| ভোর ৫:৪৭ - রবিবার - ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ৪ঠা রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ভারত ভ্রমণে আমেরিকানদের পেছনে ফেলে এক নম্বরে বাংলাদেশি

লোক লোকান্তরঃ   বাংলাদেশি নাগরিকদের ভারত ভ্রমণে যাওয়ার সংখ্যা বাড়ছে উল্লেখযোগ্য ভাবে। ভারতীয় পর্যটন মন্ত্রনালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতে ২০১৬ সালে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া পর্যটকের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৩ লাখ ৭০ হাজার। ২০১৫ সালের তুলনায় ভারতে বাংলাদেশি পর্যটকের সংখ্যা বেড়েছে ২১ শতাংশ।

 

গত ৮ ফেব্রুয়ারি আনন্দবাজার পত্রিকায় “ভারত ভ্রমণে আমেরিকানদের ছাপিয়ে এক নম্বরে বাংলাদেশিরা” শিরোনামে এক প্রতিবেদনে এ সব তথ্য উঠে এসেছে।

 

বিগত বছরগুলোতে ভারতে পর্যটক যাওয়ার তালিকায় এক নম্বরে ছিল আমেরিকা। ২০১৬ সালে তাদের ছাপিয়ে গেছে বাংলাদেশ। আমেরিকা বা ব্রিটেন থেকেও ভারতে ভ্রমণকারীর সংখ্যা বেড়েছে। তবে তা বাংলাদেশের চেয়ে কম। মার্কিন পর্যটক বেড়েছে ৮.২ শতাংশ। ব্রিটেনের ১০.৪ শতাংশ। বাংলাদেশের পর্যটক বৃদ্ধি হয়েছে ২১ শতাংশ। ২০১২ সালে ৪ লাখ ৮০ হাজার বাংলাদেশি ভারতে গিয়েছে। ২০১৬-তে যায় তার প্রায় তিনগুণ।

 

২০১৬ সালে প্রায় ৮০ লাখ ৯০ হাজার বিদেশি পর্যটক ভারত সফর করেছেন। এঁদের মধ্যে ১৫.৪৭ শতাংশই বাংলাদেশি। তালিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকা আমেরিকা ও ব্রিটেনের নাগরিকরা এক্ষেত্রে যথাক্রমে ১৪.৭৪ শতাংশ ও ৯.৫১ শতাংশ।

ভারতে তুলনামূলক ভাল স্বাস্থ্য পরিষেবার কারণেই বাংলাদেশি পর্যটক বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। অন্য দিকে ব্যবসা বাণিজ্যও আরেকটি কারণ। ২০১৫ সালে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৩৪৪ জন বিদেশিকে মেডিকেল ভিসা দিয়েছে ভারত। এদের মাঝে অর্ধেকই বাংলাদেশি।

 

এ বিষয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশন জানিয়েছে, ভারত-বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ দৃঢ় করতে এরই মধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ফলে বাংলাদেশ থেকে ভারতে সফরকারীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বাংলাদেশে চালু থাকা আটটি ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র (আইভিএসি) থেকে এখন আর কোনও ই-টোকেন নিতে হবে না। ভিসা নিয়ে নানা অভিযোগের সমাধান, দালালদের দৌরাত্ম্য হ্রাস ও ভিসাপ্রাপ্তি সহজতর করতে এসব কেন্দ্রে ই-টোকেন পদ্ধতি বাতিল করা হয়েছে। তবে এখন থেকে ভিসাপ্রার্থীকে অবশ্যই বিমান, সড়ক অথবা রেলের কনফার্মড টিকিট নিয়ে কেন্দ্রে আসতে হবে।

 

ছবিঃ সংগৃহীত

সর্বশেষ আপডেটঃ ১২:১৯ পূর্বাহ্ণ | ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৭