| রাত ১:৪৯ - মঙ্গলবার - ১৪ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ৩১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ৫ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেৱক্স দালালের দৌরাত্ম্যে সাধারণ রোগীরা অতিষ্ঠ প্রকৃত স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত

বিশেষ প্রতিনিধি | ৪ এপ্রিল ২০১৬, সোমবার,

কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার আড়াই লাখ মানুষের একমাত্র চিকিৎসাকেন্দ্র ৫০ শয্যাবিশিষ্ট তাড়াইল হাসপাতালটি নানা সমস্যা জর্জরিত। শুধু এ উপজেলাই নয়, সহজে যাতায়াতের জন্য পার্শ্ববর্তী নান্দাইল, কেন্দুয়া, মদন, ইটনা ও করিমগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের অনেক রোগী এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। সরকারি এ হাসপাতালটি দালালের দৌরাত্ম্যে সাধারণ রোগীরা অতিষ্ঠ। দালালদের দৌরাত্ম্যসহ নানা কারণে হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা পদে পদে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এখানকার বর্তমান চিত্র দেখলে মনে হবে হাসপাতালটি নিজেই যেন বিভিন্ন দালালের দৌরাত্ম্যে রোগে আক্রান্ত হয়ে ‘লাইফ সাপোর্টে’ আছে। আর এ দালাল চক্রের কারণে হাসপাতালটি সম্পর্কে এলাকবাসীর অভিযোগের অন্ত: নেই।
সংশিৱষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালে হাসপাতালটি ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত হয়। হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে দেখা গেছে, বর্হিবিভাগে শত শত রোগী ভিড় করলেও তাঁদের টিকিট দেয়া শুরু হয় ১০টায়। হাসপাতালে আসা রোগীদের নিয়ে দালালদের টানাটানি নিত্যদিনের ঘটনা। আর এব্যাপারে- স্থানীয় প্রশাসন কোনো ব্যবস’া নিচ্ছে না। হাসপাতালের প্রধান গেইট ও জরুরী বিভাগের সামনে দল বেঁধে দাড়িয়ে থাকে ৩০-৪০ জন নারী ও পুরষ দালাল। কোন রোগী এলেই ঘিরে ধরে এসব দালাল। এরপর ডাক্তার দেখানো ও প্যাথলজি টেষ্টের নামে হাতিয়ে নেয় বাড়তি টাকা। এ কারণে গ্রাম থেকে আসা সহজ-সরল রোগীদের ভোগান্তির শেষ নেই। সরকারি এ হাসপাতালটিতে বিনামূল্যে ও সহজভারে চিকিৎসা পাওয়ার কথা থাকলেও দালালচক্রের কারণে মিলছে না কাঙিৰত সেবা। অতিরিক্ত টাকা গুনেও প্রতারিত হন রোগীরা। বর্হিবিভাগের সাথেই এ হাসপাতালের জরুরী বিভাগ। টিকেট কাউন্টারে দালালদের ঝটলা, এক-দুইজন ডাক্তারের ব্যক্তিগত সহকারি ও তাদের নির্দিষ্ট দালাল টিকেটে ওই ডাক্তারের কক্ষ নম্বর লিখে দেওয়ার জন্য চিৎকার-চেচামেচিতে জরুরী বিভাগের চিকিৎসার স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
চিকিৎসা নিতে আসা কেন্দুয়ার গগডা গ্রামের আলী আকবর জানান, ওই সব দালালদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস’া নেওয়া জর্বরি।
উপজেলা স্বাস’্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এহসানুল হক মুকুল বলেন, এ ব্যাপারে অচিরেই ব্যবস’া নেয়া হবে।
কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. মুখলেছুর রহমানের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শুনেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস’া গ্রহণ করা হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৮:৫৯ অপরাহ্ণ | এপ্রিল ০৪, ২০১৬