ময়মনসিংহে অপহরন চক্রের সন্ধান, অপহৃত ইউপি সদস্য উদ্ধার, নারীসহ আটক ৩
ফাহিম মোঃ শাকিল,৬ এপ্রিল ২০১৬ঃ ময়মনসিংহে অপহরনের শিকার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক সদস্যকে উদ্ধার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যরা।
মঙ্গলবার গভীর রাতে শহরের মাসকান্দা আমিরাবাড়ী হাউজিং এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। মাসকান্দা আমিরাবাদে সফল অভিযান পরিচালনা করেন গোয়েন্দা সংস্থা ডিবি এসআই মফিজুল ইসলাম-এএসআই শামীম হোসেন
জানা যায়, গত ৩১/০৩/২০১৬ ইং তারিখে ১৫ (পনের) লক্ষ টাকাসহ ত্রিশাল থানার ১নং ধানীখোলা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শামছুদ্দিন দুলালকে অজ্ঞাতনামা অপহরণকারীরা কৌশলে অপহরণ করে ২০(বিশ) লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করেন। এ সংক্রামেত্ম দুলাল মেম্বারের জামাতা মোঃ হামিদুল ইসলাম অভিযোগ করিলে ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার জনাব হারুন-অর-রশিদ এর নির্দেশে ডিবি’র এসআই মফিজুল ইসলাম, পিপিএম এর নেতৃত্বে এসআই মনিরম্নজ্জামান, এএসআই শামীম হোসেন ও সঙ্গীয় ফোর্স বাতেনসহ গতকাল রাত ২.৩০ মিনিট সময় মাসকান্দা আমিরাবাদ আবাসিকে ডাঃ নাসিমের বাসায় অভিযান চালিয়ে অপহরণকারীদের আটক করেন।
ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মফিজুল ইসলাম জানান, ৩১ মার্চ ত্রিশাল উপজেলার ধানীখোলা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য দুলালকে অপহরণ করা হয়। পরে তার পরিবারের কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণও দেয় দুলালের পরিবার। কিন্তু বাকি টাকার জন্য নারায়ণগঞ্জ থেকে ফোন করে অপহৃতের পরিবারকে চাপ দেওয়া হচ্ছিল।
সুত্র জানাযায়, অপহরণ চক্র বেশ কিছুদিন ধরে একাজ করে আসছে। এক জেলায় তারা বেশিদিন থাকেনা । এরা একেক সময় একেক রুপ নিয়ে অপহরণ করে আসছে। এদের অনেক ছদ্দনাম রয়েছে । এদের বিভিন্ন জেলায় নেটওয়াক আছে বলেও জানাযায়।
ডিবি’র অফিসার ইন-চার্জ ইমারত হোসেন গাজী জানান গ্রেফতারকৃত আসামীরা তাহাদের সহযোগী আসামী হুমায়ুন কবীর লিটন , মেহেদী হাসান , মোশারফ হোসেন , আবুল কাশেম অজ্ঞাত রয়েছে।
চক্রটি ১৭/০৩/২০১৬ ইং তারিখে ময়মনসিংহ কোতোয়ালী থানাধীন মাসকান্দা আমিরাবাদ আবাসিকে ডাঃ নাসিমের বাসার ৩য় তলার ১টি ফস্ন্যাট ১০ (দশ) হাজার টাকা ভাড়াচুক্তিতে উঠে। পরে তারা ত্রিশাল থানাধীন ধানীখোলা বাজারে গিয়ে ভিকটিম দুলাল মেম্বারকে বিশব ব্যাংকের কম্পিউটার ট্রেনিং ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠার জন্য জায়গা ক্রয়ের কথা বলে তাকে দাওয়াত দেয়। পরে হুমায়ুন কবীর উর্দু ভাষায় কথা বলে বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে কম্পিউটার ট্রেনিং ইন্সটিটিউট করার জন্য ১৫(পনের) লক্ষ টাকা ইনভেস্ট করতে বলে। তাদের প্রলোভনে পরে দুলাল মেম্বার গত ৩১/০৩/২০১৬ তারিখে নগদ ১৫(পনের) লক্ষ টাকা নিয়া মাসকান্দা উক্ত বাসায় গেলে আসামীরা ১৫(পনের) লক্ষ টাকা নিয়া নেয় এবং আটকে রাখে। পরে তার মুক্তিপন বাবদ আরো ২০ (বিশ) লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে।
পুলিশ সুত্রে আরও জানা যায়, এ ঘটনায় মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন এবং জড়িত অন্যান্য আসামী গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে।