লাশ উদ্ধারের পর প্রতিবেদন করার সময় শ্বাস-প্রশ্বাসের টের পেল পুলিশ!
লোক লোকান্তরঃ পুকুরে মানুষের দেহ ভাসতে দেখে লাশ মনে করে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। পুলিশ গিয়ে পুকুর থেকে দেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল, এমন সময় লাশের নাক দিয়ে রক্ত পড়ছিল। নাকে হাত দিয়ে অনুভব করা গেল মৃদু শ্বাস-প্রশ্বাস চলছে। ফলে সুরতহাল না করে দ্রুত নেয়া হয় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজহাসপাতালে। চিকিৎসার পর লোকটি এখন অনেকটাই সুস্থ। তবে চিকিৎসকদের মতে, সে মানসিকভাবে অসুস্থ।
সিলেটের শাহপরাণ থানার ওসি আক্তার হোসেন জানান, শহরের খাদিমপাড়ায় একটি মাছের খামারে লাশ ভেসে আছে, এমন খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার পুলিশ সেখানে গিয়ে পুকুর থেকে লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদন করার প্রস্তুতি নেয়। ঠিক ওই সময় নাক দিয়ে রক্ত পড়তে দেখে হাত দিয়ে দেখা গেল শ্বাস-প্রশ্বাস চলছে। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে পুলিশ। জ্ঞান ফেরার পর আনুমানিক ৩০ বছর বয়সের লোকটি তার নাম ইব্রাহিম মোল্লা ও ভাইয়ের নাম জুয়েল বলে জানান। বাড়ি সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার দয়ামীর এলাকায়। তবে শনিবার পর্যন্ত তার স্বজনদের কোনো খোঁজ মেলেনি।
সিলেট মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়, লাশ ভেসে থাকার খবর পেয়ে উদ্ধারের পর অচেতন অবস্থায় লোকটিকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার পর রাতে তার চেতনা ফেরে। তবে পানিতে পড়ার ঘটনাসহ নিজের পরিচয় সম্পর্কে সঠিক কোনো তথ্য দিতে পারছেন না লোকটি। একেক সময় একেক রকম তথ্য দেয়ায় মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে লোকটির পরিচয় শনাক্ত করতে বিভিন্ন থানায় বার্তা পাঠানো হয়েছে।
কর্তব্যরত পুলিশ সদস্য এএসআই ফারুক জানান, ইব্রাহিম এখন সুস্থ আছে। হাঁটতে পারছে। এ মুহূর্তে সে মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসাধীন। তবে তার মানসিক চিকিৎসা প্রয়োজন। কিন্তু পূজার ছুটির কারণে তাকে মানসিক চিকিৎসা বিভাগে স্থানান্তর করা যাচ্ছে না।