| দুপুর ১২:০০ - শুক্রবার - ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

‘সুলতানা’স ড্রীম’ ও আজকের বাস্তবতা

সাম্মি ইসলামঃ  বেগম রোকেয়া বাঙ্গালি নারী জাগরণের অগ্রদূত। বাঙ্গালি মুসলিম নারী জাগরণের অগ্রদূত। বেগম রোকেয়া সমাজের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছেন সম্রাট নয়, সমাজ্ঞীও মানুষের কল্পজগৎ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। কিন্তু, আজকের বিংশ শতাব্দীতে নারীর অগ্রগতির মতো গত আঠার’শ শতাব্দীর শেষ এবং উনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে সুষ্ঠু সুন্দর পরিবেশ ছিল না। তৎসমাজের পুরুষশাসিত বিচার বোধ নারীর অধিকারের কথা চিন্তাও করেন না। নারীকে স্ত্রী আর স্ত্রীকে দাসীর মতো করে রাখতে তাদের প্রছন্দ। সেই চেনা জানা গন্ডি ভেঙে নারীমুক্তির মশাল হাতে শাসক শোষকের সমাজে নেমে পড়েন বেগম রোকেয়া শাখাওয়াত হোসেন। পাদটীকায় তেমনি উজ্জল মুহূর্ত বেগম রোকেয়ার ‘সুলতানার স্বপ্ন’ (১৯০৮) নামক কল্পকাহিনীতে।
বেগম রোকেয়া মূলত বন্দিনী ছিলেন। সেটা বোঝা যাবে তাঁকে যদি তাঁর পরিবেশ ও পরিস্থিতিতে স্থাপন করি। ১৮৮০ সালে কলকাতার অদূরে বর্তমান রংপুর জেলার পায়রবন্দ গ্রামে এই মহিয়সী নারীর জন্ম। পিতা ছিলেন বিত্তবান, কিন্তু অপব্যয়ী ও রক্ষণশীল। রোকেয়ার দুই ভাইকে কলকাতায় রেখে সাহেবদের স্কুলে পড়িয়েছেন; কিন্তু মেয়েদের শিক্ষায় বিশ্বাস করতেন না রোকেয়ার পিতা। রোকেয়া ও তার বোনেরা অন্ধরমহলে কারাবাসী ছিলেন। বড় বোনের ভীষণ আগ্রহ ছিলো বাঙলা শেখার। একদিন তিনি বাঙলা বই পড়ছিলেন। তা দেখে রক্ষণশীল পিতার মেরুদন্ডে চিকন ব্যথা অনুভব হয় “শুধু পড়াই বন্ধ হইল না-তখন করিমুন্নেসাকে অন্ধকার কারাগৃহে (অর্থাৎ বলিয়াদীতে মাতামহের প্রাসাদে) পাঠাইয়া দিয়া বিবাহের আয়োজন হইতে লাগিল।” ১৪ বছর বয়সে বোন করিমুন্নেসার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা হয়েছে। রোকেয়ার বিয়ে হয়েছে ১৬ বছর বয়সে। রোকেয়ার স্বামী উচ্চ শিক্ষিত, বিলেত গিয়েছিলেন ডিগ্রী আনতে, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন চাকরিতে, বেগম রোকেয়াকে উৎসাহিত করেছেন লিখতে পড়তে এবং বলতে। স্বামীগৃহকে আদর্শায়িত করবার কোনো উপায় নেই, আসলে সেটাও একরকম কারাগারই ছিলো। উর্দুভাষী স্বামী থাকতেন বাঙলার বাইরে ভাগলপুরে। বেগম রোকেয়া শাখাওয়াত হোসেন দুঃখ করে লিখেছেন, ১৪ বছর ভাগলপুরে কেটেছে, যেখানে একজন বাঙালি ছিলো না যার সঙ্গে বাঙলায় কথা বলবেন, তারপর কলকাতা এসে প্রথম ১১ বছর তিনি একটি উর্দু বালিকা বিদ্যালয় পরিচালনা করেছেন। যেখানে ছাত্রী, শিক্ষিকা, কর্মচারী সবাই ছিলো উর্দুভাষী। পরিবেশের সাথে নিজেকে মানিয়ে নেয়ার জন্য বেগম রোকেয়া বাঙলা ও ইংরেজি শিখেছেন নিজের প্রচেষ্টায়।

পিতা, স্বামী ও সমাজের কারাগার ভেঙে মানসিক দৃঢ়তার কারণে নারী মুক্তির লক্ষ্যে বাইওে বের হয়ে এসেছেন রোকেয়া; কিন্তু কোথাও উগ্রতা ছিলো না তাঁর, রূঢ় নন, কর্কশ নন, তার বিদ্রোহ বড়ই সাহসী, তাঁর সাহস ছিল বড়ই শান্ত। ২৯ বছর বয়সে রোকেয়া বিধবা হন, এরপর থেকে তিনি কলকাতায় ছিলেন; কিন্তু শহর কলকাতার উন্মুক্ত সাংস্কৃতিক জীবন, তাঁর বিপুল কর্মদ্যোগ কোন কিছুর সঙ্গেই নিজেকে যুক্ত করতে পারেন নি। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নন, তিনি নিজের শ্রমে ঘামে তৈরি করেন সাখাওয়াত মেমোরিয়াল স্কুল। সময়ের কারাগার থেকে পথে বের হবেন সেই সময়ে সে রকম স্বাধীনতা ছিলো না; কিন্তু তাই বলে অন্তঃপুরের মানসিক কারাবাসকে তিনি মন থেকে মেনে নেননি, শুরু হয় পদে পদে বাঁধা বিপত্তি, রোকেয়ার সামনে আসে সমাজের অত্যাচার। সীমাহীন লংঘন। পরিবেশের অকিঞ্চিতকরতা, পরিস্থিতির বৈরিতা সমস্ত কিছুকে দু’হাতে ঠেলে কেমন করে এগিয়ে গেলেন তিনি, অনমনীয়। অমনভাবে হুংকারমাখা গর্জনে বিদ্যাসাগরও একদিন এসেছিলেন বন্ধ সমাজকে উদ্ধার করতে। উনবিংশ শতাব্দীর কলকাতায় ‘সুলতানাস ড্রিম’ও এক বিষ্ময়কর লেখা। তাঁর পুরোটাই কল্পলোকের কাহিনী। কাহিনীটি যিনি বলছেন তার নাম সুলতানা। তার ধারণা তিনি জেগেই ছিলেন। কিন্তু আসলে তিনি স্বপ্ন দেখছিলেন। তিনি দেখেন স্বপ্নে এক আশ্চর্য জগতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। নাম তার নারীস্থান। ইমাজিনেশনে পুলিশ নেই, অশান্তি নেই। কারণ? কারণ একটাই। পুরুষ এখানে শৃংখলাবদ্ধ। ভগিনী সারা নামে যে মহিলা রোকেয়া ওরফে সুলতানাকে সঙ্গ দিচ্ছে, সে বলছে, স্বয়ং শয়তান যেখানে শৃংখলাবদ্ধ সেখানে শয়তানীর সুযোগ মিছে। মেয়েরা তাই ভারী নিরাপদ। পুরুষরা রয়েছে অন্তঃপুরে। জননিরাপত্তার স্বার্থে হিং¯্র পশু ও বদ্ধ উন্মাদের যেমন অবাধে চলাফেরার স্বাধীনতা দিতে নেই, তেমনি পুরুষদেরও ছেড়ে দেয়া যায় না রাস্তায়। মেয়েরা থাকে ঘরে। পুরুষরা করে দেহের কাজ। মেয়েরা করে মস্তিষ্কের কাজ। এর আছে দেহ, ওর আছে মন। বিভজনটা এই রকমের। পুরুষ বন্দী হলো কেনো? নিজের ব্যর্থতায়। পার্শ্ববর্তী রাজ্য থেকে কয়েকজন বিদ্রোহী, যারা ওই রাজ্যের দুঃশাসন কখনো মেনে নিতে পারে নি, তারা পালিয়ে এসে আশ্রম আশ্রয় নিয়েছিলো রাজ্যে। আর রাজ্যের রাণী তাদের দিয়েছিলেন আশ্রয়। দেয়ার কারণ, তিনি ন্যায়ের প্রতিপালক, অন্যায়ের সংহারক। মহাশব্দে চারপাশে যুদ্ধের বাজনা বাজে। পুরুষ সৈন্যরা দলে দলে  আহত ও নিহত হতে লাগলো। রাজ্য বিপন্ন, পুরুষ নিঃশেষ প্রায়। কি করা যায়? কি করা যায়? রাজ্যেও অবশিষ্টরা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়লেন। আহার নিদ্রা বন্ধ হবার উপক্রম। শেষে এগিয়ে এলেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান। বিশ্ববিদ্যালয় প্রধানের হাতে কোন ছাত্র নেই।যারা আছে তারা সবাই ছাত্রী। দুই হাজার স্বেচ্ছাসেবিকা নিয়ে রওনা দিলেন। সীমান্তে পৌছার আগেই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সংগৃহীত সূর্যের কিরণ দূর থেকে নিক্ষেপ করেছেন কত্রু শিবিরে। শত সহ¯্র সূর্য মর্ত্যে নেবে এলে যেমন প্রবল তাপ সৃষ্টি হবার কথা তেমন তাপ নিক্ষিপ্ত হয়েছিলো শত্রুপক্ষের দিকে। যুদ্ধ মাঠ ছেড়ে তারা কেউ পালিয়ে বাঁচে না, যুদ্ধ করবে কী। যুদ্ধযাত্রার আগে, অধ্যক্ষা সব পুরষদের শর্ত দিয়েছিলেন অন্তপুরে প্রবেশ করতে। পর্দার প্রয়োজনে এটা আবশ্যক করতে হবে। এরপর থেকে সবপুরুষ ঘরে থাকা শুরু করে। মেয়েরা আছে ঘরের বাইরে। শাসন-শোষন ও নিরুপদ্রবে। সুলতানা পুরুষশাসিত পরাধীন ভারতবর্ষের মেয়ে, চলাফেরায় দ্বিধা ছিলো প্রথমে, লজ্জা ও সংকোচ জড়িয়ে যাচ্ছিলো পা; ভগিনী সারা বললেন, “এ রাজ্যে অমন পুরষপনা চলবে না, মেয়েরা এখানে স্বাচ্ছন্দ্যে চলে।” ‘সুলতানা’স ড্রিম’ বেগম রোকেয়ার লেখাটি স্বামী শাখাওয়াত হোসেন এক নিঃশ্বাসে পড়েছিলেন; পড়ে ইংরেজিতে বলেছিলেন, “এ একটি ভয়ঙ্কর প্রতিশোধ।” হ্যাঁ, তাই। কিন্তু ব্যক্তিগত নয়। প্রতিশোধটা সমষ্টিগত। তাছাড়া পুরষকে বন্দী করা রোকেয়ার লক্ষ্য নয়। লক্ষ্য নারীকে মুক্ত করা। একজনকে মুক্তি মানে আরেকজনকে বন্দী করা নয়। একটা ব্যালেন্স বা সাম্যতা তৈরি করা বুঝায়। যে কারণে বেগম রোকেয়া শাখাওয়াত বিজ্ঞানকে নিয়ে এসেছেন তার এই লেখায়। বেগম রোকেয়া আজকের দিনকে পরিষ্কার দেখতে পেয়েছেন তাঁর সময়ে।

নারী মুক্তি মানে প্রতিশোধ নয়, অনেকে ভাবতে পারেন এটা একধরণের প্রতিশোধ। ব্যপারটি ভিন্ন দৃষ্টিতেও দেখা যায়। মানুষের জন্য প্রকৃতির ভা-ারে রয়েছে অফুরন্ত সম্পদ, সেই সম্পদ ব্যবহার করে জীবনকে উন্নত করা আবশ্যক। পুরুষকে জব্দ করা নারীর লক্ষ্য নয়। ওই কল্পরাজ্যে দুটি মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। আমাদের দেশের তথাকথিত মৌলবাদীদের কেউ কেউ স্বতন্ত্র মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষপাতি, কিন্তু বেগম রোকেয়ার বিশ্ববিদ্যালয় মৌলবাদীদের নয়, তার লক্ষ্য মেয়েদেরকে পেছনের দিকে ঠেলে দেয়া নয়, সামনের দিকে এগিয়ে নেয়া। বেগম রোকেয়ার এমন তথ্যকে জ্ঞান-বিজ্ঞানের সৃষ্টিশীল গবেষণাকেন্দ্রও বলা চলে। জ্ঞান অর্থহীন কূটতর্কের কারুকার্য সৃষ্টির কিংবা শশা থেকে সূর্যকিরণ বের করবার নয়। বিশ্ববিদ্যালয় দুটির প্রথমটি আবিষ্কার করেছে মেঘ থেকে পানি সংগ্রহের পদ্ধতি, যার ফলে মানুষকে আর আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়না। অপরটি আবিষ্কার করেছে সৌর শক্তি সংগ্রহের পদ্ধতি, যে শক্তি দিয়ে রান্নাবান্না থেকে যুদ্ধবিগ্রহ পর্যন্ত সবকিছু করা যায়। ওই রাজ্যে এরোপ্লেন চলে। কৃষিকার্যে ওরা বিদ্যুৎ শক্তি ব্যবহার করে। বেগম রোকেয়া যখন নারী মুক্তির মঞ্চে দাঁড়িয়ে এ লেখা লেখেন তখন ভারতবর্ষে বিমান দূরে থাক, মোটর গাড়ি এসে থাকলেও তা তিনি দেখেননি। বিদ্যুৎশক্তি সম্পর্কেও বেগম রোকেয়ার কোন প্রত্যক্ষ ধারণা ছিলো না। মেঘ থেকে পানি ও সূর্য থেকে শক্তি সংগ্রহের চেষ্টা সেকালে বিজ্ঞানীরাও করছিলেন না।
বেগম রোকেয়া তাঁর সব রচনাবলীতেই সমান সাহসের পরিচয় দেখিয়েছেন। তিনটি উদাহরণ দিই। রোকেয়া শাখাওয়াত লিখেছেন “কোন ভগ্নী মস্তকোত্তলনের চেষ্টা করিয়াছেন, তখনই কর্মের দোহাই বা শাস্ত্রের বচন স্বরূপ অস্ত্রাঘাতে তাহার মস্তক চূর্ণ হইয়াছে। ১৯০৫ সালে লেখা দাসত্বের নিদর্শন প্রবন্ধে লিখেছেন, ‘কারাগারে বন্দীগণ লৌহনির্মিত বেড়ী পরে আমরা আদরের জিনিস বলিয়া, স্বর্নরৌপ্যের বেড়ী অর্থ্যাৎ মল পরি। উহাদের হাতকড়ি লৌহনির্মিত আমাদের হাতকড়ি স্বর্ন বা রৌপ্যনির্মিত চুড়ি। বলা বাহুল্য, লোহার বারাও বাদ দেওয় হয়না। কুকুরের গলে গলাবদ্ধ দেখি, উহার অনুকরণে বোধ হয় আমাদের জড়োয়া চিক নির্মিত হইয়াছে। অশ্ব, হস্তী প্রভৃতি পশু লৌহশৃংখলে আবদ্ধ থাকে, সেইরূপে আমরা স্বর্ণশৃংখলে কণ্ঠ শোভিত করিয়া মনে করি হার পরিয়াছি। গো-স্বামী বলদের নাসিকা বিদ্ধ করিয় নাকদড়ি পরায়,এদেশে আমাদের স্বামী আমাদের নাকে নোলক পরাইয়াছেন। অতএব দেখিলেন ভগিনী। আপনাদের ঐ বহুমূল্য অলংকারগুলি দাসত্বের নির্দশন ব্যতীত আর কী হইতে পারে? আবার মজা দেখুন, যাহার শরীরে দাসত্বের নিদর্শন যত অধিক, তিনি সমাজের ততোধিক মান্যগণ্য।”

এখন যদি রূপার দাম বাড়িয়ে সোনার দাম কমিয়ে কিংবা সোনার দাম বাড়িয়ে হীরার দাম কমানো হয় অথবা কোহিনুর পাথরের দাম আরো কমিয়ে দেয়া হয় তাহলে সেখানেও এক ধরনের অসাম্য বিরাজ করবে।
রাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে গেলে প্রয়োজন হবে প্রশাসনিক ফোর্স। সেই প্রশাসনিক ফোর্স যদি প্রতিবেশি রাষ্ট্রের সাথে ক্যু করে ক্ষমতা দখল করে নেয়, এবং সামরিক আইন জারী করে বসে কিংবা যদি তারা পার্শ্ববতী রাজার সঙ্গে যোগসাজস করে অত্মঘাতী হামলা তৎপরতা চালায়? সৈন্যদেরকে কি দমিয়ে রাখা হবে? যুদ্ধের মাঠে কাউকে দমিয়ে রাখা বেঠিক। এখন মেয়েদের সামনে হাঁটতে দিয়ে পুরুষদের পিছিয়ে দিলে টোটাল উন্নতিতে একটা অসামঞ্জস্যতা বিরাজ করবে। সমাজ চলে যাবে আগের অবস্থানে। উন্নতির কোন ধাপ অতিক্রম করা সম্ভব হবে না। পুরুষদের অবরুদ্ধ করে মেয়েদের শাসন তো আবার সেই অন্যায়েরই সৃষ্টি করবে যে অন্যায়ের বিরুদ্ধে মেয়েরা এখনও প্রতিবাদমুখর। বেগম রোকেয়া শাখাওয়াত হোসেন চেয়েছেন সমাজে নারী পুরুষের সাম্যতা। দু’জন দু’জনের সহযোগি হলে ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সমাজ সভ্যতায় আসবে ব্যাপক পরিবর্তন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৪:৩৩ অপরাহ্ণ | আগস্ট ০২, ২০১৬