| ভোর ৫:৫৪ - রবিবার - ২০শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ৪ঠা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১৬ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

ফুলবাড়ীয়ার আছিম কালাইরপাড়ে আবাদি জমি বিনষ্ট করে ইটভাটা

 

ফুলবাড়িয়া ব্যুরো : ২৫ জুন ২০১৬, শনিবার

ইট পোড়ানো নিয়ন্ত্রণ আইনে রয়েছে- পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র প্রাপ্তি সাপেৰে ইটের ভাটা স্থাপন করতে হবে, কোন ফসলি জমিতে ইটের ভাটা স্থাপন করা যাবে না, কোন ফসলি জমি থেকে মাটি সংগ্রহ করা যাবে না। এসকল অনেক নিয়ম কানুন উপেৰা করে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার ১২নং আছিম পাটুলী ইউনিয়নের কালাইরপাড় গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় বানার নদীর তীরে শস্য-শ্যামল কৃষি আবাদী জমি বিনষ্ট করে ইটের ভাটা স্থাপনের কার্যক্রম চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগে প্রকাশ, পাশ্ববর্তী লাঙ্গঁল শিমুল গ্রামের জনৈক আব্দুর রাজ্জাক তিনি তাঁর হীন ব্যবসায়ীর স্বার্থে জনমতের তোয়াক্কা না করে ইটের ভাটা স্থাপনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখায় এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ৰুদ্ধ এলাকাবাসীর পৰে- বিটিটিবি (অব.) চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুল মালেক আখন্দ গত ২৪/০১/২০১৬ইং তারিখ মোবাইল ফোনে এসএমএস (সংযুক্ত) পাঠিয়ে ও মৌখিকভাবে ৰতিকর ইটভাটা বন্ধ করতে ও পরিবেশ বান্ধব ভিন্ন প্রকল্প হাতে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন’ এতে কোন কর্ণপাত না করায় গত ২৬/০৫/২০১৬ইং তারিখ পরিবেশ অধিদপ্তরের  মহা পরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর, আগারগাঁও, ঢাকা বরাবর পরিবেশ বিপর্যয় রোধে বেআইনি ইটভাটা কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য আবেদন করা হয়েছে। এলাকাবাসীর আশংকা এখানে ঘনবসতি এলাকায় ইটের ভাটা স্থাপিত হলে বিস্তীর্ণ এলাকায় কৃষি ও ফলমূল উৎপাদন বিনষ্ট হবে এবং ফুসফুসে বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই এর প্রাদুর্ভাব সহ ঘনস্বাসে’্যর মারাত্নক ঝুঁকি তৈরি হবে। অভিযোগ করার দীর্ঘ ২৪দিন অতিবাহিত হলেও পরিবেশ অধিদপ্তরের অজ্ঞাত কারণে কোন পদৰেপ পরিলৰিত হয়নি।
এ প্রসঙ্গে জনৈক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমি এখনো ছাড়পত্র পাইনি- প্রক্রিয়াধীন আছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা বলেন, অভিযোগ পেলে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস’া নেয়া হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৯:৫৪ অপরাহ্ণ | জুন ২৫, ২০১৬