| রাত ১১:৪০ - বুধবার - ৪ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ২০শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ৩০শে সফর, ১৪৪৬ হিজরি

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে ১৬হাজার প্রতিবন্ধী-বিধবা ও অসহায়ের ঈদ মাটি

লোক লোকান্তর : ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের চরআলগী, বারবাড়িয়া ও রাওনা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে অসহায়, বয়স্ক, বিধবা ও অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধীদের তালিকা উপজেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ে জমা না দেয়ায় প্রায় ১৬হাজার ভাতা ভোগী ঈদুল ফিতরের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

 

ইউনিয়ন পরিষদগুলোর এমন গাফিলতির কারনে অসহায়, দুস্থ, প্রতিবন্ধী ভাতা ভোগীদের অভাব অনটনকে সঙ্গী করে ঈদ উদযাপন করতে হবে।
উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে ভাতা ভোগী রয়েছেন ১৫ হাজার ৬’শ ৭৭ জন। তার মধ্যে বয়স্ক ভাতা ভোগী ৯৯৫০, বিধবা ও স্বামী নিগৃহিতা ৩১৯৮ জন, অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধী ২৪২৫ জন এবং প্রাথমিক স্তরের অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ৭৪ জন, মাধ্যমিক স্তরের ১৮ জন, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের ১২জন ও উচ্চ শিক্ষাস্তরের ৭ জন অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী রয়েছে।

 

উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকতার তত্বাবধানে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের নেতৃত্বে প্রতিটি ইউনিয়ন কমিটির তালিকা অনুযায়ী তিন মাস পর পর ভাতা ভোগীরা ব্যাংক থেকে তাদের ভাতার টাকা উত্তোলন করে থাকেন। কিন্তু এবার উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ১২ ইউনিয়ন কমিটি নির্ধাতির সময়ে ভাতা ভোগীদের তালিকা সমাজসেবা কার্যালয়ে জমা দেন।

 

কিন্তু রাওনা, চরআলগী ও বারবাড়িয়া ইউনিয়ন কমিটি ভাতা ভোগীদের তালিকা জমা দেয়নি। ফলে ভাতা বিতরণ কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হয়নি। ঈদের আগে তা কোন ভাবেই সম্ভবও নয়। ঈদের এক সপ্তাহ পরেও ভাতা পাবেন কিনা তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে ভাতাভোগীদের।
উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার নজরুল ইসলাম সারণিক বলেন, তালিকা জমা না দেওয়া তিন ইউপি চেয়ারম্যানদের অসংখ্যবার অনুরোধ করার পরেও ওনারা ভাতা ভোগীদের তালিকা দেননি। গতকাল চরআলগী ইউনিয়ন থেকে একটি তালিকা দেয়া হলেও তা অসম্পুন্ন। ফলে ঈদের আগে আর কোন ভাবেই ভাতা প্রদান করা সম্ভব নয়। আশা করছি ঈদের পর খোলা হওয়ার পর পরেই ভাতা প্রদানে সক্ষম হবো।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৭:৫৪ অপরাহ্ণ | জুন ২২, ২০১৭