| সকাল ৮:০৪ - শুক্রবার - ১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১৪ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

জানা গেল মুক্তামনির সেই ভয়ঙ্কর রোগের নাম

লোক লোকান্তর ঃ চিকিৎসকদের আশঙ্কা ছিল চারটি বিরল চর্মরোগের যেকোনো একটিতে আক্রান্ত মুক্তামনি। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এবারে তারা নিশ্চিত হয়েছেন, ‘লিমফেটিক ম্যালফরমেশন’ নামে বিরল এক জন্মগত চর্মরোগে আক্রান্ত সাতক্ষীরার এই শিশু।১৬ জুলাই রোববার তার রোগের নাম নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের হাসপাতালের বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন।

রোগটি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘জন্মগত এই রোগের বিশেষত্ব হলো জন্মের পরপরই কিছু ক্ষেত্রে এর প্রকাশ কারও ক্ষেত্রে পায়, কারও ক্ষেত্রে পায় না। মুক্তামনিরটা প্রকাশ পেয়েছে তার জন্মের দেড় বছর পর।’গত ৯ জুলাই সংবাদমাধ্যমে মুক্তামনির রোগের খবর প্রকাশের পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে পরদিন সাতক্ষীরা সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে একটি দল তাকে ঢাকা মেডিকলে কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়। তার চিকিৎসার দায়িত্ব নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকায় তার জন্য গঠিত হয়েছে ৮ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড। ওই বোর্ডের সমন্বয় করছেন ডা. সামন্ত লাল সেন।

 

তিনি রোববার মুক্তামনির চিকিৎসার পরিকল্পনার বর্ণনা দেন। তিনি জানান, ইতোমধ্যে মুক্তামনির অনেকগুলো পরীক্ষার ফলাফল হাতে পেয়েছেন। রক্ত ও ইউরিন টেষ্টের ফলাফল যথেষ্ট ভালো বলেও উল্লেখ করেন ডা. সামন্ত। বাকি পরীক্ষার ফলাফলগুলো হাতে পেলে মেডিকেল বোর্ডের আট সদস্য তাদের মতামত দেবেন। এ ছাড়া চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ কবীর চৌধুরী এবং জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ভাসকুলার সার্জন সহযোগী অধ্যাপক জিএম মকবুল হোসেন তাকে দেখে গেছেন। টিস্যু পরীক্ষা ও বায়োপসি ফলাফল হাতে পেলে সবাই বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

মুক্তামনিকে দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার মধ্য দিয়ে যেতে হবে বলে জানিয়ে এই ডাক্তার বলেন, ‘তার চিকিৎসা সহজ হবে না। এর সঙ্গে অর্থোপেডিক, মেডিসিন, ভাসকুলার সার্জারি টিম সবাই জড়িত থাকবে।’ ধাপে ধাপে সার্জারি করে তাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন এই চিকিৎসক।

প্রসঙ্গত, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার দক্ষিণ কামারবায়সা গ্রামের মুদি দোকানি ইব্রাহীম হোসেনের মেয়ে জমজ মেয়েদের একজন মুক্তামনি। তার জমজ হীরামনি সুস্থ থাকলেও দেড় বছর বয়স থেকে হাতে টিউমার শুরু হয় মুক্তামনির। সাতক্ষীরা, খুলনাসহ বিভিন্নস্থানে চিকিৎসা করালেও সুস্থ হয়নি সে। পরে চিকিৎসা বন্ধ হয়ে গেলে ফুলে যাওয়া হাতটি দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১:১৮ অপরাহ্ণ | জুলাই ১৭, ২০১৭