| ভোর ৫:২৩ - রবিবার - ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ৪ঠা রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

বিশ্ব পানি দিবস আজ, ব্রহ্মপুত্রের বুকজুড়ে শুধুই হাহাকার!

লোক লোকান্তরঃ  বিশ্ব পানি দিবস আজ। পানিসম্পদের সর্বাধিক গুরুত্বের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৯৩ সাল থেকে প্রতি বছর দিবসটি সারাবিশ্বে বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতায় পালিত হচ্ছে।

 

এ বছরের বিশ্ব পানি দিবসের প্রতিপাদ্য ‘পানি ও বর্জ্য পানি’। চলমান বৈশ্বিক অর্থনীতিতে বর্জ্য পানিকে একটি মূল্যবান সম্পদ হিসেবে মনে করা হয়। বর্জ্য পানির নিরাপদ ব্যবস্থাপনা মানবস্বাস্থ্য, পরিবেশ-প্রতিবেশ, জীববৈচিত্র্য ও বাস্তুসংস্থানের জন্য একটি সঠিক বিনিয়োগ বলে মনে করেন পরিবেশবাদীরা। তাদের মতে, বর্জ্য পানির উন্নত ব্যবস্থাপনা মানে জাতিসংঘের পানি-বিষয়ক টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের উন্নয়ন।

 

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বুধবার নানা আয়োজনের মধ্যে দিবসটি পালিত হবে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।

 

আমাদের এই দেশ নদীমাতৃক বাংলাদেশ, যে বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়েছিল হিমালয় থেকে ছুটে আসা অসংখ্য নদ-নদীর প্রবাহ থেকে। যে প্রবাহের সাথে বহমান বিন্দু বিন্দু পলিমাটি হাজার হাজার বছর ধরে গড়ে তুলেছিল পৃথিবীর বৃহত্তম এই ব-দ্বীপ। এ দেশের মানুষের জীবন-জীবিকা সবকিছুতেই রয়েছে নদীর প্রভাব। একসময় এই নদীর বুকেই ভেসে গিয়েছে বড় বড় বানিজ্যিক জাহাজ। নদীর পাড়ে মানুষের জীবন-জীবিকা নিয়ে তৈরী হয়েছে গান, কবিতা, উপন্যাস ও চলচ্চিত্র। মুলত তিব্বতী ভাষায় বঙ্গ অর্থ ভেজা। আবার বাংলায় বঙ্গ শব্দটি বহন এবং ভাঙ্গার সাথে জড়িত। তাই বঙ্গ একসাথে বহন করে উপরের পানি ও পলিমাটি আবার সেটা বিভিন্ন পথে ভাঙ্গনের সৃষ্টি করে। তাই এ দেশের অন্য নাম হল বঙ্গ দেশ।

 

তবে সেসব এখন অতীত। বাংলাদেশ এখন নদী বিপর্যয়ের দেশ। দেশের আড়াই শতাধিক ঐতিহ্যবাহী, নান্দনিক নদ নদী মরে গেছে। অনেকগুলো বেদখল হয়েছে। অস্তিত্ব বিপন্ন হয়েছে। এভাবেই দেশের প্রায় ৯৯% নদী তাদের নাব্যতা, গভীরতা, আকার আকৃতি হারাচ্ছে। বিপর্যস্ত হচ্ছে পরিবেশ। হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্য।

 

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) গতবছর  বিশ্ব নদী রক্ষা দিবসে জানিয়েছে, দেশে এখন জীবিত আছে মাত্র ২৩০টি নদী। উজানে পানি কমে যাওয়ায় নদীগুলোর এমন দশা হয়েছে।

 

তবে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড এর হিসাব অনুযায়ি বাংলাদেশে নদীর সংখ্যা এখন ৪০৫টি। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নদী ১০২টি, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের নদী ১১৫টি, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদী ৮৭টি, উত্তর-কেন্দ্রীয় অঞ্চলের নদী ৬১টি, পূর্ব-পাহাড়ি অঞ্চলের নদী ১৬টি এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের নদী ২৪টি হিসেবে বিভাজন করে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

 

সমগ্র বাংলাদেশের ২টি পুরুষ নদের মদ্ধে আমাদের ময়মনসিংহের ব্রহ্মপুত্র নদ অন্যতম। একসময়ের সারা দেশ বিখ্যাত এই নদ দাপিয়ে চলেছে তার আপন পথে।

 

কিন্তু বর্তমানে এই কি হাল আমাদের নদের? বসন্তকালে পানি শূন্য হয়ে আছে। নদের প্রায় অর্ধেক শুকিয়ে গিয়েছে। আর বাকি অর্ধেক পানি কোমর সমান পানি বলা যায়। সামনে তো গ্রীষ্মকাল এখনো বাদ আছে! এক সময়ের রাজা, আজ রাজত্ব তার সামান্য রাজ্যও হারাতে চলছে। নদে নিয়মিত পরিকল্পিত খনন এবং ওপাশ থেকে পানি বন্ধ করে দেওয়ার কারণে আজ এই হাল। অথচ জয়নুল আবেদিনের মত শিল্পী এই নদের প্রেমে পরে কত ছবি এঁকেছেন নদের পাড়ে বসে।

 

তাহলে পরিত্রানের উপায় কি?

 

কথা হচ্ছে যদি নদীতে নিয়মিত পানি না আসে, তাহলে আসলে কিছু করারও নেই। তবে যথাযথ কর্তৃপক্ষ যদি চায়, তাহলে পরিকল্পিত খনন কিছুটা হলেও নদীর উপকারে আসবে।

 

বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে নিবেদন থাকলো।

 

ব্রহ্মপুত্র নদ- ব্রহ্মপুত্র নদ বা ব্রহ্মপুত্র নদী এশিয়া মহাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ নদী। সংস্কৃত ভাষায় ব্রহ্মপুত্রের অর্থ হচ্ছে “ব্রহ্মার পুত্র। ব্রহ্মপুত্রের পূর্ব নাম ছিল লৌহিত্য। আবার তিব্বতে তা জাঙপো নামে পরিচিত, এবং আসামে তার নাম দিহাঙ।

 

ব্রহ্মপুত্রের উৎপত্তি হিমালয় পর্বতমালার কৈলাস শৃঙ্গের নিকট জিমা ইয়ংজং হিমবাহে, যা তিব্বতের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত। জাঙপো নামে তিব্বতে পুর্বদিকে প্রবাহিত হয়ে এটি অরুণাচল প্রদেশে ভারতে প্রবেশ করে যখন এর নাম হয়ে যায় সিয়ং। তারপর আসামের উপর দিয়ে দিহাঙ নামে বয়ে যাবার সময় এতে দিবং এবং লোহিত নামে আরো দুটি বড় নদী যোগ দেয় এবং তখন সমতলে এসে চওড়া হয়ে এর নাম হয় ব্রহ্মপুত্র। ব্রহ্মপুত্র হিমালয় পর্বতের কৈলাস শৃঙ্গের নিকটে মানস সরোবর থেকে উৎপন্ন হয়ে তিব্বত ও আসামের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে কুড়িগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। ময়মনসিংহের দেওয়ানগঞ্জের কাছে ব্রহ্মপুত্র দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বাঁক নিয়ে ময়মনসিংহ জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ভৈরববাজারের দক্ষিণে মেঘনায় পড়েছে।

পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ:: (Old Brahmaputra River)  ব্রহ্মপুত্রের পূর্বতীর থেকে উৎপত্তি হয়ে বাহাদুরাবাদের উত্তরে প্রবাহিত নদীর নাম পুরাতন ব্রহ্মপুত্র। অল্পবিস্তর দক্ষিণ-পূর্বমুখী গতিপথে জামালপুর ও ময়মনসিংহ শহরের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ভৈরববাজারের কাছে এই নদীটি মেঘনায় এসে মিশেছে। নদীর গতিপথ পরিবর্তন বঙ্গীয় অববাহিকার এক বিশেষ বৈশিষ্ট্য। এর ফলে নদীর অংশবিশেষ এবং সময় সময় নদীর সম্পূর্ণ গতিপথই বদলে যেতে পারে। বঙ্গীয় অববাহিকার নদীগুলোর মধ্যে সবচাইতে বেশি গতি পরিবর্তন হয় তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও নিম্ন গঙ্গার।

 

কয়েক শতাব্দী আগের প্রণীত পুরানো মানচিত্র পর্যালোচনা করে এই গতিপথ পরিবর্তন চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। এ সংক্রান্ত সবচেয়ে সঠিক মানচিত্রটি প্রণয়ন করেছিলেন মেজর জেমস রেনেল (১৭৬০)। এই মানচিত্র অনুযায়ী দেখা যায় যে সেসময় ব্রহ্মপুত্র মধুপুর গড়ের পূর্ব দিক দিয়ে নিম্নমুখী প্রবাহিত হয়ে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নামে পরিচিত একটি খালে এসে মিলিত হয়েছিল। ঢাকা ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের মধ্যবর্তী ব্রহ্মপুত্র খালের নিম্নাংশ পরবর্তীকালে ভরাট হয়ে যায়। পুরাতন ব্রহ্মপুত্র এখন শীতলক্ষ্যা নদীতে মিশে ঢাকার দক্ষিণ-পূর্বে ধলেশ্বরী ও মেঘনা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে। নদীটির মোট দৈর্ঘ্য ২৭৬ কিমি।

 

ব্রহ্মপুত্র নদের মধুপুর গড় ও বরেন্দ্র অঞ্চলের মধ্যকার বর্তমান গতিপথটি ১৭৮৭ সালে সৃষ্টি হয়। ঐ বছর নদীটি পূর্বের গতিপথ পরিবর্তন করে যমুনা নামে একটি নতুন ধারা সৃষ্টি করে। সে বছর একটি বড় ধরনের বন্যার কারণে এই নাটকীয় পরিবর্তনটি সংঘটিত হয়। ১৭৮২ সালে ময়মনসিংহ অঞ্চলে একটি তীব্র ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল। নদীর গতিপথ পরিবর্তনে এ ঘটনাটিও অবদান রাখতে পারে।

 

বড় বড় কিছু নদীর গতিপথের সঙ্গে সঙ্গে পুরাতন ব্রহ্মপুত্রেরও গতিপথ পরিবর্তনের কারণ হিসেবে এখন সাম্প্রতিক কালের ভূ-গাঠনিক তৎপরতার ফলাফলকে দায়ী বলে মনে করা হয়। বৈজ্ঞানিক ধারণায় এই পরিবর্তন প্রক্রিয়া ৩০ বছর সময়কালের মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। গারো পাহাড়ের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণ থেকে মধুপুর গড়ের পূর্বাঞ্চলীয় বেড় ধরে সমতলভূমি প্রশস্ত শৈলশিরা ও অবভূমি দ্বারা গঠিত এক শান্ত ও ক্রমান্বয়ী ভূভাগ। এই ভূ-প্রাকৃতিক ইউনিটের মাটি গত দুশ বছরে নতুন ব্রহ্মপুত্র প্লাবনভূমিতে গড়ে ওঠা মাটির চেয়ে অধিকতর জারিত ও কৃষ্ণাভ। এই অঞ্চলের ভূগর্ভস্থপানির বৈশিষ্ট্যপূর্ণ রাসায়নিক গঠন রয়েছে।  [কাজী মতিন উদ্দিন আহমেদ] (বাংলা পিডিয়া)

আর এদিকে ময়মনসিংহ নগরীর পাটগুদাম এলাকার ব্রহ্মপুত্র সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে উত্তর-দক্ষিণে তাকালে একটি সংকীর্ণ নদের রেখাই চোখের সামনে ভেসে ওঠে। গভীরতাহীন এ নদে পানির স্রোতধারা এখন প্রায় শূন্যের কোঠায়।

 

নদের বিস্তীর্ণ বুকজুড়ে জেগে ওঠেছে বালুচর। নেই দু’কূল ভাঙা উত্তাল স্রোতের রাশি। ঠিক যেন এক মরুভূমি। বলছিলাম ম্রিয়মাণ এক ব্রহ্মপুত্র নদের কথা। ময়মনসিংহের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া এ নদ শুধু নাব্যতা সংকটেই নয়, রয়েছে অস্তিত্ব সংকটেও। মূলত পানিশূন্যের কারণেই নদের এমন মরণদশা।

 

নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়ায় মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে ব্রহ্মপুত্রের গতিপথ। পানি বিপর্যয়ের কারণে বিপন্নদশার এ নদের অববাহিকায় পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। আবহমান বাংলার কৃষি সেচ ব্যবস্থার উৎস হিসেবে ব্রহ্মপুত্র এখন আর আগের মতো নেই।

বৃহত্তর ময়মনসিংহের জামালপুরের কাছে নদীর তলদেশ উঁচু হয়ে যাওয়ায় পানি প্রবাহের মাত্রা কমছে। পানির সংকটে বিপন্ন ব্রহ্মপুত্র নদ বর্ষাকাল ছাড়া বাকি মৌসুমে থাকে পানিশূন্য মরুময়।

 

অপরদিকে, ব্রহ্মপুত্রে বালু উত্তোলনের নামে চলছে বাণিজ্যের অস্থিরতা। ঘাটে-ঘাটে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চলছে খুন-খারাবির ঘটন‍া।

 

ব্রহ্মপুত্র নদের উৎপত্তিস্থল হিমালয় পর্বতমালায়। বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারি সংলগ্ন এলাকা দিয়ে এ নদের প্রবেশ। এক সময়ের ব্রহ্মপুত্র নদ থেকেই বর্তমানের যমুনা নদীর উৎপত্তি হলেও বর্তমানে নদটি স্রোতবিহীন আর নাব্যতা সংকটে ভুগছে।

 

উৎসমুখে জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা থেকে শুরু করে নদের পতিতমুখে কিশোরগঞ্জের ভৈরব পর্যন্ত বিস্তৃত এ নদটি বর্তমানে প্রায় স্রোতহীন-তেজহীন। এরআগে ব্রহ্মপুত্র নদ বাঁচানোর দাবিতে একমত হয়ে সরকারও এ নদের সার্বিক পরিবেশ পরিস্থিতি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছিলো।

 

২০০৯ সালের ১৭ ফেব্রয়ারি বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের দু’জন পদস্থ কর্মকর্তা যমুনা নদী সংলগ্ন পুরনো ব্রহ্মপুত্র নদের উৎসমুখ সরেজমিনে পরিদর্শন করে গিয়েছিলেন। এরপর দু’বার ময়মনসিংহে দু’টি রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান দ্রুত সময়ের মধ্যেই ব্রহ্মপুত্র নদ খনন কাজ শুরু করার ঘোষণাও দিয়েছিলেন। কিন্তু এখনো শুরু হয়নি ব্রহ্মপুত্রের খনন কাজ। দেখা যাচ্ছে না কোনো উদ্যোগও।

নদ-নদী মানে নিরবধি বয়ে চলা পানির স্রোত। কিন্তু হায় ব্রহ্মপুত্র! দু’কূল ছাপিয়ে আর বয়ে চলে না এ নদ। এখন ব্রহ্মপুত্র দেখলে নদের সংজ্ঞা নিয়েই বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। পানিহীন ব্রহ্মপুত্রের বুকজুড়ে ধূ-ধূ বালুচরের সঙ্গে সবুজ দুর্বাঘাসের গালিচা।

 

এক সময় ব্রহ্মপুত্রে ছিলো নৌ পরিবহন ব্যবসা। এখন তা বিলুপ্ত হয়েছে। বর্ষাকালে ব্রহ্মপুত্রে থাকে ডুবোচর। শুষ্ক মৌসুমে কোনো কোনো স্থানে থাকে চোরাবালি। সব মিলিয়ে ব্রহ্মপুত্রের বুক থেকে ভেসে আসে হাহাকার। ব্রহ্মপুত্র নদের তলদেশ বিস্তীর্ণ মাঠের কারণে এটি এখন দুরন্ত কিশোরদের যেন খেলার দিগন্তজোড়া স্টেডিয়াম।

 

ছবিঃ লোক লোকান্তর

সর্বশেষ আপডেটঃ ৭:৫৩ পূর্বাহ্ণ | মার্চ ২২, ২০১৭