| সন্ধ্যা ৭:১০ - বুধবার - ৪ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ২০শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ৩০শে সফর, ১৪৪৬ হিজরি

বাংলাদেশ থেকে ব্যান্ডউইথ নিতে চায় এশিয়ার পাঁচ দেশ

লোক লোকান্তরঃ  বাংলাদেশ থেকে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ নেওয়ার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রস্তাবনার হিড়িক পড়েছে। বাংলাদেশ থেকে ব্যান্ডউইথ নিতে চায় এশিয়ার পাঁচ দেশ। সবার আগে ভারতের সাতটি রাজ্যে ব্যান্ডউইথ নেওয়ার পর আগ্রহ প্রকাশ করেছে ভুটান, নেপাল, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর।
আবেদন জমা দিয়েছে দূর দেশ ইতালিও।  সংশ্লিষ্ট সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

 

সূত্র জানায়, সম্প্রতি সিঙ্গাপুর ভিত্তিক টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান ‘ব্ল বেরি টেলিকম’ বাংলাদেশ সরকারের কাছে ব্যান্ডউইথ চেয়ে আবেদন করেছে।

 

সমুদ্র তলদেশে ক্যাবল ব্যবহার করে মায়ানমার, কলম্বিয়া, লাওস, ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়া ব্যান্ডউইথ দেওয়ার জন্যে বাংলাদেশের কাছে একটি প্রস্তাবনা দিয়েছে। এ প্রস্তাবনা নিয়ে এরই মধ্য সরকার কাজও শুরু করে দিয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।

 

জানা গেছে, নতুন এ প্রস্তাবনায় বাংলাদেশকে কোনো খরচ করতে হবে না বলে উল্লেখ করা হয়েছে।  ফলে বাংলাদেশও ‘অব্যবহৃত ব্যান্ডউইথ’ রফতানি করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

 

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানির (বিএসসিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনোয়ার হোসেন প্রিয়.কমকে বলেন, সিঙ্গাপুরের ‘ব্লু বেরি টেলিকম’ আমাদের সঙ্গে এ ব্যাপারে একাধিকবার যোগাযোগ করেছে। আমরা এ বিষয়ে আলোচনাও করছি।  প্রাথমিকভাবে তাদের প্রস্তাবনাকে আমরা ইতিবাচক হিসেবে দেখছি।

‘তবে তাদের বলেছি এ কানেক্টিভিটি দেওয়ার ক্ষেত্রে এক পয়সাও খরচ করতে রাজি নই আমরা।’

 

তিনি বলেন, আমরা এরইমধ্যে মায়ানমারে ব্যান্ডউইথ কানেক্টিভিটি দেওয়ার জন্য উদ্যোগ নিয়েছি।  কিন্তু তাদের সীমান্ত এলাকায় অসমতল ভূমির কারণে ব্যান্ডউইথ দেওয়া বেশ কঠিন হয়ে গেছে।

 

‘তবে আমাদের দেশে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে অতিরিক্ত ১৩২০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ পাবো আমরা।  এই অতিরিক্ত ব্যান্ডউইথ সমুদ্রতলদেশে ক্যাবলের মাধ্যমে মায়ানমারে রফতানি করতে পারলে আমাদের জন্য ভালো ব্যবসা হবে।’

 

তাছাড়া বাংলাদেশের জন্য ব্যান্ডউইথ রফতানির ক্ষেত্রে মায়ানামার বেশ বড় মার্কেট হবে বলেও আশা করেন এই কর্মকর্তা।

 

মনোয়ার হোসেন জানান, সিঙ্গাপুরের ‘ব্লু বেরি টেলিকম’ বাংলাদেশ থেকে ব্যান্ডউইথ নেওয়ার জন্য চলতি মাসে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করেছে।  এরপর টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় এ বিষয়টি যাচাই বাছাই করার জন্য বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানির কাছে ফরওয়ার্ড করেছে।

 

এদিকে বাংলাদেশ থেকে ব্যান্ডউইথ নেওয়ার ক্ষেত্রে আইনি বিষয়ে করণীয় জানতে ব্লু বেরি টেলিকমের প্রতিনিধিদল গত বৃহস্পতিবার বিটিআরসির শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন।

 

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ থেকে বছরে ৯ কোটি ৬০ লাখ টাকার বিনিময়ে সর্ব প্রথম ১০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ নিয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত।  বাংলাদেশের কাছে এই মুহূর্তে ২০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ রয়েছে।

 

হাতে থাকা এই ২০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথের মধ্যে মাত্র ৩৩ শতাংশ ব্যবহৃত হচ্ছে স্থানীয় প্রয়োজনে। আগামী ২০২১ সালের মধ্যে এ চাহিদা ২১০ জিবিপিএসে গিয়ে ঠেকবে।

 

এদিকে আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপনের মাধ্যমে আরও ১৩২০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ পাবে বাংলাদেশ।সূত্রঃ প্রিয়

সর্বশেষ আপডেটঃ ৩:৫৭ পূর্বাহ্ণ | ডিসেম্বর ১২, ২০১৬