গফরগাঁওয়ে শিক্ষকের কান্ড কয়েলের আগুনে ঝলসে দিলেন ছাত্রের শরীর!
![](https://old.loklokantor.com/wp-content/uploads/2016/08/Gafargaon-Pic-6.8.16.jpg)
গফরগাঁও প্রতিনিধি: ৬ আগস্ট ২০১৬, শনিবার
ময়মনসিংহের গফরগাঁও ইসলামিয়া সরকারি হাই স্কুলের ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ফাতিন বাগদাদিকে (১২) শরীরে জলন্ত কয়েল চেপে ধওে ঝলসে দিলেন গৃহশিক্ষক ইসমাইল হোসেন। ফাতিন পৌর এলাকার ষোলহাসিয়া গ্রামের প্রবাসী হাবিবুর রহমানের ছেলে।
জানা যায়, বারবাড়িয়া হাই স্কুলের সহকারী শিক্ষক ইসমাইল হোসেন গত ফেব্র্বয়ারী মাস থেকে ফাতিনকে নিয়মিত বাসায় গিয়ে পড়িয়ে আসছেন। গত বুধবার সন্ধায় ফাতিনকে পড়াতে আসে তার গৃহ শিক্ষক ইসমাইল হোসেন শাসন করতে গিয়ে শাসনের মাত্রা এত বাড়িয়ে দেন যে ঘরের ভেতর থাকা জলন্ত কয়েল শরীরে চেপে ধরে। সে সহ্য করতে না পেরে চিৎকার দিয়ে উঠলে শিক্ষক তার ঘার চেপে মাথা টেবিলের নিচে নিয়ে চেপে ধরে চিৎকার দিতে নিষেধ করে। ভয়ে সে আড়ষ্ট হয়ে পড়লে শিক্ষক আবারো তার বাম হাতের বাজুতে জলন্ত কয়েল পরপর চারবার চেপে ধরে। ফাতিন জানায়, জলন্ত কয়েলের যন্ত্রনা সইতে না পেরে সে চিৎকার দিয়ে উঠলে তার মা এ ঘরে ছুটে আসেন।
এ বিষয়ে ফাতিনের মা জানান, চিৎকার শুনে পাশের ঘর থেকে দৌড়ে এসে ঝলসে যাওয়া হাতটি দেখে আমি বিস্মিত হয়ে শিৰককে প্রশ্ন করি নির্মমভাবে নির্যাতন কিভাবে সম্ভম। এমন প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে না দিয়ে তিনি বাসা থেকে বেড় হয়ে চলে যান। পরে তাকে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা দিয়ে বাসায় নিয়ে আসা হয়। ফাতিন এখন ভয়ে স্কুলে যেতে চাচ্ছে না ।
ইসলামিয়া সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিৰক ও ফাতিনের ক্লাস টিচার দিলীপ কুমার জানান ফাতিন আজ শনিবার বিদ্যালয়ে অনুপসি’ত রয়েছে ।