| দুপুর ১২:২৩ - রবিবার - ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

ভারতের সঙ্গে ১২টি রেল সংযোগ পুনরায় চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে

লোক লোকান্তরঃ  রেলমন্ত্রী মুজিবল হক জানিয়েছেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধ হয়ে থাকা বারোটি রেলওয়ে সংযোগ পুনরায় চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে আখাউড়া-আগরতলা রেললাইনের ভারতীয় অংশের কাজ শুরু হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।

 

শুক্রবার রোটারি ক্লাব অব আগরতলার উদ্যোগে আয়োজিত ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মন্ত্রী ১১ জনের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে আগরতলায় আসেন।

 

এসময় রেলমন্ত্রী মুজিবল হক জানিয়েছেন, তৎকালীন সময়ে ভারত ভাগ হওয়ার পর বন্ধ থাকা বারোটি রেল সংযোগ পুনরায় চালুর পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। খুব শিগগির বাংলাদেশের দিকে কাজ শুরু হয়ে যাবে। টেন্ডার ডাকা হয়েছে। ভারতীয় আর্থিক সহায়তায় এ প্রকল্পের কাজ পরিচালিত হচ্ছে । ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সরকার প্রকল্পের জন্য টাকা পেয়েছে।

 

রেলমন্ত্রী বলেন, তিতাস ও ভৈরব নদীর ওপর দ্বিতীয় রেল সেতু নির্মিত হয়েছে ভারতীয় অর্থিক সহায়তায়। কিছু দিনের মধ্যে এই সেতুটির উদ্বোধন হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দিল্লি থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দেবেন বলে তিনি জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, ঢাকা থেকে কলকাতায় ‘মৈত্রী এক্সপ্রেস’ ট্রেন চালু রয়েছে। ডিসেম্বরে বাংলাদেশের খুলনা থেকে কলকাতার মধ্যে ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ নামে একটি ট্রেন চালু হবে।

 

রেলমন্ত্রী আরও বলেন,আগরতলা-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক রেলপথ নির্মাণের কাজ শুরু হয়ে গেছে। আগরতলায় বাধারঘাটে জমি অধিগ্রহণের কাজ প্রায় শেষের পথে। এরই মধ্যে যে জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে সেখানে রেলপথ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।

 

প্রস্তাবিত রেলপথের মানচিত্র অনুযায়ী এই রেলপথ নির্মাণ হয়ে গেলে আগরতলা থেকে কলকাতার দূরত্ব দুই তৃতীয়াংশ কমে যাবে। তেমনই দূরত্ব কমবে দেশের অন্যান্য শহরগুলির সঙ্গেও। শুধু তাই নয়, ত্রিপুরাকে ও উত্তর-পূর্ব ভারতকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রবেশদ্বার বানানোর যে পরিকল্পনা চলছে এই রেলপথটি নির্মাণ তারই এক উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।

 

অনুমান করার হচ্ছে ২০১৮-১৯ সাল থেকেই এই লাইনে রেল চলাচল শুরু হয়ে যাবে। প্রকল্পটি নিয়ে বাংলাদেশের সাথে চুক্তি হয়েছিল তদানীন্তন ইউপিএ সরকারের আমলে। কিন্তু মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই প্রকল্পটি যথেষ্ট গুরুত্ব পায় এবং কাজ শেষ করার সময়সীমা আরও এগিয়ে আনা হয়। একই সঙ্গে দ্রুত অর্থ মঞ্জুর করা হয়। এই রেল চালু হলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরো নিবিড় হবে আশা করা হচ্ছে।

 

আখাউড়া সীমান্তের রেলমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে ইন্টিগ্রেডেট চেকপোস্টে (আইসিপি) উপস্থিত ছিলেন- আগরতলায় নিয়োজিত বাংলাদেশের অ্যাসিস্ট্যান্ট হাইকমিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট হাইকমিশনার মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন, দ্বিতীয় সচিব মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনসহ রোটারি ক্লাব আগরতলার সদস্যরা।

 

ছবিঃ সংগৃহীত

সর্বশেষ আপডেটঃ ৮:৫২ পূর্বাহ্ণ | অক্টোবর ২৮, ২০১৭