| সকাল ৯:১১ - শুক্রবার - ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

গল্পঃ সাদা হাসি !

লোক লোকান্তরঃ   মা ও মা সকাল হইছে তো এখন উঠেন, আমার আবার করিম চাচার এখানে যাইতে হবে ফুল আনতে। তোমার ঔষধ আমার বিছানার উপর রেখে গেলাম খেয়ে নিয়ো, আচ্ছা যাও তুমি আমি খেয়ে নিবো, আমি ফুলের পাত্র নিয়ে বের হয়ে গেলাম,(দোকানে)  করিম চাচা কেমন আছো?  ভালো আছি, তুই কেমন আছিস? ভালো আছি।চাচা আজ আমায় দুইশত গোলাপ ফুল দাও, ফুল নিয়ে রাস্তার পাশে বসে বিক্রি শুরু করলাম, এই মেয়ে দশটি ফুল কতো?  সাহেব দশটির দাম একশত টাকা, কিছু ক্ষণ পর সাদা গাড়ী করে আরেক সাহেব আসলো। আমায় বলল তোমার কাছে কতগুলো ফুল আছে, আমি বললাম ৮০ টি সাহেব, আমাকে সবগুলো গোলাপ দাও, নেন সাহেব। দাম কত? সাহেব ৪০০টাকা দিতে হবে। আচ্ছা এই নাও টাকা।সাদা গাড়ী চলে গেলো।আজ সবগুলো ফুল বিক্রি হয়ে গেলো,তাই বাসায় চলে গেলাম, মা আমাকে জিগেসা করলো আজ এত তারা তারি চলে এলি? মা আজ সবগুলো ফুল বিক্রি হয়ে গিয়েছে।মা তুমি খেয়েছো? না তোর জন্য অপেক্ষা করছিলাম। তাহলে চলো মা আজ মা মেয়ে একসাথে বসে খাবো, জানও মা প্রতিদিন যে সাদা গাড়ীটি আসে সেই গাড়ীর সাহেব আজ সবগুলো ফুল নিয়ে গেছে। তাই নাকি? তোর সাহেবর বয়স কেমন হবে নীলা? মার যে কেমন কথা আমি কি করে বলবো সাহেবের বয়স কত, তবে অনুমান করে যদি বলি ৩০ বছর হবে হয়তো। নীলা তুই স্কুলে যাবি না আর? যাবো মা কাল থেকে। আমি আর মা একসাথে খাবার খাওয়া শেষ করেছি। মা আমি মরিচ বাটতে বসতেছি।

 

নীলার মা বাড়ীতে আছো নাকি?  কে আমি মাজেদা। ও আসেন আসেন ভিতরে, বসেন। কেমন আছো নীলার মা? কেমন আর থাকবো বলেন?তেরবছরের মেয়ের ফুল বিক্রি টাকা দিয়ে সংসার চলে, আমার পা টা হারানোর পর খুব কষ্টে সংসার চলছে,।নীলা সকালে ফুল বিক্রি করে স্কুলে যায় মেয়েটার অনেক কষ্ট হয়।, মা হয়েও কিছু করতে পারি না,।কি আর করবেন নীলার মা, সবি কপাল। তবে আপনার মেয়ে নীলা অনেক লক্ষি মেয়ে, ও একদিন অনেক বড় হবে। তাই যেন হয় মাজেদা আপা, আজ আসি নীলার মা। রাত হয়ে গিয়েছে। আচ্ছা আবার আসিয়েন। নীলা ও নীলা কোথায় পড়তে বসো।  আচ্ছা মা। সকালে ঘুম থেকে উঠে করিম চাচার এখান থেকে ফুল নিয়ে বিক্রি শুরু করলাম, তবে কেন জানি সাদা গাড়ীর সাহেব আসলে আমায় খুব ভালো লাগে, কিছুক্ষণ পরে সাদা গাড়ী এসে ফুল নিয়ে চলে গেলো যাবার সময় সেই নিয়মিত হাসি দিয়ে চলে গেলেন। আমি বাসায় গিয়ে স্কুলে চলে গেলাম। নীলা এতদিন স্কুলে আসিস নাই কেন? মিলা, সংসারে একটু সমস্যা ছিলো, তাই আসতে পারি নাই, নীলা আসি বাবা চলে এসেছে নিতে। আচ্ছা যা তুই, মিলার বাবা মিলাকে প্রতিদিন নিতে আসে । আমি বাসায় চলে গেলাম, আজ কেন জানি কিছু ভালো লাগছে না, মা তুমি খাবার খেয়েছো? হ নীলা আমি খাওয়া শেষ করে ঔষধ খেয়েছি তুই খেয়ে নে নীলা। মা আজ আর খাবো না কেন জানি কিছু ভালো লাগছে না। কেন, কি হয়েছে তোর? শরীর খারাপ? না মা, তাহলে? জানিনা।, মা ঘুমাতে গেলো। আমি পড়ার টেবিলে বসে থাকলাম, রাত গভীর হলো মন আরো বেশি করে অস্থীর হচ্ছে।

 

রাত তিনটা বাজে তবো চোখে ঘুম নেই। হঠাত দেখি সকাল হয়ে গিয়েছে,। প্রতিদিনের মতো করিম চাচার এখান থেকে ফুল নিয়ে বিক্রি শুরু করলাম, বেলা এগারোটা হয়ে গেলো তবো সাদা গাড়ীর সাহেব আজ এখনো এলো না কেন? শরীর খারাপ না তো, বারোটা হয়ে গিয়েছে এখনো আসিনি? এদিক দিয়ে আমার স্কুলের সময় হয়ে গিয়েছে, ফুল এখনো ৬০ টা রয়ে গেলো। আজ আর ফুল বিক্রি করব না, বাসায় চলে এলাম।কিরে এত দেরী করে এলি আবার ফুল দেখি সবগুলো বিক্রি হয়নি, তোর কি হয়েছে কাল থেকে দেখি মনমরা হয়ে থাকিস সবসময়। মা আজ সাদা গাড়ীর সাহেব আসিনি ফুল নিতে।, তাতে কি হয়েছে? হয়তো উনার ফুলের দরকার নেই। তুই গোসল করে খাবার খেয়ে নে। হয়তো মায়ের কথা ঠিক, তবে আমার এত খারাপ লাগছে কেন?  সাদা গাড়ীর সাহেবকে তো আমি ভালো করে চিনিনা, তারপরেও উনার জন্য এত মন খারাপ লাগছে কেন, এইসকল চিন্তা করতে করতে গোসলে চলে গেলাম, আজ বিকালে  মিলার বাড়ীতে যাবো। মা ও মা? কি? আমি মিলার বাড়ীতে যাচ্ছি?  যাও, তবে তাড়াতাড়ি চলে এসো। ঠিক আছে। মিলার বাড়ীতে গেলাম। ওর মা আমায় খুব পছন্দ করে,। নীলা তুমি আর মিলা এক সাথে কথা বলো আমি তোমাদের নাস্তা দিচ্ছি। নীলা কিরে হঠাত কি মনে করে আমাদের বাড়ীতে এলি? এমনে তো বলেও তোকে আনা যায় না, মিলা আজ আমার মনটা খুব খারাপ তাই এসেছি। কি হয়েছে নীলা? তোর সাদা গাড়ীর সাহেব আজোও আসিনি এইজন্য মন খারাপ তাইতো? তুই ঠিক বলেছিস মিলা, নীলা ওরা বড়লোক ওদের মন কখন কোথায় কি চায় ওরা নিজেরা জানে না, হয়তো অন্য জায়গা থেকে ফুল নেয়। মিলা এমন করে বলিস না, লোকটি খুব ভালো আমি তো উনার সাথে কখনো ভালো করে কথাই বলি নাই , তবে ফুল নেওয়ার সাহেব খুব মিষ্টি করে একটি হাসি দেয়, তখন আমার কাছে মনে হয় লোকটি পৃথিবীর সকল পুরুষের চেয়ে আলাদা,জানিস আমি আজ যতোদিন ফুল বিক্রি করেছি ছেলেদের কাছে, ততোদিন ওরা ফুল নেওয়ার সময় ফুল না দরে আমার হাতে দরে, তবে এই সাহেব কখনো আমার হাত থেকে ফুল নেয়নি শুধু বলে গাড়ীর সিটে ফুল গুলো রাখো, মিলা অনেক কথা বলে ফেললাম। আজ আসি। সন্ধ্যা হয়ে পরেছে মা চুিন্তা করবে। চল নীলা তোকে রিকশায় তুলে দেই, মিলা আমায় রিকশায় তুলে দিয়ে বাসায় চলে গেলো, আমিও বাসায় চলে এলাম। এসে দেখি মা বসে বসে পেঁয়াজ কাঁটতেছে।  নীলা এসেছিস হে মা। পড়তে বসবি,? নাকি আমায় রান্নার কাজে সাহা্য্য করবি? মা আমি পড়তে বসবো। ঠিক আছে। আমি পড়ার টেবিলে বসলাম, তবে  মন সাদা গাড়ীর সাহেবের জন্য চিন্তা করছে। রাতে ঘুম আসিনি, সকাল হলো,  করিম চাচার এখান থেকে ফুল নিয়ে বিক্রি শুরু করলাম বারোটা বাঁজে এখনো সাদা গাড়ী আসিনি, তাই আমার মনটা খুব খারাপ লাগছে, কিছুক্ষণ পর দেখলাম সাদা গাড়ীটা এই দিকে আসছে। আমি দৌড়ে গেলাম, গিয়ে দেখি গাড়ীটি অন্য একব্যক্তি চালাচ্ছে। হয়তো ডাইভার, আমি হাতে সিগনাল দিলাম, গাড়ীটি থামালো। আমি জিজ্ঞাসা করার আগে, লোকটি জুড়ে বলতে শুরু করলো, কি হয়েছে সিগনাল দিয়েছিস কেন?, আমি জিজ্ঞাসা করলাম এই গাড়ীটির মালিক কোথায়? লোকটি বললো কে? ও সাহেবের কথা বলছো? আমি বললাম জ্বী।

 

 

সাহেব তো তিন দিন হলো বিদেশে চলে গেছে পরিবারের সবাইকে নিয়ে। ও আচ্ছা। এই বলে লোকটি গাড়ীটি নিয়ে চলে গেলো, এই কথা শুনার পর আমার ভীষণ খারাপ লাগছে,কেন? বারবার মনে হচ্ছে আমি আর সাদা গাড়ীর সাহেব কে দেখতে পারবো না, এই কথা টা মেনে নিতে আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। মন খারাপ করে বাসায় এলাম, মাকে কিছু না বলে স্কুলে চলে এলাম। মিলা কে বললাম সাদা গাড়ীর সাহেবটি বিদেশে চলে গেছে।দেখ নীলা, তুই এমন পাগলামি করিস না গেছে তাতে কি হয়েছে?  আমি কিছু বলিনি চুপ করে থাকলাম। স্কুল ছুটি হলো, আমি বাসায় আসলাম বই গুলো রেখে শুয়ে পড়লাম।নীলা ? জ্বি মা। তুই না বলছিলি  ফুলের দোকান দিবি। হে মা বলছিলাম তো, তোর বাবার বাড়ীর জমিন টুকু বিক্রি করে দোকান টা দিলে কেমন হয়। আমি বললাম মা বাড়ীর জমিন বিক্রি করে? এই জন্য, মা আমায় বললো দোকানের লাভের টাকা দিয়ে পরে আমরা বাড়ি বিটা কিনে নিবো, তুই আর না করিস না নীলা।

 

ঠিক আছে মা তুমি যা বলো তাতেই আমি রাজি, এদিক দিয়ে পাঁচ বছর হয়ে গেলো আমি আজোও সাদা গাড়ীর সাহেব কে ভুলতে পারিনি।আমি আমার ফুলের দোকানের নাম রাখলাম ‘ সাদা হাসি  ‘ আমার ফুলের দোকান টি অনেক ভালো চলছে, এদিক দিয়ে আমি আবার কলেজে পড়ছি বাংলা বিভাগে। মিলা তুই আমার দোকান চিনলি কি করে, তোদের বাসায় গিয়েছিলাম আমার বর কে সাথে নিয়ে এসেছি, তোর সাথে আমার বর কে পরিচয় করিয়ে দেই। আমার প্রিয় বান্ধী নীলা।  আপনার কথা অনেক শুনেছি মিলার কাছ থেকে। তাই নাকি তো বর সাহেব আপনার নামটিতো বললেন না। ও তাই তো আমার নাম আলম। তোরা দোকানের বিতরে বস, নীলা তোর দোকানটি খুব সুন্দর হয়েছে। কি যে বলিস মিলা, এই নে চা খা, আচ্ছা আজ আসি নীলা। আবার আসলে আসবি কিন্তু , ঠিক আছে,। মিলা চলে গেলো, অনেক দিন পর মিলার সাথে দেখা । কিছুক্ষণ পর একটি সাদা গাড়ী আসলো, গাড়ীটি দেখে আমি চমকে উঠলাম গাড়ী থেকে একটি লোক আমার দোকানের দিকে আসলো, আরে এইতো সেই সাদা গাড়ীর সাহেব, আপনি দেশে কবে আসলেন সাহেব। তুমি আমায় চিনো নাকি? হে চিনি তবে আপনি হয়তো আমায় চিনবেন না, হয়তো আপনার মনে নেই ? এইসকল কি বলছো ? আপনার মনে আছে আজ থেকে পাচ ছয় বছর আগে এইখানে বসে একটি ছোট মেয়ে ফুল বিক্রি করতো আপনি প্রতিদিন এসে ফুল নিয়ে যেতেন।হে এখন মনে হলো, আমি সেই নীলা । তুমি আমাকে আজও মনে রেখেছো? জ্বি সাহেব, থাকবে না কেন প্রতিদিন আপনার জন্য ফুল নিয়ে অপেক্ষা করতাম আসতেন না, পরে একদিন আপনার গাড়ীর ডাইভার বললো আপনি বিদেশে চলে গেছেন। বাবা তাড়াতাড়ি আসো। নীলা আমি আসি। ভালো থেকো। সাদা গাড়ীর সাহেব চলে গেলো। আমি নিরব হয়ে বসে থাকলাম, আমার কিছু বলা হলো না, কি করে বলবো সাদা গাড়ীর সাহেব যে বিবাহিত আমি যদি আমার মনের কথা বলি হয়তো সাহেব আমায় খারাপ ভাববে । পরের দিন সাহেবের গাড়ীর ডাইভার ফুল নিতে আসলো, আমি জিজ্ঞাসা করলাম আপনার সাহেব কি চলে গিয়েছে? না, সাহেব আগামিকাল চলে যাবে দশটার ফ্লাইটে। ও আচ্ছা, আমি বাসায় গেলাম আমার কিছু ভালো লাগছে না, মা আমাকে জিজ্ঞাসা করলো নীলা তোর শরীর খারাপ নাকি? না মা শরীর ভালো আছে, মা তুমি শুয়ে পড়ো আমি একটু পর শুয়ে পড়বো। রাতে একটুও ঘুমাইনি সারা রাত জেগে একটি গোলাপের মালা বানিয়েছি সাদা গাড়ীর সাহেবের জন্য।

 

সকাল হলো আমি এয়ার পোর্ট গেলাম, গেইটের সামনে দারিয়ে রইলাম অনেক দুর থেকে দেখা যাচ্ছে সাদা গাড়ীটি আসছে।সাহেব গাড়ী থেকে নামলো উনার বউ আর সন্তান ভিতরে চলে গেলো, সাহেব ডাইভারের সাথে কথা বলছে, তখনি আমি গেলাম সাহেবের সামনে।, আরে তুমি এখানে? হে সাহেব কাল ডাইভারের কাছে শুনলাম আপনি চলে যাচ্ছেন। আজ তাই আসলাম আপনাকে বিদায় জানাতে। কি যে বলছো তুমি? জি সাহেব, এই চিঠি টা পড়বেন আমি চলে গেলে,আর এই মালাটা আপনার জন্য, আর এই বক্সটি আমার উপহার আপনার জন্য,আসি সাহেব।ভালো থাকবেন…

বিদায় জানাবার সময় আমার অনেক কষ্ট হচ্ছিলো। আসার সময়।পিছু পিছু অনেক বার তাকিয়েছি সেই হাসিটির জন্য, শেষ বারের মতো সেই অচেনা ভালো লাগা হাসিটি দিলো আমার সাদা গাড়ীর সাহেব ।

 

নীলা চলে গেলো। আমি তাকে তেমন করে চিনি না। তবে মেয়েটির জন্য এত কষ্ট হচ্ছে কেন, নীলা জানি কি বলতে চাইছিলো। বলেও বললো না, কি বলতে চাইছিলো ? ও মনে হয়েছে নীলা আমায় একটি চিঠি দিয়েছিলো, চিঠি টি কোথায় রাখলাম এইতো পেয়েছি। : সাদা হাসি :তুমি করে বলার জন্য আমায় ক্ষমা করবেন, আমি যখন রাস্তায় বসে ফুল বিক্রি করতাম তখন তুমি প্রতি দিন আসতে ফুল নিতে। যাওয়ার সময় সুন্দর করে একটি হাসি আমায় উপহার দিতে তোমার অজান্তে।আমি তোমার প্রেমে পড়েছি কিনা জানি না তবে তোমার হাসি আমার শক্তি দিয়েছে আমার মাঝে, নতুন করে বাঁচতে শিখিয়েছে, তুমি একদিন চলে গেলে বিদেশে শুনে অনেক কষ্ট পেয়েছিলাম, মনে মনে বার বার বলেছি তুমি আসবে তাই অপেক্ষায় ছিলাম তোমার জন্য, তুমি চলে যাওয়ার পর আমি প্রতিদিন তোমার জন্য একটি করে গোলাপ রেখে দিয়েছি, সেই ফুল গুলো আজ তোমাকে বক্স করে দিয়ে গেলাম, ফুল গুলো হয়তো শুকিয়ে গিয়েছে তবে সেগুলোর মাঝে আমার বিশ্বাস মিশে আছে ।

 

যেদিন তুমি আবার আমার দোকানে এলে তখন মনে হলো আমার প্রাণ এসেছে ফিরে, তবে যখন তোমার পিছন থেকে বাবা তাড়াতারি আসো শব্দটি শুনতে পেলাম, তখনি নিজের ভালো লাগা গুলো কে কবর দিয়ে দিলাম। কারন আমি কারো বাবাকে কেড়ে নিতে পারি না, কারো স্বামিকে কেরে নিতে পারি না, তাই আজ বিদায় বেলা তোমাকে শেষ দেখার জন্য এসেছেিলাম। আমার দোকানের নামটি দিয়েছি তোমাকে ঘিরে, তোমার সাদা গাড়ী আর সেই প্রতিদিনের মিষ্টি হাসি, তাই দোকানের নাম রেখেছি…  সাদা হাসি…ভালো থেকে আমার সাদা গাড়ীর সাহেব…  ইতি রাস্তার ফুল ওয়ালী নীলা….. কিগো তুমি ওখানে বসে আছো কেন এসো সময় হয়ে গিয়েছে, আসছি তুমি সামনে দিকে যাও, আমার হাত থেকে চিটিটা উড়ে গেলো, নীলা নামে মেয়েটা কে কিছুক্ষণ আগেও আমি চিনতাম না। তবে এখন এতো কষ্ট হচ্ছে কেন? নীলা তুমি আমায় ক্ষমা করো, আমি তোমার আকাশে আর কোন দিন আসতে পারবো না, কারন আমার নিজের আকাশে আমার পরিবার নিয়ে ভালো আছি, তবে আমার নিরব মনের ঘরে তোমাকে রেখে দিলাম।

………………. সমাপ্ত…………….

 

লেখক: মোঃ গোলাম মোস্তফা,

শিক্ষার্থী, সাংবাদিকতা বিভাগ,

পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়,চট্টগ্রাম ।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১:১৯ পূর্বাহ্ণ | মার্চ ০৮, ২০১৭