| সন্ধ্যা ৬:০৪ - রবিবার - ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

ময়মনসিংহের ভালুকায় উৎপাদন হবে ভারতের বিখ্যাত আইসার ট্রাক

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ   ময়মনসিংহের ভালুকায় রানার মোটরস লিমিটেড এ অনুষ্ঠিত হলো সিকেডি ট্রাক সংযোজন প্রকল্পের গ্রাউন্ড ব্রেকিং অনুষ্ঠান। এখন থেকে বাংলাদেশে উৎপাদন হবে ভারতের বিখ্যাত আইসার ট্রাক।

 

মঙ্গলবার দুপুরে সীডস্টোর রানার মোটরস-এ আয়োজিত অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ভারতের ভি ই কমার্সিয়াল ভেহিকেলন এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও বিনোদ আগারওয়াল।

 

এসময় রানার মোটরস এর চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান, ভিইসিভি’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএস গিল, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট (অপারেশন) আদিত্য কুমার, শ্রীবাস্তব, শ্রী পঙ্কজ উপাধ্যায়, কৌশিক ভট্রাচার্য, করুন অরুরোসহ কোম্পানীর দুই দেশের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

 

সিইও মিঃ বিনোদ আগরওয়াল জানান, বাংলাদেশে গত তিন দশক যাবত আইশার মোটরস এর ট্রাক ও বাস সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করছে। বাংলাদেশে গত তিন বছরে আইশার ট্রাকের মার্কেট শেয়ার আগের তুলনায় চারগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য তিনি বাংলাদেশে তাঁদের পরিবেশক রানার মোটরস এর প্রশংসা করেন। ভি ই কমার্শিয়াল ভেহিকেলস সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে জ্বালানী সাশ্রয়ী ও পরিবেশ বান্ধব উন্নত যানবাহন তৈরি করে কমার্শিয়াল ভেহিকেলস এর জগতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

 

বিশ্ববিখ্যাত “ভোলভো” কোম্পানির আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা ও আইশারের উদ্ভাবনী প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটিয়ে পণ্যের গুনগত মান উন্নয়নে ভিইসিভি অবিরাম কাজ করে চলেছে। রানার মোটরস লিঃ এর উদ্যোগে স্থাপিত এই সিকেডি গাড়ী সংযোজন প্রকল্পটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। ভিইসিভি এই প্রকল্পের সাফল্যের জন্য সব রকম কারিগরি সহায়তা প্রদান করবে। ফলে বাংলাদেশে ভবিষ্যতে আরও সাশ্রয়ী মুল্যে আইশার ট্রাক বাজারজাত করা সম্ভব হবে এবং এখানে দক্ষ প্রকৌশলী ও কর্মী তৈরি হবে।

 

রানার মোটরস লিঃ এর চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান জানান, প্রায় ৩০ একর জমিতে নির্মিতব্য এই সিকেডি প্রকল্পটিতে ভিইসিভি থেকে “সম্পূর্ণ বিযুক্ত অবস্থায়” আমদানী করা আইশার এর বিভিন্ন মডেলের ট্রাক সংযোজন করা হবে। বাংলাদেশ সরকারের ঘোষিত নীতিমালা অনুসারে দেশে স্থানীয় ভাবে গাড়ী উৎপাদনের প্রাথমিক উদ্যোগ হিসাবে এটি স্থাপন করা হচ্ছে। তিনটি পর্যায়ে এর কাজ সমাপ্ত হবে।

 

১ম পর্যায়ে এসেম্বলি লাইন ও টেস্টিং লাইন স্থাপন, ২য় পর্যায়ে যুক্ত হবে “টপ কোট পেইন্টিং লাইন ও কেবিন ট্রিমিং” এবং ৩য় পর্যায়ে যুক্ত হবে “বডি শপ”, “সিইডি প্রাইমার” ও “ফ্রেম ওয়েলডিং ফ্যসিলিটি”। ২০১৮ সালের অক্টোবরে এই প্রকল্পটি ১ম পর্যায়ের পরীক্ষামুলক উৎপাদনে যাবে। প্রতিমাসে ২৫০টি গাড়ী সংযোজন ক্ষমতা সম্পন্ন এই প্রকল্পে বছরে ৩০০০ গাড়ী সংযোজনে সক্ষম হবে। যা দেশের মানুষের কর্মসংস্থান ও দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১:০৯ পূর্বাহ্ণ | আগস্ট ৩০, ২০১৭