পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের জের–
নান্দাইলে ১০ টাকা কেজির চাল বিক্রীর অনিয়মের অভিযোগ, বিক্রী বন্ধ
ভ্রাম্যমান প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় ১২ ইউনিয়নে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজি মূল্যের চাল বিক্রীর কার্যক্রমে ২৬ হাজার অনুমোদিত সুবিধাভোগী পরিবারের বিপরীতে খাদ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রতি মাসে সপ্তাহে ৩ দিন চাল বিক্রয় করার কথা। অজ্ঞাত কারনে সেপ্টেম্বর ২০১৬ইং মাসের শেষ শুক্রবার ও অক্টোবরের ,শনিবার ও মঙ্গলবার উপজেলার কোথাও চাল বিক্রী করা হয়নি।
উপজেলায় ৫৪ জনের ডিলারের প্রাপ্ততা থাকা সত্ত্বেও প্রতি ইউনিয়নে ২ জন করে মাত্র ২৪ জন ডিলার নিয়োগ করা হয়েছে। সপ্তাহে ৩ দিন যথাক্রমে শুক্রবার, শনিবার ও মঙ্গলবার সুবিধাভোগী পরিবারের মাঝে মাসিক ৩০ কেজি হারে ১০ টাকা কেজিতে চাল বিতরণের নির্ধারিত তারিখ থাকলেও উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা এবং ডিলারদের যোগসাজসে নয়ছয় করার অভিযোগে গত ২ ও ৩ অক্টোবর বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে। তোলপাড় শুরু হয় প্রশাসনের।
সুবিধাভোগীদের হাতে এখন পর্যন্ত কার্ড পৌছানো হয় নাই বিধায় তাদের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। খাদ্যগূদাম কর্মকর্তা এবং ডিলারদের কাছে সুবিধা ভোগীদের নামের তালিকা চাইলে দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। পবিত্র ঈদের পূর্বে নিয়োগকৃত ডিলাররা নিজের ইচ্ছামাফিক তালিকা তৈরী করে জমা দেয়ার গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক ডিলার জানান ডি.ও না পাওয়ার কারণে চাল উত্তোলন করা সম্ভব হয়নি বিধায় বিক্রী করতে পারছিনা।
এ রিপোর্ট লিখা পযর্ন্ত (৪ অক্টোবর দুপুর ২টা) উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন অফিসের কাজে ঢাকায় অবস্থান করছেন। ৪ অক্টোবর চাল বিক্রীর নির্ধারিত দিন ধার্য্য থাকলেও কেন চাল বিক্রী করা হচ্ছেনা।
এ ব্যাপারে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান, গত ২ ও ৩ অক্টোবর বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় চাল বিক্রীর অনিয়মের সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় আপাতত চাল ডেলিভারী দেয়া বন্ধ রয়েছে।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) তামিম আল ইয়ামীন জানান চাল বিক্রী বন্ধ থাকার কথা নয় । তিনি বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখবেন বলে জানান।
সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১০ টাকা কেজি দরের চাল বিক্রীর ঘটনা নিয়ে নান্দাইলে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির খবর পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ায় জনমনে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এত করে গুটি কয়েক সরকারী কর্মকর্তা এবং নিয়োজিত ডিলারদের কারণে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে বলে মতামত ব্যক্ত করেছেন সচেতন মহল।