| ভোর ৫:২৬ - শনিবার - ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ২০শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

ময়মনসিংহে ভূমি হস্তান্তর করের ১% টাকা উপজেলা পরিষদে হস্তান্তরের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ    ময়মনসিংহ সদর উপজেলার দু’টি ইউনিয়ন ও ৬টি ইউনিয়নের আংশিক এলাকা শহরভূক্ত হওয়ায় সাব-রেজিস্টার কর্তৃক পৌরসভায় হস্তান্তরকৃত ১% ভূমি হস্তান্তর করের প্রায় সোয়া কোটি টাকা উপজেলা পরিষদের নিকট হস্তান্তরের দাবি জানিয়েছেন সদর উপজেলা পরিষদ।

 

শুক্রবার দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

 

লিখিত বক্তব্যে ৬নং চরঈশ্বরদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোর্শেদুল আলম জাহাঙ্গীর বলেন, ময়মনসিংহ বিভাগ ঘোষণার পর গত বছরের ২৩ আগস্ট ময়মনসিংহ সদর উপজেলার আকুয়া ও বয়ড়া ইউনিয়ন এবং ভাবখালী, দাপুনিয়া, খাগডহর, চরসিরতা, চরঈশ্বরদিয়া ও চরনিলক্ষীয়া ইউনিয়নের আংশিক এলাকা শহর ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এরপর গত ২৫ জানুয়ারী সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ সম্প্রসারিত শহর এলাকাকে ময়মনসিংহ পৌরসভার অন্তর্ভূক্তির চূড়ান্ত অনাপত্তি প্রদান করেন।

 

কিন্তু সরকারিভাবে এখনো সম্প্রসারিত শহর এলাকার পৌরসভা অথবা অন্যকোনো প্রতিষ্ঠানের ওপর ন্যস্ত করা হয়নি। বিধায় এখনো ইউনিয়ন পরিষদ সমূহের সচিব, গ্রাম পুলিশের বেতন-ভাতা ও উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন উপজেলা পরিষদ কর্তৃক প্রদান করা হচ্ছে। এদিকে ভূমি হস্তান্তর করের ১% অর্থ উপজেলা পরিষদকে না দিয়ে পৌরসভায় হস্তান্তর করা হলেও পৌর কর্তৃপক্ষ ইউনিয়ন পরিষদ সমূহের সচিব, গ্রাম পুলিশের বেতন-ভাতা ও উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে না। বিষয়টি উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের অবহিত করার পরও কোনো সুরাহা হচ্ছে না। সৃষ্ট জটিলতার জন্য পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সদর সাব রেজিস্ট্রারের অনৈতিক যোগসাজসই দায়ি বলে লিখিত বক্তব্যে দাবি করা হয়।

 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, শহর ঘোষণার প্রজ্ঞাপন জারির সাতদিন পরই ময়মনসিংহ পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম তারিকুল আলম ময়মনসিংহের জেলা রেজিস্ট্রারের নিকট ময়মনসিংহ পৌরসভার বিদ্যমান এলাকা সম্প্রসারণের নিমিত্তে পৌর এলাকা হিসেবে ভূমি ক্রয়-বিক্রয়ের নিয়ম অনুসরণ করার জন্য পত্র দেন। সেমতে সাব-রেজিস্ট্রার অফিস থেকে ভূমি হস্তান্তর করের ১% পৌরসভায় হস্তান্তর করছে। যা বেআইনী। তিনি ভূমি হস্তান্তর করের ১% অর্থ উপজেলা পরিষদের জমা দেয়ার দাবি জানান।

 

এসময় আকুয়া ইউপি চেয়ারম্যান আফাজ উদ্দিন সরকার, সিরতা ইউপির চেয়ারম্যান সাইফুদ্দিন আহমদ বকুল, বোররচর ইউপির চেয়ারম্যান শওকত আলী বুদু, ঘাগড়া ইউপির চেয়ারম্যান শাহজাহান সরকার সাজু, দাপুরিয়া ইউপির চেয়ারম্যান হুমায়ুন হাসান উজ্জ্বল, অষ্টাধর ইউপির চেয়ারম্যান তারেক হাসান মুক্তা, পরাণগঞ্জ ইউপির চেয়ারম্যান সোলায়মান ফকির, ভারখালী ইউপির চেয়ারম্যান রমজান আলী, চরনিলক্ষীয়া ইউপির চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মীর উপস্থিত ছিলেন।

ছবিঃ লোক লোকান্তর

সর্বশেষ আপডেটঃ ১:৪২ পূর্বাহ্ণ | মার্চ ২৫, ২০১৭