| রাত ৩:১২ - শুক্রবার - ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি সদর উপজেলার ৩০ গ্রাম প্লাবিত

শেরপুর সংবাদদাতা: ৩০ জুলাই ২০১৬, শনিবার,
ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় আজ ৩০ জুলাই শনিবার শেরপুর সদর উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বর্তমানে উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদসংলগ্ন ৫টি ইউনিয়নের ৩০টি গ্রাম বন্যা কবলিত হয়েছে। বন্যার পানিতে বিস্তীর্ণ এলাকার সদ্য রোপণ করা আমন, আধাপাকা আউশ ধান ও সবজি খেত পানিতে তলিয়ে গেছে।
বন্যা কবলিত ইউনিয়নগুলো হচ্ছে শেরপুর সদরের চরপৰীমারী, চরমোচারিয়া, কামারেরচর, বলাইয়েরচর ও বেতমারী ঘুঘুরাকান্দি ইউনিয়ন। এসব ইউনিয়নের ২০টি গ্রামের প্রায় দশ হাজার মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড, শেরপুরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আজ শনিবার সকালে ব্রহ্মপুত্র নদে পানির উচ্চতা ১৬ দশমিক ৪৮ সেন্টিমিটার রেকর্ড করা হয়েছে। বর্তমানে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার মাত্র দশমিক ৭৪ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদে পানি বৃদ্ধির কারণে শেরপুর-জামালপুর মহাসড়কের সদর উপজেলার পোড়ার দোকান এলাকায় দুটি কজওয়ের ওপর দিয়ে প্রবল বেগে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। বর্তমানে এই সড়কে যানবাহনগুলো ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।
শেরপুর সদরের চরপৰীমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রউফ বলেন, তাঁর ইউনিয়নের কুলুরচর- বেপারিপাড়া, ভাগলগড়, ডাকপাড়া, চরজঙ্গলদি ও চুনিয়ারচর গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা পৱাবিত হয়েছে। সেইসঙ্গে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গণে দুইশতাধিক বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। বন্যার কারণে চরাঞ্চলের শ্রমজীবি মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। বন্যা কবলিত মানুষের ত্রাণ সহায়তার জন্য উপজেলা প্রশাসনের নিকট আবেদন জানানো হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৮:০১ অপরাহ্ণ | জুলাই ৩০, ২০১৬