| ভোর ৫:৫৬ - রবিবার - ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ৪ঠা রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ময়মনসিংহে মসজিদে নববীর আদলে ‘মদিনা মসজিদ’

লোক লোকান্তরঃ  দেশের প্রথম বৈদ্যুতিক গম্বুজবিশিষ্ট ও মসজিদে নববীর আদলে একটি মসজিদের উদ্বোধন হয়েছে। ময়মনসিংহের সদর উপজেলার চরখরিচা গ্রামে ৩ মার্চ শুক্রবার প্রথম জুমার নামায আদায়ের মধ্য এটি উদ্বোধন করা হয়। এতে ইমামতি করেন মজলিসে দাওয়াতুল হকের আমির আল্লামা মাহমুদুল হাসান।

 

২০১১ সালে এ নির্মাণ শুরু হওয়া এ মসজিদের বর্তমানে ৬৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এর সম্ভাব্য নির্মাণ ব্যয় ২০০ কোটি টাকা।  চারতলাবিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন মসজিদের ভেতরে মুসল্লিদের জন্য সারি হবে ১৯টি। প্রতি সারিতে ১১০ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। মসজিদে আছে পাঁচটি গম্বুজ। এর মধ্যে চারটি স্থির এবং একটি বৈদ্যুতিক গম্বুজ।

 

সুইচ অন করলেই যেটি সরে আকাশ উন্মুক্ত হবে। এলাকাবাসীর ধারণা, সৌন্দর্য ও নান্দনিকতার দিক থেকে মসজিদটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

 

মসজিদে উঁচু মিনার আছে দুটি। এ মিনারের উচ্চতা চারতলা ভবনের ওপর থেকে ১৬০ ফুট। মসজিদের কারুকাজে ব্যবহৃত হয়েছে মারবেল পাথর আর কাঠ। কাঠগুলো আনা হয়েছে মিয়ানমার থেকে। ছয় দরজা বিশিষ্ট এ মসজিদে মুসল্লিদের উঠা-নামার জন্য একটি চলন্ত সিঁড়িসহ মোট পাঁচটি সিঁড়ি স্থাপন করা হয়েছে। অত্যাধুনিকতার দিক দিয়ে বৈদ্যুতিক গম্বুজের এ মসজিদ বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অনন্য সংযোজন।

অনন্য দৃষ্টিনন্দন এ মসজিদের উদ্যোক্তা মজলিসে দাওয়াতুল হক বাংলাদেশের আমির, জামিয়া মাদানিয়া যাত্রাবাড়ী মাদরাসার মুহতামিম মুহিউস সুন্নাহ আল্লামা মাহমুদুল হাসান। তিনি চর খরিচার নিজ বাড়িতে মসজিদটি নির্মাণ করেছেন।

 

মসজিদের পাশে নিজ নামে প্রতিষ্ঠা করেছেন একটি কওমি মাদরাসা। মসজিদ নির্মাণ প্রসঙ্গে আল্লামা মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘মসজিদ মহান রাব্বুল আলামিনের ঘর। অথচ আল্লাহর ঘরকে সুন্দর করার দিকে মনযোগী হই না। এটা ঠিক না। প্রত্যেক মানুষের আল্লাহর প্রতি অপরিসীম প্রেম ও ভালোবাসা থাকতে হবে। সেই মহব্বত ও ভালোবাসা থেকে আল্লাহর ঘর নির্মাণের উদ্যোগ আল্লাহ আমার মাধ্যমে শুরু করিয়েছেন। এর পেছনে অগণিত মুসলমান ও ধর্মপ্রাণ মানুষের শ্রম ঘাম আছে।’

 

ছবিঃ লোক লোকান্তর

সর্বশেষ আপডেটঃ ৫:১১ পূর্বাহ্ণ | মার্চ ১২, ২০১৭