলেন, পেটের দায়ে গাড়ি চালাই রাস্তার বেহাল অবস্থা দেখে মনচায় গাড়ি চালানো বাদ দেই।ময়মনসিংহগামী লুৎফর রহমান জানান, বাবা অসুস্থ দাপুনিয়া বাজারে নেমে ভাঙ্গা রাস্তা পার হয়ে আবার সিএনজি’তে চড়লাম।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার লীরা তরফদার জানান, এটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের রাস্তা তাদেরকে বার বার কাজটি করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এড. মো: আজিজুর রহমান জানান, জেলা সমন্বয় কমিটির সভায় এ রাস্তা নিয়ে বহুবার কথা হয়েছে, তারা আমাদের কে আশ্বাসের ভেলকিতে রেখেছেন।
তবে যাই হোক জেলা প্রশাসক ফুলবাড়ীয়ায় এমন খবরে ফুলবাড়ীয়াবাসী আশান্বিত যে, তিনি সরেজমিনে রাস্তাটি দেখে ফুলবাড়ীয়াবাসীর দূর্ভোগ অনুধাবন করতে পারবেন।