ময়মনসিংহে লাল চিনি সাদা চিনি একত্র করে ক্যামিকেল ব্যবহার, সাংবাদিক ম্যানেজের চেষ্টা
ফুলবাড়ীয়া ব্যুরো অফিস : ময়মনসিংহের আ. রশিদ নামের এক প্রতারক ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন যাবত লাল চিনি সাদা চিনি একত্র করে তেতে ক্যামিকেল মিশিয়ে বাজারজাত করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনা তদন্তে গেলে সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন তিনি।
ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার ১১নং রাধাকানাই ইউনিয়নে পলাশতলী বাজারে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পলাশতলী বাজারে একটি দোকান ভাড়া নিয়ে দোকানের বেশির ভাগ অংশ বন্ধ করে একটা সাটার খুলে ৪জন শ্রমিক ২ভাগে বিভক্ত চিনি মিশ্রিত করছেন। পার্শেই পাওয়া গেল একটি পাতিল যাতে কিছু ক্যামিকেল গরম করা হতে পারে। কয়েক প্রকারের লাল চিনি আর সাদা চিনির বস্তারও সন্ধান পাওয়া যায়। অধিক মুনাফা লাভের জন্য রশিদ এ কাজটি দীর্ঘদিন যাবত করছে বলেও জানা যায়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রশিদ দীর্ঘদিন যাবত কৃষকদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের লাল চিনি ক্রয় করে জড়ো করেন। পিকআপ যোগে বিভিন্ন স্থান হতে চিনি আনেন পলাশতলীতে। তাঁর দোকানের বিপরীতে একটি রাইচ মিল রয়েছে যেখানে ধান, মরিচ, চাউল, হলুদসহ নানা প্রকার খাদ্য দ্রব্য ভাঙ্গানো হয়। আর সেখানেই সাদা চিনি ভাঙিয়ে রং বে রং এর লাল চিনি এবং ক্যামিকেল (নালী) মিশ্রণ করা হয়।
অস্বাস্থকর পরিবেশে মিশ্রনের জন্য কাজ করে ৪জন শ্রমিক। পা দিয়ে চিনির স্তুপের উপর দাঁড়িয়ে মিশ্রণ চলছে আর গল্প গুজব তো আছেই। সাংবাদিক পরিচয় জানার পরই ফোন আর তদবির অফার আসে টাকার। অনেকে জানালেন এর আগেও থানার লোকজনের উপস্থিতিতে সালিশ-দরবার হয়েছে। আর ম্যানেজ হয়েই কাজটি হচ্ছে কি না জানতে চাইলে, নীরবতা।
এর আগে সে বিদ্যানন্দ বাজারে এ ব্যবসা পরিচালনা করেছে। সেখানে তার জন্য নিরপাদ নয় সে জায়গা পরিবর্তন করেছে। বাজারে বর্তমানে প্রতিকেজি লাল চিনি বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা আর সাদা চিনি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৫ টাকা। সপ্তাহে একদিন ধোলাই করে ভালুকা, ত্রিশাল, কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করা হয়ে থাকে।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মো. লেলিন জানান, মিশ্রিত চিনি অবশ্যই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তিনি আরও উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রতারক চক্র এসব আকাম-কুকামের জন্য জায়গা বেছে নিয়েছে।
নামমাত্র নয়, দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী করেছে সচেতন মহল।
ছবিঃ লাল চিনি সাদা চিনি একত্রকরন ও ক্যামিকেল। লোক লোকান্তর