| সকাল ৬:০৩ - শনিবার - ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ২০শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

অভিনেতা রাজীবের ১৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী

লোক লোকান্তর: বাংলা চলচ্চিত্রের প্রবাদপ্রতিম খল অভিনেতাদের মধ্যে যারা অনন্য, রাজীব তাদের মধ্যে একজন। কখনো অত্যাচারী জমিদার, কখনো এলাকার মাস্তান, কখনো আবার চোরাকারবারি- এই সব চরিত্র যিনি নিমেষেই ফুটিয়ে তুলতে পারতেন তিনিই হচ্ছেন রাজীব।

 

তার পুরো নাম ওয়াসীমুল বারী রাজীব। খল চরিত্রের বাইরেও ছিল তার পদচারণা। জন্মেছিলেন ১৯৫২ সালে। প্রায় দুই শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন রাজিব। কিছু কিছু চলচ্চিত্রে খলনায়কের চরিত্রকে তিনি এমনভাবে ফুটিয়ে তুলেছিলেন যে, কেবলমাত্র তার অভিনয় শৈলীর কারণেই সিনেমাগুলো অমর হয়ে আছে। বাংলা চলচ্চিত্রে তার অবদান অনস্বীকার্য।

 

অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ রাজীব লাভ করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেতার পুরস্কার। কিন্তু হায়! খল চরিত্রের দিকপাল এই মহাপুরুষ দীর্ঘায়ু নিয়ে পৃথিবীতে আসেননি আর তাই ২০০৪ সালের ১৪ নভেম্বর, মাত্র ৫২ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। মৃত্যুর পূর্বে ক্যান্সারে আক্রান্ত অবস্থায় দীর্ঘদিন শয্যাশায়ী ছিলেন তিনি। আজ তার ১৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী। মৃত্যুবার্ষিকীতে তাকে স্মরণ করছেন বর্তমান অভিনয় সংশ্লিষ্ট কলাকুশলীরা।
রাজীব অভিনীত দুই শতাধিক সিনেমার মধ্যে বেশ কিছু ছবি রয়েছে যেগুলো আজও আবেদন হারায়নি। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- ‘ভাত দে’, ‘দাঙ্গা’, ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’, ‘বিক্ষোভ’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘দেনমোহর’, ‘বাবার আদেশ’, ‘মহামিলন’, ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘সত্যের মৃত্যু নেই’, ‘দূর্জয়’, ‘স্বপ্নের পৃথিবী’, ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’, ‘প্রেম পিয়াসী’, ‘বুকের ভেতর আগুন’, ‘ভণ্ড’, ‘অনন্ত ভালোবাসা’, ‘মগের মুল্লুক’, ‘স্বপ্নের বাসর’, ‘চেয়ারম্যান’ ও ‘ওদের ধর’।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৭:৪০ অপরাহ্ণ | নভেম্বর ১৪, ২০১৭