| রাত ১১:৪৩ - সোমবার - ৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ২৬শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

ময়মনসিংহের ফুটবল কন্যা সাবিনার লাশ পারিবারিক গোরস্থানে দাফন

লোক লোকান্তরঃ   বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল অনুর্দ্ধ-১৫ দলের সদস্য সাবিনা খাতুনের (১৪) অকাল মৃত্যুতে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার কলসিন্দুরের রানিপুর গ্রামে বইছে শোকের মাতম। সহপাঠী ও খেলার সাথী ও সতীর্থের অকাল মৃত্যুতে মৃত্যু কিছুতেই মানতে পারছে না সানজিদা, তহরা ও মার্জিয়ারা।

 

বুধবার সকাল ১০টায় কলসিন্দুর মাদ্রাসা মাঠে সাবিনার জানাযার নামাজে শরিক হন হাজারো জনতা। জেলা প্রশাসন ও জেলা ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলী জানানো হয়।

 

জানাজায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক একেএম গালিব খান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আঃ খালেক, জেলা ফুটবল ফেডারেশনের কর্মকর্তাবৃন্দ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহদী হাসান, উপজেলা চেয়ারম্যান মজনু মৃধা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আঃ মান্নান আকন্দ, সাধারন সম্পাদক প্রিয়তোষ বিশ্বাস বাবুল, কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সসহ স্থঅনীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও ফুটবল প্রেমীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে রানিপুর গ্রামের পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়।

 

২০১৫ সালে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ বালিকা আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়নশিপ টুর্নামেন্টে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন, বাংলাদেশের জাতীয় দলের কিশোরী ফুটবলারদের মধ্যে সাবিনা খাতুনও ছিল। সাবিনা ধোবাউড়া উপজেলার কলসিন্দুরের রানিপুর গ্রামে তার মায়ের সঙ্গে বসবাস করতেন। তার বাবা সেলিম মিয়া আগেই মারা গেছেন। কলসিন্দুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন সাবিনা।

 

গত ১৯ সেপ্টেম্বর গ্রীষ্মকালীন ক্রিড়া প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে বাড়িতে আসে। অসার পর থেকে জ্বরে ভোগছিল সে। মঙ্গলবার দুপুরে সাবিনাকে গুরুত্ব অসুস্থ অবস্থায় ধোবাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সোয়া তিনটার দিকে সাবিনাকে মৃত ঘোষনা করে। এখবর ছড়িয়ে পড়লে সতীর্থ, এলাকাবসী ও সর্বস্তরের মানুষে মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে।

 

১৪ বছরের কিশোরী সাবিনা আক্তারের সংসারে এক বোন, এক ভাই ও মা ছাড়া আর কেউ নেই। বাবা সেলিম মিয়া মারা গেছেন প্রায় ৯ বছর বছর পূর্বে। এরপর থেকেই সংসারে টানাপোড়েন। নেই নিজের বাড়ি। বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। ছোটভাই আর মাকে নিয়ে থাকতো মামার বাড়িতে। এখান থেকেই শুরু ফুটবল খেলা। গত বছরই সে জেএসসি পরিক্ষায় ভাল ফলাফল করে। আর খেলাধুলায় ছিল বেশ মনোযোগী।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৩:১৮ পূর্বাহ্ণ | সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৭