| সকাল ৭:২৯ - শনিবার - ২০শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ৫ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১৩ই মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

হালুয়াঘাটে ছাত্রীকে লাঞ্চিত করায় প্রধান শিকসহ ৩ জনকে আসামী করে আদালতে মামলা

 

হালুয়াঘাট ব্যুরো: ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে খরমা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে মিথ্যা অপবাদ ও শারীরিক বেত্রাঘাত করায় প্রধান শিক সহ ৩ জনকে আসামী করে আদালতে ২টি মামলা করেছে ছাত্রীর অভিভাবক মোঃ মনির উদ্দিন।
মামলা সুত্রে জানা যায় গত ১৯ এপ্রিল খরমা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেনীর ছাত্রী শারমিন আক্তার (১০) সকালে স্কুল মাঠে খেলার সময় অটোরিক্সা চালক শারমিনকে পরিচয় জিজ্ঞাসা করে। এ ঘটনাটি সহকারী শিক্ষক ইসরাফিল দেখতে পায় এবং অটোরিক্সা চালক ও শারমিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্কুলের কৰে নিয়ে আসে।
স্কুল কমিটির সভাপতি মোঃ এমদাদ হোসেনের হুকুমে সহকারী শিৰক ইসরাফিল খা ও প্রধান শিৰক মোছাঃ আফরোজা খাতুন মেয়েটিকে মিথ্যা অপবাদ ও বেত্রাঘাত করে শেষে পুলিশের কাছে তুলে দেয়। বিষয়টি নীতি বর্হিভুত হওয়ায় পুলিশ কর্তৃপৰ ছেলে-মেয়ের অভিভাবককে থানায় নিয়ে এসে তাদের হাতে বুঝিয়ে দেন। শারমিনকে পিটিয়ে আহত করার পর আশঙ্কাজনক দেখে ২১ এপ্রিল হালুয়াঘাট স্বাস’্য কমপেৱক্সে ভর্তি করে তার আত্মীয় স্বজন।
শারমিনের পিতা মোঃ মনির উদ্দিন ২৫ এপ্রিল বাদী হয়ে সহকারী শিৰক ইসরাফিল খা, প্রধান শিৰক আফরোজা খাতুন ও স্কুল কমিটির সভাপতিকে আসামী করে আদালতে মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলা প্রত্যাহারের জন্য বাদীকে, বিবাদী কর্তৃক হুমকি প্রদান করলে ১০৭/১১৭ ধারায় আরেকটি মামলা র্বজু হয়।
আদালত কর্তৃক উক্ত মামলা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার উপর তদন্তের নির্দেশ দিলে গত ১৩ জুলাই স্বাৰী সহ কাগজ পত্র নিয়ে হাজির হওয়ার জন্য নোটিশ প্রদান করেন এবং স্বাৰীগন সঠিক সময়ে উপজেলা সমাজসেবা অফিস কার্যালয়ে হাজির হন।
এলাকার মাতাব্বর হিসেবে সালেহ মাহমুদ সহ আরো অনেকেই সাংবাদিকদের জানান ঘটনাটি খুবই দুঃখ জনক। সালেহ মাহমুদ তিনি নিজেই শারমিনের বই খাতা পত্র স্কুলে থেকে আনতে গেলে প্রধান শিৰক ও সহকারী শিৰক বলেন, শারমিনের পিতা অঙ্গীকার পত্রে স্বাৰর দিলেই বই খাতা দেয়া হবে।
এই বিষয়ে সহকারী শিৰক ইসরাফিলকে প্রশ্ন করলে তিনি জানান উক্ত ঘটনাটি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সাইফুল ইসলামের মাধ্যমে আপোষ-মীমাংসার কথা চলছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৯:৪২ অপরাহ্ণ | আগস্ট ০১, ২০১৬