| দুপুর ২:২৬ - রবিবার - ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

রাজশাহীর ইয়াবা রাজ্যে গটফাদার ছিল বিজিবি সদস্য গোলজার

লোক লোকান্তর : রাজশাহীর ইয়াবা রাজ্যে গটফাদারদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে চাকরিচ্যুত বিজিবি সদস্য গোলজার হোসেন। সে কক্সবাজার থেকে ইয়াবার বড় চালানগুলো রাজশাহী এনে পাইকারি বিক্রি করতেন। তবে তার স্ত্রী রাজশাহী কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের ছাত্রী রাকিবা খাতুন ওই এলাকার চিহ্নিত মাদকসেবীদের কাছেও অতিরিক্ত লাভের জন্য ইয়াবা বিক্রি করতেন।

 

কিন্তু অসুদাপায়ী অর্থলোভি স্বামীর কারণেই ধ্বংস হতে চলেছে রাকিবার জীবন। আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে তারা এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট পুলিশের কর্মকর্তা। তবে মাদক বিরোধী অন্যতম কর্মকর্তা হিসাবে দেশব্যাপী প্রসংশিত সদ্য বিদায়ী রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) কমিশনার শফিকুল আলমের সময় এই ইয়াবা গটফাদার কেন আটক হয়নি তা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে সচেতন নগরবাসীর মহলে।

 

এর আগে বুধবার (১৬ আগষ্ট) সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজপাড়া থানা পুলিশ গুড়িপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইয়াবা বিক্রির সময় রাকিবা খাতুনকে আটক করে। পরে তাদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে গোলজারের শোবার ঘর থেকে ৭০পিচ ইয়াবা জব্দ করে। এ সময় গোলজারকেও আটক করা হয়।

 

রাজপাড়া থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, মূলত কক্সবাজারে বাড়ি ও সেখানে কর্মরত অবস্থায় ইয়াবা ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে গোলজার। এর আগে মাদক বিক্রির দায়ে একবার সাময়িকভাবে বরখাস্ত হয়েছিল সে। পরে রাজশাহী সেক্টরে কর্মরত অবস্থায় গুড়িপাড়া এলাকায় দ্বিতীয় বিয়ে করে শ্বশুর বাড়িতেই ইয়াবার ঘাঁটি পাড়ে গোলজার এবং তার স্ত্রী। কক্সবাজার থেকে বিজিবি সদস্য পরিচয়ে আনা হত বড় বড় ইয়াবার চালান। তবে মাদক ব্যবসায় সংশ্লিষ্ট থাকার কারণেই বিজিবি থেকে তাকে সম্প্রতি বরখাস্ত করা হয়।

 

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৮ জুন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) কমিশনার হিসেবে যোগদান করেন শফিকুল ইসলাম বিপিএম। এরপর থেকে তিনি মাদক ও জঙ্গী নির্মূলে জিরো ট্রলারেন্স নীতি ঘোষনা করে ব্যাপক কার্যক্রম শুরু করেন। এ কারণে তিনি আরএমপিতে থাকা অবস্থায় পুলিশের সর্বোচ্চ কর্মকর্তাসহ বর্তমান সরকারের কাছে প্রসংশিত হন। কিন্তু সেসময় এত বড় একজন মাদক ব্যবসায়ী আটক না হওয়ায় এখন তাঁর সম্পর্কে নীতিবাচক গুঞ্জন শুরু হয়েছে নগরীর সচেতন মহলের কাছে।

 

সার্বিক বিষয়ে জানতে বৃহস্পতিবার (১৭ আগষ্ট) বিকাল থেকে সন্ধ্যা পযর্ন্ত আরএমপি’র মুখপাত্র সিনিয়র সহকারি পুলিশ কমিশনার (এসি) ইফতেখার আলমের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তিনি ব্যস্ত থাকায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

 

সর্বশেষ আপডেটঃ ৮:৪৬ অপরাহ্ণ | আগস্ট ১৭, ২০১৭